Warning: mysqli_real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:101106 Library:100236 in /home/u190665168/domains/takmaaa.com/public_html/wp-includes/wp-db.php on line 1653
“দিন রাত্রির গল্প” ছবি তৈরির কাজ আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল, তবে অভিনয় ছবির মান্যতা বাড়িয়েছে – takmaaa.com
You cannot copy content of this page. This is the right with takmaa only

“দিন রাত্রির গল্প” ছবি তৈরির কাজ আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল, তবে অভিনয় ছবির মান্যতা বাড়িয়েছে

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ : “দিন রাত্রির গল্প” সত্যিই একটা সাহসিকতার পরিচয়। নির্দেশক ডঃ প্রসেঞ্জিত চৌধুরীর প্রথম নির্দেশনা হলেও এরকম একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনাটাকে সেলাম জানাতে হয়। আজও পর্যন্ত এরকম একটা বিষয় নিয়ে যেখানে কোন নির্দেশক ভাবেন নি সেখানে ডঃ প্রসেঞ্জিত চৌধুরী যে ভাবতে পেরেছেন এবং দর্শকদের মধ্যেও তাঁর ভাবনাটাকে ফোঁটাতে পেরেছেন তার তারিফ করতেই হয়। এই প্রথম মহাকাশের একটা গল্প নিয়ে বাংলা ছবি দেখল দর্শক। তবে এটা বলা যেতে পারে অল্প বাজেটে এধরণের ছবি হয় না। এখানে আরও অনেক কিছু দেখানোর জায়গা ছিল।প্রধানত যেটা ছবিতে ফুটে উঠেছে, বর্তমানে সন্তানেরা বিদেশে চলে যাচ্ছে নিজের মা-বাবাকে দেশে ফেলে রেখে। কিন্তু মা-বাবার সন্তানের প্রতি যে মানসিক যন্ত্রণা তা কতটা সেটা খুব বলিষ্ঠ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে রাজা সেন, দেবেশ রায় ও রুমকি চ্যাটার্জি।

বিদেশে গেলে সন্তানরা বিপদে পড়লে কতটা অসহায় হয়ে পড়ে তা বেশ ভালোই ফুটিয়ে তুলেছে রায়াতি ভট্টাচার্য, সৌরভ চক্রবর্তী। দিশাহারা সন্তানরা দেশে ফেরার জন্য কতটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে তা ছবিতে নির্দেশক দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।এরসাথে যদি কোন মৃত্যুর বার্তা পৌঁছে দিতে হয় সন্তানহারা মা-বাবার কাছে সেটা কতটা ভয়াবহ আর সেখান থেকে রেহাই পেতে কত পথ, কত মানুষের সাহায্যের জন্য ঘুরতে হয় তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই পর্বে মহাকাশের উপর আরও কিছু ভাল কাজ দর্শক আশা করতে পারতো।

কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের গল্পের মধ্যে প্রথম পর্বকে চাপা দিয়ে চলে গেছে। একটা সাধারণ গল্পকে কিভাবে টুইস্টের মাধ্যমে একটা থ্রিলার, সাসপেন্স দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে দর্শকদের ভাবতে বাধ্য করেছে নির্দেশক। রজতাভ দত্ত-র অভিনয় নিয়ে কিছু বলার নেই। এধরণের চরিত্রে একমাত্র রজতাভ পারে তা ফুটিয়ে তুলতে। মাত্র দুটো চরিত্রের মধ্যে দিয়ে নির্দেশক শেষ পর্যন্ত দর্শককে ধরে রেখেছে।রজতাভ দত্ত-র সাথে পাল্লা দিয়ে সুপ্রীতি চৌধুরী ভাল অভিনয় করেছে। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে চরিত্রকে বিভিন্ন ভাবে বুঝতে বাধ্য করেছে কিন্তু শেষটা দেখার পর দর্শকদের ধারণা বদলাতে বাধ্য করেছে। ছবিতে গীতিকার শান্তনু দত্ত এবং গান গেয়েছেন সোমলতা আচার্য্য চৌধুরী। এই ছবি আগেই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়ে গেছে। প্রথম প্রয়াস হিসাবে ভাল বলাটা ঠিক হবে না। ট্রায়াল ও এরারের মধ্যে দিয়ে আগামীদিনে আরও কিছু ভাল দেখার আশায় থাকবে দর্শক। প্রচারে সুদীপ যাদব। ছবি : রাজেন বিশ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *