প্রেম বা ভালোবাসা যাই বলো না কেন, এটা ঠিক কড়াপাকের মতো
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২২শে নভেম্বর ২০১৯ : দেব যে কি ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে তা শুধু ভগবানই জানে। তার কারণ যে মেয়ের সাথে ওর আলাপ হয় সেই মেয়েরই বিয়ে হয়ে যায়। এদিকে পিয়ালীরও বিয়েটা হল না। কাকতালীয়ভাবে একদিন দুজনের দেখা হয়ে যায়। এরপর আসতে আসতে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। এই পর্যন্ত সবটাই ঠিক ছিল। কিন্তু একদিন দেব আর পিয়ালী একটা কান্ড করে ফেলল। দুজনে যখন নিজেদের বিয়ে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ঠিক তখনই তারা একটা ব্যাপার একইসাথে একই মত প্রকাশ করল। সেটা হল পুরুষ ও নারীর মধ্যে যদি প্রেম না থাকে,ভালবাসা না থাকে তাহলে তাদের বিয়ে করা উচিত নয়। এবার তাদের মধ্যে প্রশ্ন জাগে তারা দুজন কি দুজনকে তীব্র ভালোবাসে যে বিয়ে করতে বাঁধা নেই। যখন দেব দ্বিধায় পড়েছে তখন পিয়ালী বলল একটা পরীক্ষা হওয়া দরকার দুজনের মধ্যে।
ছ’মাস তারা দুজন দুজনের সাথে কোনভাবে যোগাযোগ রাখবে না তা ফেসবুক হোক আর হোয়াটসঅ্যাপ হোক। কোন ম্যাসেজ দেওয়া যাবে না। ছ’মাস পরে রাত ১২টায় প্রথম যে বাসস্ট্যান্ডে দেখা হয়েছিল সেখানে দেখা হবে। দুজনের মধ্যে একজন আসে আর অন্যজন না আসে তখন বুঝে নিতে হবে সে তার জীবনসঙ্গিনী পেয়ে গেছে বা তার আর কোন ইচ্ছে নেই। তারপর মানে রাত ১২টার পর ফোন করা যেতে পারে। ছ’মাস পর দেখা গেল পিয়ালী রাজ নামে এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব করেছে কিন্তু তাকে ভালোবাসে না। এদিকে রাজ অপেক্ষায় আছে কবে পিয়ালীর যৌবনকে উপভোগ করবে। তার সাথে রাজ শুধু যৌন সম্পর্ক তৈরি করবে। এদিকে দেব পিয়ালীর অভাব বুঝতে পেরেছে, সে ছটফট করছে। কিন্তু একদিন সে পিয়ালীকে রাজ-এর সঙ্গে দেখে বেশ অবাক হল। সে ফ্রেন্ডশিপ সাইটে এক যুবতীর সাথে বন্দুত্ব করে। মেয়েটি তার যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য দেবকে ব্যবহার করতে গেল। কিন্তু দেব তা পারল না। ছুটে চলে এল বাসস্ট্যান্ডে, কিন্তু দেখে পিয়ালী আসে নি। অপেক্ষায় রাত দুটো, ফোন সুইচ অফ। হঠাৎ থানা থেকে ফোন। দেব পৌঁছাতেই দেখে পিয়ালী ও রাজ বসে আছে থানায়।
পুলিশ অফিসার পিয়ালী কান্ড বলতে শুরু করে। পুলিশ জানায়, রাজ মিথ্যা কথা বলে পিয়ালীকে নিয়ে বাড়িতে আসে। পিয়ালীরও দেবের কথা মনে পড়ে। সে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু রাজ তখনই তার আসল রূপে ফিরে আসে। পিয়ালী তাকে মেরে থানায় চলে আসে। দেব পিয়ালীর কাছে ক্ষমা চায়। পিয়ালীও বুঝতে পারে।তার কারণ পুলিশ অফিসার তাদের বলে যে প্রেম বা ভালোবাসা যাই বলো না কেন, এটা ঠিক কড়াপাকের মতো। যদি সামলে চলতে পারো তবে মিষ্টি আর তা না হলে পাকের তলায় তলিয়ে যেতে হবে।
এই নিয়েই ছবি “কড়াপাকের” চিত্রনাট্য রচনা করেছেন সৌরদীপ ব্যানার্জি এবং ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস ও পায়েল সরকার এছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছেন অনিন্দ্য চ্যাটার্জি, সুপ্রিয় দত্ত, রিই সেন, অমিত সাহা, তনিমা সেন, সুদীপা বসু সহ অনেকে। এটি পিকমো এনটারটেনমেন্ট প্রোডাকশন প্রযোজিত। প্রচারে ব্ল্যাকবেরি।