প্রথম পাতা

ঈদ উপলক্ষে বালি বিধানসভার সংখ্যালঘুরা প্রাক্তন বিধায়ক বৈশালীর অভাব অনুভব করছেন

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, বালি, ১৬ই মে ২০২১ : ঈদ উৎসবে দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা বিশ্বের সংখ্যালঘু মানুষেরা। যদিও বহু দেশে সংখ্যালঘু না হলেও ভারতে মুসলিমরা সংখ্যালঘুরা। তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর এই ঈদ উৎসবে বিশেষ সাহায্য পেয়েছে। একই ভাবে বালি বিধানসভার সংখ্যালঘুরাও এই বিশেষ সাহায্যের থেকে বঞ্চিত হন নি। এতদিন বালি বিধানসভার বিধায়ক তৃনমূলে থাকা বৈশালী ডালমিয়া নিজের উদ্যোগে সাহায্য করেছেন। প্রতি উৎসবে শিশুদের দুধের প্যাকেটের সাথে বিস্কুট ও খাদ্য সামগ্রীর সাথে জামা-কাপড় পৌঁছে দিয়েছেন নিজের উদ্যোগে। কোনদিনও নিজে সামনে দাঁড়িয়ে প্রচারের জন্য আসেন নি। ঈদ উৎসব উপলক্ষে শুধু শিশুদের নয়, বড়দেরও লুঙ্গি, শাড়ি, গেঞ্জি, জামা দিয়ে এসেছেন। কিন্তু এবার তারা সেই সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়ে নিজেদের বেশ অসহায় মনে করেছেন।

এবছর বালি বিধানসভায় বিজেপি-র পক্ষ থেকে প্রার্থী ছিলেন এবং তাঁর বিপক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন ডাঃ রানা চ্যাটার্জি। আমরা ঈদ উপলক্ষে বালি বিধানসভায় গিয়ে সংখ্যালঘু বেশ কিছু মানুষদের (হাওড়া কর্পোরেশনের ৫৮ ও ৫৯ নং ওয়ার্ড) কাছে গিয়ে জানতে গেলে তারা সকলেই বলেন আমাদের প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে বৈশালী-দির থেকে সাহায্য পেয়েছি কিন্তু এবার আমাদের কপালে কিছুই জোটে নি।আমরা না পেলেও শিশুরা পেলেও খুশি হতাম। বালি এলাকায় এক টোটো স্ট্যান্ডে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিক নেতা জানান, আমাদের এখানে প্রায় ৫০টা টোটোচালক আছে যার মধ্যে ২৫ জন সংখ্যালঘু কিন্তু কিছুই পেলাম না নতুন হওয়া বিধায়কের থেকে। এছাড়াও এক স্থানীয় দোকানদার মহঃ আজারুদ্দিন জানান, এর থেকে তো বৈশালী ডালমিয়া ভাল ছিল। আমাদের থেকে ভোটটা করিয়ে নিল কিন্তু জয়ের পর নতুন বিধায়ককে দেখাই গেল না। প্রথম অবস্থায় যদি এই পরিস্থিতি হয় তবে আগামী ৫ বছর যে কি হবে তা কে জানে। এক গৃহবধূ রাজিয়া বেগম জানান, আমাদের ঘরের মেয়ে ছিল বৈশালী ডালমিয়া, সময়ের আগে তিনি সাহায্য পৌঁছে দিতেন। তাঁকে কিছু বলতে হতো না। কিন্তু এবছর আমাদের তো দুরের কথা আমাদের শিশুগুলো কিছুই পেল না। এক অটোচালক সুলতান বলেন, বৈশালী ম্যাদাম আমাদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন কারণ বহু ব্যাপারে তিনি আমাদের সাহায্য করতেন। শুধু ঈদ নয় অন্যান্য ব্যাপারেও বৈশালী ম্যাডামের থেকে সাহায্য পেয়েছি, কিন্তু কোনদিনও তিনি সামনে আসেন নি, এলাকার নেতা বা ইমামদের হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিতেন। এবার ঈদের সময় কোন সাহায্য না পেয়ে বড় অসহায় বোধ করছি। বাকি ৫ বছর নতুন বিধায়কের থেকে আদৌ সাহায্য পাবো কিনা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *