সীতানাথ শিশু শিক্ষা মন্দির স্কুলে স্কুল উন্নয়ন প্রকল্পের চার্জ নিয়ে বিক্ষোভ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৬ই ডিসেম্বর ২০২০ : গড়িয়ায় ইস্ট গড়িয়া এডুকেশন ও কালচারাল সোসাইটি পরিচালিত সীতানাথ শিশু শিক্ষা মন্দির স্কুলে আজ সকাল থেকে অভিভাবকদের জটলা শুরু হয়। তারা স্কুলের সামনে স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। অভিভাকদের বক্তব্য কোভিড প্যান্ডামিকের সময় যেখানে মানুষের রোজগার কমেছে সেখানে স্কুল কতৃপক্ষকে অনুরোধ করেও মাইনে নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা করে নি। বলপূর্বক প্রতি মাসের স্কুলের মাইনে দিতে বাধ্য করেছে। যেখানে আদালত মাইনে কমানোর কথা উল্লেখ করেছে স্কুল কতৃপক্ষ তা মানতে নারাজ।২০২০ সালের বিদ্যুৎ, লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ফি নিয়েছে। এবার নতুন বর্ষে ভর্তির সময় আবার ডেভেলপমেন্ট ফি ২০০০ টাকা ও সেশন ফি ১০০০ টাকা ও বিদ্যুৎ ফি বাবদ ৫০০ টাকা দিতে জোর দিচ্ছে স্কুল কতৃপক্ষ। বহুবার অনুরোধ করার পরও স্কুল কতৃপক্ষ অভিভাবকদের কোন অনুরোধ মানতে নারাজ। এমনও অভিযোগ তোলা হয় গত সেশনে কম্পিউটার ফি বাবদ ৭৫০টাকা নেওয়া হয়, স্কুলে বলতে গেলে স্কুলের তরফে বলা হয় কম্পিউটার পরিস্কার রাখার জন্য এই ফি দিতেই হবে।আজ স্কুলের সামনে অভিভাবকেদের সামনে জমায়েত হলে প্রধান শিক্ষিকার সাথে দেখা করতে চাইলে তাদের সাথে দেখা করেন নি।অভিভাবকেরা বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্কুলে। বাইরে থেকে কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে স্কুলে যেমন প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি তেমনিই বাইরে আসতেও দেওয়া হয় নি।অভিভাবকেরা অভিযোগ করে গত সেশনে (২০২০) স্কুল উন্নয়ন প্রকল্পে ২০০০ টাকা নেওয়ার পর স্কুল কতৃপক্ষ জানিয়েছিলেন আগামী বছরে আর দিতে হবে না। কিন্তু এবছর ফের জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে। কোন রকম সহানুভুতি দেখাচ্ছে না স্কুল কতৃপক্ষ।
এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গীতারানী গাঙ্গুলিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, স্কুল কতৃপক্ষ ইতিমধ্যে মেন্টেনেন্স ফি ২০০ টাকা, ম্যাগাজিন ফি ১০০ টাকা, স্পোর্টস ফি ১৮০ টাকা, লাইব্রেরি ফি ১০০ টাকা কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও অভিভাবকদের আবেদন স্কুলের ১৫০-২০০ জন ম্যানেজিং কমিটিকে জানানো হয়েছে। আজ তারা সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবে ফি কতটা কমাবে। সেই অনুযায়ী আগামীকাল অভিভাবকদের হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু অভিভাবকেরা ডেভেলপমেন্ট ফি, সেশন ফি ও বিদ্যুৎ ফি দিতে নারাজ। তারা জানান, যতদিন না কমানো হচ্ছে ততদিন এই বিক্ষোভ চলবে। কোন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তিও হতে দেওয়া হবে না। স্কুল ইচ্ছাকৃত একটা মোটা টাকা রোজগারের ফন্দি এঁটেছে। এই প্যান্ডেমিকের কথা তারা কোনভাবেই আমোল দিতে রাজি নয়। প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাবো।