প্রথম পাতা

রাজপুর সোনারপুরের ১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা নিয়ম করে ওয়ার্ডের প্রতিটা বুথে অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৩ই মে ২০২০ : করোনার প্রকোপ সোনারপুর উত্তরের বহু এলাকায় যেভাবে থাবা বসিয়েছে তাতে সোনারপুর উত্তরের বহু জায়গা অরেঞ্জ জোন থেকে রেড জোনে পৌঁছে গেছে।তার মধ্যে বেশ কয়েকটা ওয়ার্ডে এবং পঞ্চায়েত এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারাও গেছেন।এর ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন আরও কঠিন হয়ে গেছে।রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কলকাতা কর্পোরেশন লাগোয়া হওয়ার ফলে প্রথম থেকেই রেড জোনে রাখা হয়েছিল। এখানকার বাজার থেকে দকানপাট খোলার ব্যাপারে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এই ওয়ার্ডে মানুষের জীবনযাত্রা অসহায় হয়ে পড়ে।রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা পাপিয়া হালদার করোনার জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রথমে নিজের কার্যালয় থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এরপর ধীরে ধীরে লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে থাকার সাথে সাথে মানুষ আরও বেশি অসহায় হতে থাকে তখন তিনি মানুষের জন্য রান্না করা খাবার প্রতিটা সদস্যের জন্য পৌঁছে দেওয়া শুরু করেন সকলের বাড়িতে।সাংসদ ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জির কমিউনিটি কিচেনের অনুকরণে সেই একই নামে “কল্পতরু” নামে প্রতিদিন নিজের ওয়ার্ডে প্রায় ১০০০ মানুষকে রান্না করা খাবার নিজে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেন।কিন্তু এরপর করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে থাকে যার ফলে লকডাউন তৃতীয় দফায় ফের সময়সীমা বাড়ে।

মানুষের এবার খাদ্য সঙ্কটের সাথে অর্থ সঙ্কট দেখা দেয়। পৌরমাতা পাপিয়া হালদার এবার নিজে দায়িত্ব নিয়ে নিয়ম করে ওয়ার্ডের প্রতিটা বুথে এই অসহায় মানুষকে ফের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।তিনি তাঁর খাদ্য সামগ্রী বিতরণের রুটিনের মধ্যে যেমন রেখেছেন শ্রীনগর সি ৫ বাস স্ট্যান্ড থেকে তিন দিন, বালিয়া থেকে তিন দিন, পশ্চিম পাড়া থেকে দু দিন, বালিয়া পার্ক থেকে তিন দিন, নেপাল সরনী একদিন, ক্ষিরিশ তলা একদিন, গড়াগাছা দু দিন, আদিবাসী পাড়া দু দিন, প্রামানিক পাড়া একদিন। এই দিনগুলোয় পাপিয়া মানুষের জন্য যেমন দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী তেমন কচিকাঁচাদের জন্য বেবী ফুড বিতরণ করছেন।এই অঞ্চলে বহু পরিবার রয়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ যারা এই লকডাউন পরিস্থিতিতে রোজগার হারিয়েছেন। তাঁরা আজ পাপিয়ার এই উদ্যোগের ফলে নিজেদের পরিবার নিয়ে কোনমতে খেয়ে বেঁচে আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *