কলকাতায় চালু হচ্ছে ‘বর্ন টু ইনস্টাগ্রাম’, সৃজনশীল ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের নিয়ে বিকাশের কর্মসূচিতে ঋতাভরী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ : কলকাতায় আজ ‘বর্ন অন ইনস্টাগ্রাম’ কর্মসূচি চালু করল ইনস্টাগ্রাম। লক্ষ্য হল পশ্চিম বাংলায় সবচেয়ে সৃজনশীল কনটেন্টের স্রষ্টাদের খুঁজে বের করা, তাদের সামনে নিয়ে আসা ও এধরনের আরও বেশি সৃজনশীল কনটেন্টের স্রষ্টা তৈরি করা। এই কর্মসূচি কনটেন্টের স্রষ্টাদের দেবে ইনস্টাগ্রামকে সবচেয়ে ভালভাবে কাজে লাগানোর জ্ঞান এবং শানিত করবে তাদের গল্প বলার ক্ষমতাকে।
সারা বিশ্বে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। ইনস্টাগ্রামের লক্ষ্য হল আপনাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং আপনার পছন্দের জিনিসের কাছে নিয়ে যাওয়া। জীবন্ত, গোষ্ঠীগত সাংস্কৃতিক প্রাসঙ্গিকতার জন্য এবং চাক্ষুষ করার মতো বিষয় প্রকাশ করা যায় বলে ভারতেও ইনস্টাগ্রাম দারুণভাবে জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রাম এই জন্য গর্বিত যে তাদের গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে বিরাট কোহলি এবং দীপিকা পাড়ুকোন। বাংলার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, যেমন সৌরভ গাঙ্গুলি, জিৎ, নুসরৎ জাহান, মিমি চক্রবর্তী, ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং শ্রাবন্তী সিংয়েরা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।
যাঁরা সৃজনশীল ইনস্টাগ্রামে তাঁদের বড় ভূমিকা নেওয়ার মতো জায়গা আছে।কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের জন্য এবং আশ্চর্য করে দেওযার মতো সামাজিক ভিডিও মুহুর্ত তৈরির জন্য সৃজনশীলেরা এই মঞ্চটাকেই তাদের আদর্শ হিসাবে বেছে নেয়। ঠিক এই কারণেই এই অ্যাপ ঘোষণা করেছে ‘বর্ন টু ইনস্টাগ্রাম’ কর্মসূচি যার লক্ষ্য হল সৃজনশীলদের ১৫টি ইভেন্টের সিরিজে সঙ্গে নেওয়া এবং এর একটা হবে কলকাতায়। একই সঙ্গে এই কর্মসূচি তাদের দেবে বছরের বাকি সময় জুড়ে একগুচ্ছ সুবিধা যার মধ্যে থাকবে ওয়ান অন ওয়ান পার্টনার ম্যানেজমেন্ট, এই মঞ্চের সেরা অনুশীলনের সময়, ভিডিওতে গল্প বলার টেকনিক, বিখ্যাত স্রষ্টাদের মেন্টরশিপ, একসঙ্গে সৃষ্টি করার বহু সুযোগ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সম্পদ।
ফেসবুক ইন্ডিয়ার হেড অফ পার্টনারশিপস মনীশ চোপড়া বলেন, ‘বর্ন অন ইনস্টাগ্রাম’ এমন একটা কর্মসূচি যা কনটেন্ট নির্মাণে সৃজনশীলতাকে স্বীকৃতি দেয়। তেমন সৃজনশীলতা আমরা সারা ভারত জুড়ে ছোট বড় সব শহরে দেখতে পাচ্ছি। জীবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশের জন্য কলকাতা সব সময়ই সুপরিচিত। এই শহরের কনটেন্টের স্রষ্টাদের মধ্যেই তার প্রমাণ রয়েছে। চাক্ষুষ করা যায় এমন গল্প বলার ওপরে জোর দিয়েই আমরা আমাদের শক্তি গড়ে তুলি। এবং উদ্ভাবনামূলক ফিচার চালু করি যা নিরাপদ আত্মপ্রকাশের শক্তি বৃদ্ধি করে। ভারতের পরবর্তী শক্তিশালী ডিজিটাল কনটেন্ট স্রষ্টাদের চিহ্নিত করার জন্যএবং তাদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে পারার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি আমাদের সাহায্য করবে ।’
কলকাতায় সারা দিনের যে ইভেন্ট হয়েছে তার উল্লেখযোগ্য দিকগুলির মধ্যে ছিল, আগুনের আঁচ পোহাতে পোহাতে ইন্দ্রাণী বিশ্বাস ওরফে ওয়ান্ডার মুন্নার সঙ্গে আলাপচারিতা। তিনি একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পী এবং তাঁর অনুগামী ৮৪ হাজার। এই মঞ্চকে কাজে লাগানোর বিষয়ে তাঁর মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি তিনি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। সুপরিচিত বাঙালি অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (অনুগামী ১৪ লক্ষ) এই ইভেন্টে হাজির ছিলেন। পরী, শেষ থেকে শুরু এবং শিগগরিই মুক্তি পাবে যে ছবি ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মোটি —এই সব ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সুপরিচিত। তাঁর ইনস্টাগ্রাম অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার ছবি থেকে শুরু করে আমার নতুন চেহারা, আমার বেড়ানো, আমার সামাজিক উদ্যোগ, এসবের লক্ষ্য হল সমাজে একটা আলাদা ছাপ রাখা। ইনস্টগ্রামে আমার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারি। বিশেষভাবে ব্যবহার করি দ্য ফিড, স্টোরিজ ও আইজিটিভি, আমার প্রতিদিনের স্মরণীয় মুহুর্তগুলি শেয়ার করার জন্য। আশা করি আরও অনেকে এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। এবং যৌথভাবে তাঁদের ইনস্টাগ্রামের দক্ষতায় শান দেবেন। এবং এসব করার সময় নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি কে তা জানানোর জন্য ইনস্টাগ্রাম ছাড়া আর কোনও ভাল মঞ্চ নেই। তাছাড়া এর মাধ্যমে ভাল কিছু করার জন্য লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন। এটা আমার হয়ে কাজ করে। আমি নিশ্চিত এই মঞ্চ আপনার হয়েও কাজ করবে।’
কলকাতার ইভেন্ট ছিল কর্মসূচির সূচনা। এখানে যে সব কনটেন্ট ক্রিয়েটর যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ইনস্টাগ্রাম টিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবেন। একটানা সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে তাঁরা অনলাইন ও অফলাইনের সম্পদ থেকে সমৃদ্ধ হবেন এবং ক্রমাগত পরামর্শ চালিয়ে গেেল তাঁদের গোষ্ঠীটাও ধীরে ধীরে বড় হবে।
ইনস্টাগ্রামের অন্যতম প্রিয় ক্যামেরা ফরম্যাট হল বুমেরাং। খুব শিগগিরই বিশ্বজুড়ে এই ফরম্যাটকে আরও উন্নত করা হবে। তারই পিছু পিছু সূচনা হবে বর্ন টু ইনস্টাগ্রাম কর্মসূচির। নতুন ফরম্যাটের ক্যামেরা ব্যবহার করে আপনি সৃজনশীলভাবে এবং নতুন নতুন উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন। এই ফরম্যাটে ব্যবহার করা হবে নতুন নতুন উপায়—স্লোমো, একো, ডু, ট্রিমিং অ্যান্ড ক্ল্যাসিক। এসবের সাহায্যে আপনার প্রতিদিনের মুহুর্তকে মজার ও চমকপ্রদ করে তোলা যাবে। প্রচারে মিডিয়া শাইন।