গড়িয়া স্টেশনের ঢালুয়া কালীতলায় রটন্তি কালী পুজোয় রক্তদান ও বৃক্ষরোপণের সাথে সমাজসেবা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৬শে জানুয়ারি ২০২০ : গড়িয়া স্টেশন এলাকায় রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে ঢালুয়া একতা ক্লাবের উদ্যোগে প্রতিবছরের মত এবছরও কালীতলায় “রটন্তি কালী” পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর এই পুজোয় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসেন পুজো দিতে। এবছর ক্লাবের উদ্যোগে পুজোর পাশাপাশি ছিল রক্তদান উৎসব, বিনা অর্থে রক্ত পরীক্ষা শিবির (থাইরয়েড ও সুগার), বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, সমাজের পিছিয়ে পড়া আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের কম্বল, মশারী, শাড়ী বিতরণের সাথে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সরঞ্জাম হিসাবে খাতা ও পেনসিল তুলে দেওয়া হয়।স্বর্গীয় প্রতাপ মন্ডল ও স্বর্গীয় পরিতোষ মন্ডলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে মোট ৪৮ জন রক্তদান করেন ও ১৩০ জন রক্তপরীক্ষা করান এবং প্রায় ১০০০ জন দঃস্থ মানুষ কম্বল, শাড়ী, মশারী ও খাতা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, স্থানীয় পৌরপিতা অমরেশ সরদার, পিন্টু দেবনাথ, জয়ন্ত সেনগুপ্ত সহ অনেকে।
আগামীকাল ভোগ বিতরণ অনুষ্ঠান। এবারের পুজোয় দুটো বিষয় ছিল উল্লেখযোগ্য, প্রথমটি হল যারা রক্তদান করেছে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি ফল গাছে চারা এবং দ্বিতীয়টা হল দুঃস্থ মানুষদের জন্য সংগৃহীত জামা ও কাপড় বিনা পয়সায় পছন্দ করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা।সমগ্র অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা সুকান্ত মন্ডল ও ক্লাবের অসংখ্য সদস্যরা।
স্বর্গীয় খগেন্দ্রনাথ নস্কর ও স্বর্গীয় সম্পত্তি নস্করের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিদেশ নস্কর এবং স্বর্গীয় মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জির স্মৃতিতে চঞ্চল চ্যাটার্জি কম্বল বিতরণ করেন।স্বর্গীয় সন্তোষ নস্করের স্মৃতিতে সুব্রত নস্কর এবং স্বর্গীয় কার্তিক চন্দ্র মন্ডল ও সরস্বতী মন্ডলের স্মৃতিতে সুশান্ত মন্ডল শাড়ী বিতরণ করেন ।
স্বর্গীয় মানিক চাঁদ মন্ডলের স্মৃতিতে মশারি বিতরণ করেন বাসুদেব মন্ডল।স্বর্গীয় কালীপদ ঘোড়ই-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিশিকান্ত ঘোড়ই এবং স্বর্গীয় নিত্যানন্দ ঘোষের স্মৃতিতে কৌশিক ঘোষ শিক্ষার উপকরণ বিতরণ করেন। এছাড়া ছিল বাউল সঙ্গীত, পরিবেশন করেন কৌশিক অধিকারী ও সম্প্রদায়।
একসময় এই অঞ্চলের ভাড়াটে হিসাবে পরিচিত ছিল মিঠুন কর, বাবা সিকিউরিটির কাজ করতো এবং মা নিজেও কাজ করতো। নিজেদের সন্তানকে অনেক অভাবের মধ্যে দিয়ে পড়াশুনো করিয়েছিলেন। আজ সেই মিঠুন মুম্বাই এফ সি-র প্রথম দলে ফুটবল খেলছে এবং আসামের হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছে। বর্তমানে মিঠুন বিদ্যুৎভবনে স্থায়ী কর্মী। বাবা-মায়ের কষ্টের দিন শেষ করে মিঠুন নিজে বাড়ি তৈরি করে বাবা-মাকে নিয়ে গেছে সেই বাড়িতে। সেই মিঠুনকে মঞ্চে তুলে সম্বর্ধনা তুলে দেন পৌরপিতা অমরেশ সরদার।