Warning: mysqli_real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:101106 Library:100236 in /home/u190665168/domains/takmaaa.com/public_html/wp-includes/wp-db.php on line 1653
সোনারপুরের ২ নং ওয়ার্ডে বিধায়ক ফিরদৌসী প্রচারে এসে বুঝলেন স্বচ্ছ ভাবমুর্তির কাউকে নিয়ে মানুষের কাছে গেলে মানুষ বেশি আশির্বাদ করবে – takmaaa.com
You cannot copy content of this page. This is the right with takmaa only

সোনারপুরের ২ নং ওয়ার্ডে বিধায়ক ফিরদৌসী প্রচারে এসে বুঝলেন স্বচ্ছ ভাবমুর্তির কাউকে নিয়ে মানুষের কাছে গেলে মানুষ বেশি আশির্বাদ করবে

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৬শে মার্চ ২০২১ : ১০ই এপ্রিল ২০২১ দিনটা সোনারপুর উত্তর বিধানসভার সব রাজনৈতিক প্রার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এইদিন তাদের ভাগ্য নির্ধারণের দিন। আর তাই সেই দিনকে স্মরণীয় করতেই সকলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সবার থেকে গত দুবারের বিধায়ক তৃনমূলের এবারে তৃতীয়বারের প্রার্থী ফিরদৌসী বেগম বেশ অনেকটাই এগিয়ে, কারণ সবার আগে তৃনমূল দল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। সব শেষে বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। ফিরদৌসী প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরদিন থেকেই প্রচারের মাঠে নেমে পরেন।পঞ্চায়েত এলাকার সাথে সাথে পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতেও প্রচার শুরু করে দেন, সেরে ফেলেন পাড়া বৈঠক ও এলাকা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন।

সাম্প্রতিক রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের প্রচার করতে এসে তিনি তাঁর আগের কথামত স্বচ্ছ ভাবমুর্তির উপর জোর দিয়েছেন। আমরা আগেই করোনা লকডাউনের অনেক আগে প্রকাশ করেছিলাম আমাদের এক স্বাক্ষাৎকারে বিধায়ক বলেছিলেন ২ নং ওয়ার্ডে এমন মুখ প্রচারের সামনে আনবো না যাতে দলের ভাবমুর্তি খারাপ হয় এবং ভোটাররা বিমুখ হয়। ঠিক সেভাবেই এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় সেই ২ নং ওয়ার্ডে মানুষের সামনে নিয়ে গেলেন এই ওয়ার্ডের সব থেকে জনপ্রিয় মুখ স্থানীয় সমাজসেবী সুকান্ত মণ্ডলকে।ওয়ার্ডের বহু স্বক্রিয় তৃনমূলকর্মীরা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় অবশেষে বিধায়কের সাথে সরাসরি দেখা করে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন এই ওয়ার্ডের এক তৃনমূল নেতৃত্বের ব্যাপারে যার দুর্ব্যবহারের ফলে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে এই ওয়ার্ড থেকে পিছিয়ে পড়তে হয়। যে নেতৃত্বের না আছে কোন সু-ব্যবহার না তিনি মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা অভিযোগ জানায় এবার যদি তাঁকে মানুষের দরজায় নিয়ে যেতে হয় তবে মানুষ সরাসরি তৃনমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। মানুষ তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিতশ্রদ্ধ।

পৌরসভার বিভিন্ন কাজে যিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে ও নিয়মের মধ্যে হলেও মোটা টাকার অর্থের বিনিময় কাজ করিয়ে দিয়েছেন।তিনি অন্যত্র একজন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রেলকর্মী। মানুষ তাঁকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। গত ৫ বছর তাঁর পরিবারের একজন আত্মীয় পৌরপিতা ছিলেন শুধুমাত্র কাগজে আসলে অর্থের বিনিময় তিনিই পৌরপিতার কলমে বহু অনৈতিক কাজ করেছেন যা মানুষকে উপায় না থাকার ফলে মেনে নিতে হয়। তারা বিধায়ককে এমনও জানায় এবার ফের তাঁকে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হলে এই ওয়ার্ডের প্রচুর সংখ্যক তৃনমূলকর্মী সরে যাবে বা বসে যাবে। এই সংবাদও আমরা পরিবেশন করেছি। আমি আর নতুন করে সেই নেতৃত্বের নাম উচ্চারণ করার প্রয়োজনবোধ করছি না কারণ কারুর কথা না উল্লেখ করলেও আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি যে এমন কুরুচি সম্পন্ন একজন মানুষ যিনি আমার নিজের “মা”কে দেহব্যবসায়ী আখ্যা দিতে পিছুপা হন নি, কারণ ছিল একটাই আমি তাঁর অপকীর্তি প্রকাশ করে সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম যে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে তৃনমূলকে পিছিয়ে পড়তে হবে। কি অভাবনীয় রুচি সম্পন্ন তৃনমূল নেতৃত্ব তা সেদিন উপলব্ধি করতে পেরেছিলেম। এই ঘটনা গড়িয়া টাউন তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি নিজেও অবগত যা আমায় বলতে হয় নি, তাঁকে তৃনমূলের একজন জানিয়েছিলেন যা পরবর্তীতে টাউন সভাপতি আমায় জানান।

যাই হোক, বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম সুকান্ত মণ্ডলকে নিয়ে প্রচার করে বেশ উপলব্ধি করতে পেরেছেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছেন। ফিরদৌসী বেগম নিজেই বেশ উৎসাহিত হয়ে আমার সাথে কথায় কথায় জানিয়েছেন মানুষ বেশ স্বতঃস্ফুর্ত হয়ে এগিয়ে এসেছেন। মানুষের মন অনেকটাই তৃনমূলমুখী করা গেছে। বিজেপিও সেই নেতৃত্বের বিভিন্ন অপকীর্তির কথা তুলে ধরে পথসভা করে প্রচার করেছেন। বিজেপি খুবই আশাবাদী ছিল যে তাঁর পরিবারের কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক তাহলে তাদের জয় নিশ্চিত। এক মিছিলে এই ওয়ার্ড়ের যাকে নিয়ে খুব সমস্যা হয় বলে অভিযোগ সেই হাদু বাপ্পা সোনারপুরের এক নেতৃত্বের সামনে মুখ খুলে প্রশ্ন করেছিল, ওই নেতৃত্ব নিজের আত্মীয়দের ভোট পাবে তো? পাড়া তো অনেক পরের কথা। এই মামুলি রেলকর্মীর তৈরি বাড়ি দেখলে মাথা ঘুরে যাবে, অনেকে ভাবতে বসে যাবেন কত টাকা বেতন পান যে নীচ থেকে মারবেল দেওয়া। একবার রেল দপ্তর তদন্ত করলে সবটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে, টাকার উৎস কোথায়। আজ সুকান্ত মণ্ডলকে সামনে পেয়ে ওয়ার্ডের তৃনমূল কর্মীরাও বেশ উৎসাহিত হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে এবং তারা নেতৃত্বের কাছে এমনও দাবি রেখেছে সামনের পৌরসভা নির্বাচনে সেই নেতৃত্বের মননীত তৃনমূলের প্রার্থী যেন না করা হয়। যদি সেরকম হয় তবে তারা বিধানসভা থেকেই পিছিয়ে যাবে।এরপর হয়তো তৃনমূল কিছুটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে সক্ষম হবে যার আভাস পাওয়া যাবে ১০ই এপ্রিল আর তা প্রকাশ পাবে ২রা মে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *