২০২৬ নির্বাচনের আগে নবান্ন থেকে মানুষের সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের বড় ঘোষণা “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান”
অম্বর ভট্টাচার্য্য, তকমা নিউজ, কলকাতা, ২২শে জুলাই ২০২৫: গতকাল ছিল ২১শে জুলাই শহীদ দিবস, এইদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শহীদ তর্পনের সাথে বিজেপি শাসিত রাজ্য বাংলা ও বাঙালিদের উপর যে অত্যাচার চলছে তার বিরোধিতা করে কেন্দ্রে থাকা বিজেপি সরকারকে হুশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাঙালিদের গায়ে কোনরকম আঁচড় লাগলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না।

আর আজ নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বাংলার মানুষের জন্য সমস্যার সমাধানের আরেক রাস্তা খুলে দিলেন যার দায়িত্বে তিনি নিজে থাকবেন এবং সাথে থাকবেন মুখ্য সচিব ও পুলিশের পক্ষে ডিজিপি থাকবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা আলোকপাত করা যাবে যা সরকারি তরফ থেকে সরাসরি নজরদারি করে সমাধান করা সম্ভব হবে। কিভাবে রাজ্যের প্রতিটা বুথে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান হবে তার একটা চিত্র নীচে বিস্তারিত বলা হয়েছে যা মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন।
- আমি এখানে একটি নতুন সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা করতে এসেছি, যা তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হবে। আশা করি আপনারা সবাই এই কর্মসূচির গুরুত্ব বুঝবেন। এটা রাজনৈতিক কর্মসূচির থেকে আলাদা। যদি হতো, তাহলে আমি এটা গতকালের সভাতেই ঘোষণা করতাম। এটা একটি সরকারি কর্মসূচি
- আগে আমরা ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করেছিলাম। প্রায় ১০ কোটি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচির ৯০% কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০% কাজ কিছু প্রকল্পে এখনও বাকি আছে। অনেকেই আবেদন করেছেন, আমরা সেই প্রকল্পগুলো ডিসেম্বর থেকে চালু করব, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যেসব প্রকল্প রয়েছে
- দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। আমরা সর্বস্তরের মানুষের প্রয়োজনীয় দিকগুলোকে ছুঁয়ে যেতে চেষ্টা করেছি
- আমরা একটি কর্মসূচি শুরু করছি যার নেতৃত্বে আমি, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি পুলিশ থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’
- রাজ্য সরকারের তহবিলের উপর নির্ভর করে সরকারি বিভাগগুলির কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। MGNREGA তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, গ্রামীণ আবাস যোজনার তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, এবং রাস্তার তহবিলও বন্ধ করা হয়েছে
- ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় আমি নিজে দেখেছি, বিজেপি জল জীবন মিশন নিয়ে বড়সড় প্রচার চালিয়েছিল। অনেক ছবি দেখিয়েছিল, আমি নিজেও সেই বিজ্ঞাপন দেখেছি। অথচ প্রকৃত সত্য হলো, এই প্রকল্পে ৯০% কাজ আমরাই করি। জমি দেওয়া, পাইপ বসানো, রক্ষণাবেক্ষণ সবই রাজ্য সরকার করে। আর পুরো প্রকল্পে আমরা ৬০% টাকা দিই (রক্ষণাবেক্ষণ ও জমির খরচ বাদ দিয়েও)। ওরা দেয় ৪০%। অথচ সেই ৪০% টাকাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
- আমাদের ‘জল স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ৯৮ লক্ষ পরিবারে কলের জল পৌঁছে দিতে পেরেছি। বহু জায়গায় পাইপ বসানো হয়ে গেছে। তবুও কেন্দ্রীয় সরকার পুরো তহবিল আটকে রেখেছে। আমরা জমি দিয়েছি, পাইপ বসিয়েছি, নিজেদের অংশের টাকা দিয়েছি; তবুও কাজ এখন বন্ধ রাখা হয়েছে
- আমাদের প্রায় ৯৪টি সামাজিক প্রকল্প চালাতে হয়। MGNREGA-র জায়গায় আমরা চালু করেছি কর্মশ্রী। আমি আগেই বলেছিলাম, আমরা প্রায় ৭৫ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারকে কাজ দিয়েছি। এই ৯৪টি প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী থেকে বিনামূল্যে রেশন সবই আমরা চালাচ্ছি। অথচ আমাদের ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি (এখন সেটা আরও বেড়েছে) প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে
- কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও পক্ষপাতের মধ্যেও, বাংলার মানুষের আশীর্বাদে আমরা চেষ্টা করছি কারও মুখের হাসি, বা কারও প্রাপ্য সেবা কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে
- ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে মানুষ নিজেরাই এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে; সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, যাঁরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন
- অনেক সময় আমরা দেখি, পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা থেকে যায়; যেমন কোনও জায়গায় একটা কল বসানো দরকার, বা একটা ইলেকট্রিক পোল বসানো দরকার -এই ধরনের বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার। আমরা অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু তবুও কিছু জায়গা হয়তো কোনও কারণে বাদ পড়ে গেছে। এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একটি নতুন কর্মসূচি আনছি —আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। এই ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। দেখতে ছোট মনে হলেও এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। সব কাজ রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে
- আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান দেশের প্রথম এই ধরনের কর্মসূচি। এটি একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করা। সরকারি অফিসাররা ক্যাম্পে থাকবেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। প্রতিটি ক্যাম্প ৩টি বুথ নিয়ে তৈরি হবে, অর্থাৎ একেকটি ইউনিট হবে একেকটি পাড়া। আমাদের ৮০,০০০-এরও বেশি বুথ রয়েছে, তাই এই পুরো কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে ২ মাস সময় লাগবে। প্রত্যেকটি বুথে অফিসাররা সারাদিন থাকবেন। নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে, যেখানে পাড়ার মানুষ তাদের এলাকা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। অফিসারেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ঠিক করবেন
- পুরো কাজ অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে স্বচ্ছতা এবং পক্ষপাতহীনভাবে পরিচালিত হবে। মানুষ নিজেরাই সেখানে তাঁদের সমস্যা তুলে ধরতে পারবেন
- এই কর্মসূচির জন্য আমরা একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করেছি। প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মোট খরচ ৮,০০০ কোটিরও বেশি টাকা
- পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ বা পৌরসভা যেমন কাজ করছে, তেমনই কাজ করবে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন কর্মসূচি শুরু করছে
- এই কর্মসূচি ২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যা চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কাজ করবে। জেলায় ও রাজ্যে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পুলিশও সহযোগিতা করবে
- এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২ মাস ধরে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। দুর্গাপুজোর জন্য ১৫ দিনের ছুটি থাকবে, পরে আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে সব বুথই কভার করা হবে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল-উপর থেকে নয়, তৃণমূল স্তরের মানুষের কথা শোনা
- এই কর্মসূচির পাশাপাশি ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিও চালু থাকবে। নিজেদের জন্য মানুষের গর্বিত হওয়া উচিত, কারণ এখন আর মানুষকে সরকারের কাছে যেতে হয় না, সরকারই মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা সবার সহযোগিতা চাইব। প্রথমে এই কাজ ১৮০ দিনের জন্য ভাবা হয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা ২টি নয়,৩টি বুথ মিলে এক একটি ক্যাম্প গঠন করব বলে ঠিক করেছি। তাই ৬০ দিনের মধ্যেই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে
- গতকালই আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থেকে অঞ্জলি শীল ও নিত্য শীল নামে দুই ব্যক্তিকে অসম সরকারের তরফে ১৯ ও ২৫ জুলাই তারিখে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশ এসেছে কোকরাঝাড়ের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল থেকে, অসমিয়ায় লেখা। এরা সম্ভবত তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। অন্য একটি রাজ্য কীভাবে বাংলার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে? এটা শুধু অনৈতিক নয়, সংবিধান-বিরোধী এবং বেআইনিও। এখন এরা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমি সেই তথাকথিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ বিজেপিকে বলি, আগে নিজের ঘর সামলাও, তারপর বাংলায় ঢোকার চেষ্টা করো
- ওরা কালীমন্দির ভাঙছে, দাঙ্গা লাগাচ্ছে, বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, মানুষকে উচ্ছেদ করছে, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাচ্ছে, নাম বাতিল করছে। ওরা যদি মনে করে এইভাবে দেশ চালানো যায়, তাহলে দেশ বিভক্ত হয়ে যাবে। আর সেটা হলে, এই দেশের শক্ত ভিতটাই ভেঙে পড়বে, সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই, আমাদের দেশ ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী থাকুক
- এখন আবার হরিয়ানার ডবল ইঞ্জিন সরকার একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেটায় বাংলার মানুষকে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার ও উত্তর ২৪ পরগনার ডিএম এবং এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে নাম যাচাই করে রিপোর্ট পাঠানো হয়। এটা কি জোর করে বাংলা দখলের চেষ্টা? এটা কি বাংলার পরিচয় মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র? এটা কি ভাষা সন্ত্রাসের নতুন রূপ? সেই চিঠিতে ৫২ জনের নাম রয়েছে
- এখন ওরা কিছু রাজ্য বেছে নিয়ে পরিকল্পিত সমস্যা তৈরি করছে। কেউ ভয় পাবেন না; আমরা আছি। মানুষকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বিজেপি যদি ভাবে, ওরা ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে মহারাষ্ট্র বা দিল্লির মতো বাংলাকেও দখল করে নেবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। বিজেপি দেখেছে, মানুষ নিজেরাই রাস্তায় নেমেছেন, কাউকে আনা হয়নি
- ভারতের প্রতিটি নাগরিকের দেশজুড়ে কাজ করার অধিকার আছে। এটা সংবিধানে লেখা রয়েছে- রাইট টু ওয়ার্ক। বাংলায় ১.৫ কোটি মানুষ কাজ করেন। দেশের সমস্ত রাজ্য থেকেই মানুষ এখানে আসেন, কাজ করেন, ব্যবসা করেন, শিল্পে অবদান রাখেন। এখানে তো কখনও এমন সমস্যা হয়নি। তাহলে আমাদের রাজ্যের কেউ অন্য রাজ্যে কাজ করলে বিজেপির এত আপত্তি কেন? তাঁরা তো নিজেরা যাননি, তাঁদের দক্ষতা ও মেধার কারণে ডেকে নেওয়া হয়েছে
- গুজরাতের মানুষদের যখন শিকল পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেটা কি তাঁদের অপমান নয়? সেটা কি তাঁদের মর্যাদার অপমান নয়? এখন যারা গুরুগ্রাম, অসম, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লির মতো জায়গায় ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক আছেন। কে এমন বুদ্ধি দিচ্ছে, আমি জানি না। কিন্তু এটা যে বিভ্রান্তিপূর্ণ ভাবনা, সেটা নিশ্চিত
- পহেলগাঁওয়ে যারা নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলল, তারা এখনও ধরা পড়ছে না কেন? অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়েই বলি; তিনি মণিপুরের হিংসা থামাতে পারেননি, যেটা এখনও জ্বলছে, অথচ তিনিই পুরো উত্তর-পূর্বের দায়িত্বে। মণিপুর থেকে যিনি মন্ত্রী, তিনিও ভয়ে নিজের রাজ্যে যেতে পারেন না। এখন বাংলার উপর সব রাগ, ঘৃণা, বঞ্চনা, অপমান, অত্যাচার এমনকি ভাষাগত অত্যাচারও চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাষা প্রতিটি মানুষের গর্ব। আমি কোনও ভাষার বিরোধী নই, সব ভাষাকেই ভালোবাসি। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আমাদের মূল চেতনা। আমরা এক একজন এক এক রকম সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস মেনে চলি, কিন্তু সবাই মিলেমিশে থাকি; এটাই হল ভারতবর্ষ
- কিন্তু এখন বাংলায় কথা বললেই যেন অপরাধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা স্কুলে বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত সবই শিখেছি। আমরা তো অন্য ভাষার প্রতি কোনও সমস্যা রাখি না, তাহলে ওদের এত সমস্যা কেন? ওরা আগে নিজেদের ঘরের দিকটা দেখুক। বাংলা এক নম্বরে ছিল, থাকবে
- গান্ধীজিও বাংলাকে ভালোবাসতেন। আমরা তাঁকে জাতির জনক বলি। তখন কি কেউ জিজ্ঞেস করেছিল তিনি কোন রাজ্যে জন্মেছিলেন? কখনও না। একজন জাতীয় নেতা হলেন সেই যিনি দেশকে ভালোবাসেন। আর দেশকে ভালোবাসার একমাত্র উপায় হল দেশের মানুষকে ভালোবাসা
- জগদীপ ধনখড় কেন পদত্যাগ করেছেন, সেটা রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক করতে পারে না। কেউ এই ঘটনাকে আলাদা করে রঙ দিতে পারে না। এই বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। আমরা দেখছি। উনি সুস্থ মানুষ, আমার তো মনে হয় তাঁর শরীরেও কোনও অসুবিধা নেই
- অভিষেক (বন্দ্যোপাধ্যায়) কাল বলেছেন, বাংলার সাংসদরা সংসদে বাংলায় এবং অন্যান্য ভাষাতেও কথা বলবেন। সংসদে তো অনুবাদক থাকে। আমিও আগেই বলেছিলাম, বাংলাভাষীদের উপর যে নিপীড়ন চলছে, তার প্রতিবাদে আমি যেখানে যাব, সেখানেই সভা করব। ২৭ ও ২৮ তারিখে বীরভূমে আমাদের কিছু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রয়েছে, আর এই ইস্যুতে আমি সভাও করব
- বিশ্বে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলায় কথা বলেন। এই অবৈধভাবে আটক আমাদের মাতৃভাষার অপমান। সঠিক সময়ে এটি চ্যালেঞ্জ করা হবে।
ছবি : অসীম পাল।