পুজোর আগে বাজারে কেনাকাটার ঢল, এরপর হাসপাতালে জায়গার জন্য চিন্তিত চিকিৎক মহল
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১২ই অক্টোবর ২০২০ : কোভিড পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিন ৩০০০ উপর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে আর মৃত্যু হচ্ছে ৬০। লকডাউন থেকে আনলক হতে মানুষ যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন।নিজেরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তখনও মানুষের হাতে সেভাবে অর্থের যোগান ছিল না। কিন্তু পুজোর গন্ধ শুরু হতেই মানুষ উত্তাল হয়ে ওঠে তাঁদের ও পরিবারের কেনাকাটার জন্য। কার কথা কে শোনে পুজোর আগে শপিংয়ের ভিড় দেখলে মনেই হবে না করোনা রোগীতে ছেয়ে রয়েছে হাসপাতালগুলি। এরপর হাসপাতালে জায়গা থাকবে না বলে বেশ চিন্তিত চিকিৎক মহল ।
চিকিৎসকেরা এই আশঙ্কায় গত শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। সেই চিঠিতে তাঁরা লেখেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলি পুরো ভর্তি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। এরপর যদি ব্যাপক হারে করোনা হয় তবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
কলকাতার গড়িয়াহাট চত্বরেই দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে দিয়েছে মানুষের শপিং ম্যানিয়া। বড় দোকান হোক আর ফুটপাথের সর্বত্র ছিল একই ছবি। এর আগে কেরলে ওনাম উপলক্ষ্যে জমায়েতের ফল পাওয়া গিয়েছে হাতেনাতে। ওয়াংশিটনেও এক গির্জায় জনসমাগমের পরবর্তী সংক্রমণের উদাহরণ রয়েছে।রাতারাতি রথযাত্রার পর করোনা বেড়ে যায় পুরী এবং সংলগ্ন অঞ্চলে। চিকিৎসকরা জানান, সব মিলিয়ে নিশ্চিত জনসমাগম না এড়াতে পারলে করোনা মানুষের মধ্যে সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠবে।