অভিষেকের কর্পোরেট কায়দায় ভার্চুয়াল সভায় অনিরুদ্ধের মাথায় নতুন পালক ৪ নং জোনের জোনাল হেড, ব্লকে পাপাই
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৯ই জুন ২০২০ : একদিকে যখন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে অমিত শাহ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভার্চুয়াল সভা করছেন অন্যদিকে সাংসদ ও সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি ১০জন স্টেট কোয়ার্ডিনেশন কমিটির সাথে ২৩টা জেলার জেলা কোয়ার্ডিনেশন কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক জরুরী বৈঠক সারলেন। দুজনের লক্ষ্য একটাই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। অভিষেক ব্যানার্জি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই প্রোজেক্ট সামনে এনেছেন যেখানে আগামী ১ মাসের মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার নতুন মুখদের খুঁজে এনে দলের কার্যকলাপের সাথে যুক্ত করতে হবে যারা করোনা বা আমফানের এই দুর্যোগে মানুষের পাশে থেকে সাহায্য করেছে। এবার দেখে নেওয়া যাক অভিষেক ব্যানার্জির কর্পোরেট কায়দার ফর্মুলা কিভাবে কাজ করবে গোটা রাজ্যে।আজকের এই ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
রাজ্যে মোট জেলা ২৩টা। এই ২৩টা জেলাকে ৫টা জোনে ভাগ করা হয়েছে যাদের আখ্যা দেওয়া হয়েছে “জোনাল হেড”। তাহলে ৫টা জোনের ২জন করে সদস্য জোনাল হেডের দায়িত্বে থাকবেন। ১) উত্তরবঙ্গের জোনে মালদা নিয়ে ৮টা জেলাকে রাখা হয়েছে। ২) ৪ নং জোনের জোনাল হেড হিসাবে দায়িত্ব পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি অনিরুদ্ধ হালদার (পার্থ) এবং রাজারহাটের তুর্কী যুব নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী।এই ৪নং জোনে থাকছে কলকাতা জেলা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা।কলকাতা জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, কুমার সাহা সহ আরও ৩জন থাকছেন। ৩) ৫ নং জোনে থাকছে হাওড়া, হুগলী ও মেদিনীপুরের একটা জেলা।
এই স্টেট কোয়ার্ডিনেশন কমিটির অভীনে থাকবে জেলা কোয়ার্ডিনেশন কমিটি যার মূল দায়িত্বে থাকবেন সব জেলার জেলা সভাপতি সহ ছোট জেলা হলে ১০ জন সদস্য এবং বড় জেলা হলে ১৫ জন সদস্য।দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কোয়ার্ডিনেশন কমিটির প্রধান থাকছেন জেলা সভাপতি শওকাত মোল্লা ও এই ১৫ জনের কমিটিতে থাকছেন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সি আই সি তথা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অন্যতম সহ সভাপতি নজরুল আলি মন্ডল।এই জেলা কোয়ার্ডিনেশন কমিটির অধীনে থাকবে প্রতিটা প্রশাসনিক ব্লকের ৫জন সদস্য যাদের বলা হবে ফিল্ড ওয়ার্কার। যেমন যদি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ২৯টা প্রশাসনিক ব্লকের মধ্যে সোনারপুর ব্লক ধরা হয়, সেখানে দুটো প্রশাসনিক ব্লক ১) দুটো বিধানসভার ১১টা গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে একটা ব্লক ২) রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫টা ওয়ার্ড নিয়ে একটা ব্লক। ১১টা গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ব্লকের দুজন সভাপতি সহ আরও ৩জন নিয়ে হবে একটা ব্লক যার মধ্যে থাকছে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল যুব সভাপতি পাপাই দত্ত ও সোনারপুর দক্ষিণ তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অনির্বান দাশগুপ্ত এবং রাজপুর সোনারপুরের ৫টা টাউন নিয়ে একটা ব্লক। প্রতিটা টাউন সভাপতিকে নিয়ে হবে একটা ব্লক। যদিও বোড়াল টাউনে বর্তমানে কোন টাউন সভাপতি নেই এবং গড়িয়া টাউনে যুগ্ম আহ্বায়কের মধ্যে যে বেশি কার্যকরি তাঁকে আপাতত এই ব্লক কমিটিতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।জেলায় প্রতি ৫জন ফিল্ড ওয়ার্কারের দায়িত্ব হল গোটা ব্লকে ৫০ জন করে প্রতিনিধিকে দলে যোগদান করানো। অর্থাৎ প্রতি ব্লক থেকে ২৫০ জন করে সদস্য যোগদান করাবে। এই ফিল্ড ওয়ার্কারদের একটা বিশেষ রেফারেল কোড থাকবে যার মাধ্যমে নতুন সদস্যদের যোগদান করাতে হবে। কিন্তু কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা অন্য। এখানে প্রতি ২.৫ ওয়ার্ড থেকে ১ জন করে ফিল্ড ওয়ার্কার করা হবে।পার্থ হালদারের এই গুরুদায়িত্ব আগামী বিধানসভার আগে অগ্নিপরীক্ষা হয়ে দাঁড়ালো।
আজ অভিষেক ব্যানার্জি ২৩টা জেলার জেলা কোয়ার্ডিনেশন কমিটি ও ১০ জোনের স্টেট কোয়ার্ডিনেশন কমিটির সদস্যদের নিয়ে সভা করেন এবং এই যোগদানের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।অভিষেক ব্যানার্জির সাথে এই যোগদানের ব্যাপারে কোনরকম যোগাযোগ বা রিপোর্ট জমা করতে পারবে শুধুমাত্র স্টেট কোয়ার্ডিনেশনের সদস্যরা।তবে এই বিজ্ঞানসম্মত কর্পোরেট স্টাইলের মাধ্যমে সবটা যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ হয় তবে ২০২১ সালের নির্বাচনে একটা বড় চমক দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।
তীর্থঙ্কর সেন (৪৬),