অভিনেতা তাপস পালের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া সিনেমা পাড়ায়
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ : তাপস পাল একসময় বহু বাঙালি দর্শকের মনে দাগ কেটেছিলেন। তাপস পালের জন্ম ২৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৫৮। আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১বছর। মঙ্গলবার ভোরে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় এই তারকার । অভিনিয়ের পাশাপাশি তিনি দুবারের বিধায়ক। ২০০১ ও ২০০৬ সালে তিনি কলকাতার আলিপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিধায়ক হন এবং ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন।তবে ২০১৬ সালের শেষের দিকে রোজ ভ্যালি নামে একটি চীট ফান্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে।
হুগলীর চন্দনগরের সেদিনের সেই যুবক ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। ‘গুরুদক্ষিণা’ ছবির জন্য তাঁকে আজীবন মনে রাখবে বাংলার দর্শকমহল। ওই ছবিতে কালী বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যুগল বন্দি রীতিমতো কাঁদিয়েছিল বাংলার দর্শককে। এছাড়াও বাংলার মতো বলিউডের ছবিতেও কাজ করছেন তাপস পাল। অবোধ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর।চোখের আলো’, সুরের ভুবনে’, সমাপ্তি’, মায়া মমতা’, ’অন্তরঙ্গ’ প্রভৃতি বিখ্যাত বাংলা সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮১ সালে সাহেব ছবির জন্য তিনি পান ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড।
রোজ ভ্যালি কান্ডে ভুবনেশ্বরের জেলে থাকাকালীন তাঁর রাজনীতির উপর থেকে আকর্ষণ চলে যায়। একই জেলে যেখানে সুদীপ ব্যানার্জি ছিল সেখানে তাঁর সাথে বেশ বৈষম্য আচরণ করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আর তাপস পাল আর রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন নি। অবশেষে তাঁর আর রাজনীতিতে ফেরা হল না, চলে যেতে হল। সাংসারিক জীবনেও শান্তি ছিল না তাপস পালের। মায়ের সাথে ছিল চরম বিবাদ।