রথের দড়িতে টান না পড়লেও মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে রথযাত্রা উৎসব পালন করল “
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৫শে জুন ২০২০ : করোনা বর্তমানে এক মহামারী রূপ ধারণ করেছে যার কারণে সারা বিশ্বে প্রায় ১ কোটি মানুষ এবং এই রোগে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৪,৮২,০২২ কিন্তু ভারতে আক্রান্ত ৪,৭২,৯৭১ যার মধ্যে মৃত ১৩,৯০৭ জন। এই অবস্থায় কোন সরকার রথযাত্রা উৎসব পালনের অনুমতি দিতে কুন্ঠিত বোধ করছেন। কিন্তু রথযাত্রা একটা প্রধান উৎসব হিসাবে পালিত হয় ভারতে। এই রথাযাত্রা দিয়েই পরবর্তী পুজোর সূচনা হয় বলে বলা হচ্ছে। এবছর তার উপর রথযাত্রা শুরু হয় অম্বুবাচির সময় যা বলা হচ্ছে দেশের জন্য এক অশনি সঙ্কেত।এছাড়া এবছর যদি রথের দড়িতে টান না পড়ে তবে আগামী ১২ বছর আর রথাযাত্রা উৎসব করা যাবে না। তাই করোনা সংক্রমণ থেকে সাবধানে দুরত্ব বজায় রেখে নামমাত্র রথের দড়িতে টান পড়েছে পুরীতে।
এই অবস্থায় যাদবপুরের “দিগন্ত” রথের দড়িতে টান না দিতে পারলেও এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে সোনারপুরের বোড়াল এলাকায় রংকল মোড়ে রথের দিন এই এলাকার প্রায় ৫০০ জন মানুষকে ভোগ বিতরণ করল। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় “দিগন্ত”-এর উদ্দেশ্য হল দুর্গত, অসহায়, বিপদ্গ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজ সেবা করা। তাই করোনায় লকডাউনের সময় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছে, আমফানের সময় সুন্দরবন এলাকায় দুর্গত মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছে। একইভাবে এই রথযাত্রা উৎসবে মানুষ জগন্নাথদেবের প্রসাদ থেকে যাতে বঞ্চিত না থাকে তাই ভোগ বিতরণ করছে।