খবরাখবর

শহরে এই প্রথম ডিজিটাল গণেশ পুজোর সূচনা সল্টলেকের যুবক সংঘের পুজোয়

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৩রা আগস্ট ২০২০ : করোনা আবহে এ বছরের দূর্গাপুজো কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে প্রায় সব পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যেই রয়েছে ধোয়াঁশা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজোর সার্বিক রূপকে তুলে ধরার এই কঠিন প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে নিত্য অনুসন্ধান। এরই মধ্যে অনেকটা পথপ্রদর্শক হিসেবে এগিয়ে এলো সল্ট লেকের যুবক সংঘ ক্লাব। আগামী ২২ আগস্ট আসন্ন গণেশ পুজোকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল পুজো হিসেবে এ দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হলো উদ্যোক্তাদের তরফে। অর্থাৎ করোনা আবহে আগামীদিনে পুজো কিভাবে সম্পন্ন করা যাবে তার একটা আভাস মিলতে চলেছে যুবক সংঘ আয়োজিত এই গনেশ পুজোয়।
“আমাদের পুজোর উদ্বোধন, দর্শন, আরতি, কিংবা পুষ্পাঞ্জলি সবই সরাসরি হবে আমাদের ক্লাবের ফেসবুক পেজে। মানে পুরোটাই ডিজিটাল,,” জানালেন যুবক সংঘ ক্লাবের সভাপতি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। “যাঁরা পুজো দেবেন তাঁরা তাঁদের নাম ও গোত্র দিয়ে আমাদের পেজে পাঠিয়ে দিলে আমরা  পুজো দিয়ে তাঁদের বাড়ি প্রসাদও পাঠিয়ে দেব। ফলে কাউকে আর সশরীরে মণ্ডপে আসতে হবে না।” 
এগারো বছরে পদার্পণ করা যুবক সংঘের এবারের পুজোর থিম “গৃহকোণে বিনায়ক”। কলকাতার অন্যতম পুরোনো এই গনেশ পুজোয় প্রত্যেক বছরই নতুন থিম থাকে। যেমন গতবছর থিম ছিল হাজার বছরের পুরোনো একটি গণেশ মূর্তি। অনিন্দ্য আরও জানালেন, “এই করোনাভাইরাসের জন্য আমাদের সবাইকে সরকারি সব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজেশন করা  ছাড়াও আমরা এবার প্রসাদে কোনও ফুল ব্যবহার করতে পারছি না। তবে অন্যদিক থেকে দেখতে গেলে এই ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার ফলে আমাদের পুজো আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের ক্লাবের পরিবারের অনেক সদস্য যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁরা আমাদের পুজোকে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাবেন। যেটা হয়তো আগে আমাদের করে ওঠা হয়নি।” 
গণেশ চতুর্থী মানেই তো সিদ্ধিলাভের আশা। সেই আশাতেই হয়তো সল্ট লেকের যুবক সংঘ আজ কলকাতার পুজোর ইতিহাসে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে।প্রচারে ক্যানডিড কমিউনিকেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *