বিনোদন

ভারতের বর্তমান সময়ের সঙ্কটের উপর দাঁড়িয়ে দেশের সংস্কৃতি, সমৃদ্ধি ও ঐতিহ্যকে অটুট রাখতে বাংলা ছবি সৌরভের “আগুনের পরশমণি”

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ : ভারতের আজকের কি অবস্থা, দেশের আভ্যন্তরীণ ও পারিপার্শিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। একদিকে জঙ্গী হানা অন্যদিকে জাতপাতের তান্ডব। মানুষ আজ বিভ্রান্তিতে, বুঝতে পারছে না কোনটা করা উচিত হবে।দেশের সেনাবাহিনী নিজের উপর ভরসা রাখতে পারছে না, তাঁরা নিজেদের আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে তাঁরা কখনই পিছপা নয়। এই আর্থসামাজিক অস্থিরতা দেশের সম্প্রীতি ও অখন্ডতাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। দেশের সীমান্ত আজ নিরাপদ নয়। এরফলে দেশের নিরীহ মানুষ, শিশু, বৃদ্ধদের প্রাণ অকারণে চলে যাচ্ছে। দেশের কিছু রাজনৈতিক দল এই পরিস্থিতির মুনাফা লুটছে আর লুটছে সংবাদ জগৎ। এই দুই শ্রেনীর মানুষ মানুষকে আরও বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম আজ নিজের মুনাফা দেখতে গিয়ে বিকিয়ে যাচ্ছে। তারা মানুষকে ভুল খবর পরিবেশন করছে আর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

এরকম একটা সময়ে দাঁড়িয়ে কিছু নতুন প্রজন্মের মানুষ এগিয়ে আসে মানুষের মানসিকতাকে জাগিয়ে তুলতে, তাঁরা মানুষের দেশাত্ববোধকে ফিরিয়ে দিতে এগিয়ে আসে। দেশের সামরিকবাহিনীর আত্মবিশ্বাস একধাপ বাড়িয়ে দেয়। এরকম পরিস্থিতিতে মানুষের মনোবল অক্ষুন্ন রাখতে রাস্তায় নামে যাতে ভারত তাঁর হারিয়ে যাওয়া শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারে। আবার যাতে ভারত মাথা তুলে বিশ্বের দরবারে দাঁড়াতে পারে। আমাদের দেশের প্রধান শক্তি যুব সমাজ মানে যৌবন। সেই যুব সমাজকে আবার সজীব করতে উদ্যোগী হয় তাঁরা।তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে মানুষের কাছে গিয়ে আর্থিক সাহায্য নিয়ে দেশের শক্তির সঞ্চার করার প্রেরণা দেখায়। ভারতকে আবার একটা সুস্থ্য ও সুন্দর দেশ করে তুলতে চায়। তাঁরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্য ফিরিয়ে আনে। সেখানে তাঁরা হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে কোন ভেদাভেদ রাখে না। তাঁরা মনে করে দেশের সংস্কৃতি, সমৃদ্ধি ও ঐতিহ্যকে অটুট ছিল ও থাকবে।

এরকম একটা পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে সাহসিকতার সাথে বাংলা ছবির একটা গল্প লেখা ও নির্দেশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্দেশক সৌরভ পাল। ছবির পরিচালক পার্থ সারথি জোয়ারদার।এর আগেও পার্থ সারথি জোয়ারদারের নির্দেশনায় ছবি মানুষের মনে দাগ কেটে গেছে।এই ছবিও সেরকমই তাঁর মধ্যে অন্যতম হবে বলে আশা করা যায়। ছবির শুটিং-এর কাজ শেষ, এবার মুক্তির পালা। ছবিতে অভিনয় করেছেন সুব্রত ভট্টাচার্য, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, লাবনী সরকার, রাজেশ শর্মা, জিনিয়া চৌধুরী, দেবলিনা দত্ত, নির্বান গোস্বামী, প্রিয়া দেবনাথ সহ অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *