কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে শৃঙ্খলার সঙ্গে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডের ৩০ ফুট ঝিলে বিধায়ক ফিরদৌসীর পরিক্রমা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২১শে নভেম্বর ২০২০ : গতকাল রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত ৩৫ নং ওয়ার্ডের রানিয়া তিরিশ ফুটের ঝিলে ছট্ পূজা অনুষ্ঠিত হল কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে শৃঙ্খলার সঙ্গে। প্রতি বছর এই ওয়ার্ডের তিরিশ ফুট ঝিলে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ জমায়েত করতেন এই ছট্ পূজাকে কেন্দ্র করে । এ বছর প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় করোনা আবহের জন্য সেই বিশাল জনসমাগমকে নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। এইদিন বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম নিজে উপস্থিত ছিলেন রানিয়াতে । যেহেতু সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মধ্যে বেশি সংখ্যক অবাঙালি মানুষ রানিয়া অঞ্চলে বসবাস করেন, তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত ফিরদৌসী বেগম ৩৫ নং ওয়ার্ডের রানিয়া ও বুড়িয়া অঞ্চল প্রদক্ষিণ করেছেন । বিধায়ক তাঁর সংগঠনের বিদায়ী পৌরপিতা গৌরহরি দাস এবং স্হানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবী ও এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষ দেবাশিস দাশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন অবাঙালি অধিবাসীবৃন্দের বাড়িতেও যান । বিধায়ক নিজে সিঁড়ি ভেঙে স্থানীয় বিদ্যাসাগর সরনীর এক অবাঙালি গৃহস্থের তিনতলা বাড়ির ছাদের উপরে তৈরি অস্থায়ী জলাশয়ে ছট্ পূজার অভিনব প্রয়াস দেখে আপ্লুত হন । ঐ পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে বিধায়ক কথা বলেন ও তাদের অসুবিধা সুবিধা জিজ্ঞেস করলেন। ঐ পরিবারের সদস্যরা ও পাশ্ববর্তী পরিবারের সদস্যরা এই বিশেষ দিনটিতে বিধায়ককে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হন।
স্হানীয় অনেককে আলোচনা করতে শোনা যায় যে – তাঁরা বিশ বছর রানিয়াতে বসবাস করছেন, কিন্তু “এর আগে কোনো বিধায়ককে পূজা অনুষ্ঠানে বাড়ি বাড়ি আসতে দেখি নি”। ঐদিন সন্ধ্যায় বোড়াল রক্ষিতের মোড়ে একটি জগদ্ধাত্রী পূজা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিধায়ক বলেন- রানিয়াতে প্রত্যেক বছর এই ছট্ পূজাকে কেন্দ্র করে যে পরিমাণ মানুষ ভিড় করতেন তার অর্ধেক পরিমাণ মানুষ তিরিশ ফুট ঘাটে এবছর উপস্থিত হয়েছিলেন। ঐ এলাকার মানুষ সচেতনভাবে করোনা সংক্রামক ব্যাধিকে পরাস্ত করতে মানুষ নিজের বাড়ির ছাদে ও নিজেদের বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী জলাশয় তৈরি করে ছট্ পূজার আয়োজন করেছেন। তাছাড়া তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে রানিয়া অঞ্চলে ছোটো ছোটো পুকুরগুলিতেও ছট্ পূজার ব্যবস্থা করা হয় যাতে তিরিশ ফুট ঘাটে উপস্থিতির সংখ্যা কম হয় ।কোভিড পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আবেদন ও উচ্চ ন্যায়ালয়ের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে সুন্দর সর্বাঙ্গীন ছট্ পূজা পালন করার জন্য, বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ঐ জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠান থেকে রানিয়া অঞ্চলের ছট্ পর্বে যুক্ত সমস্ত পরিবারকে তাঁর আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । বিধায়ক ফিরদৌসী রানিয়া ‘সার্বজনীন পূজা ঘাট কমিটি’র সকল কর্মকর্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান ।