মমতা সরকারের রাস্তায় হেঁটে সোনার বাংলা গড়তে মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প ও রেশনে বিশেষ ঘোষণা বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২১শে মার্চ ২০২১ : বিজেপি এবার মমতা সরকারকে টক্কর দিতে নির্বাচনী ইস্তাহারে যে চমক দিয়েছে তা নিয়ে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভাতা সর্বত্র ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য একাধিক উন্নতি প্রকল্পের আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি ২০২১ সালের রাজ্য নির্বাচনের ইস্তাহারে। মহিলাদের উন্নয়নের জন্য মমতা সরকারের সব প্রকল্পকে টক্কর দিতে মহিলাদের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে এবং খাদ্য সুরক্ষার দিকেও নজর দিয়েছে। পাশাপাশি এটাও ঘোষণা করেছে সরকার গড়ার পর মন্ত্রীসভায় সি এ এ আইন নিয়ে আলোচনা হবে।
রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ—প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর (কেজি থেকে পিজি) অবধি সমস্ত মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা—সমস্ত মহিলাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান, যার মধ্যে ওপিডি ও উন্নত চিকিৎসা—সমস্ত মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে সকল পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত—মিশন আত্মনির্ভর মহিলা – মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির জন্য `৫,০০০ কোটি বরাদ্দ—বালিকা আলো – মেয়েদের অবিচ্ছিন্ন আর্থিক সহায়তা এবং ১৮ বছর বয়সে `২ লক্ষ প্রদান—বিধবা ভাতা প্রতি মাসে `১,০০০ থেকে বাড়িয়ে `৩,০০০—রাজ্য পুলিশে ৯টি মহিলা পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে ৩টি মহিলা ব্যাটালিয়ন
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের জন্য `৫ লক্ষ অবধি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান—৩ টি নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র এইমস (AIIMS) তৈরি করা হবে, উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল এবং সুন্দরবনে—`১০,০০০ কোটি কাদম্বিনী গাঙ্গুলী স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর তহবিল—২০২৫ সালের মধ্যে মেডিকেল ও নার্সিং কলেজে আসনের সংখ্যা দ্বিগুণ—আশা কর্মীদের বর্তমান স্থায়ী মাসিক সাম্মানিক `৪,৫০০ থেকে বাড়িয়ে `৬,০০০—২০২৫ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু নির্মূল
প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে—শিক্ষিত যুবকদের চাকরির জন্য প্রতিটি ব্লকে নেতাজি বিপিও (BPO) স্থাপন করা হবে—১০,০০০ টি স্টার্টআপ বিজনেস বা নতুন বিনিয়োগকারী ব্যবসাতে ভর্তুকিযুক্ত লোন `২৫ লক্ষ পর্যন্ত দেওয়া হবে—২০ লক্ষ যুবকদের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রতিটি ব্লকে নেতাজি ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে—সহজ পাঠ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বই, ব্যাগ, স্কুল ইউনিফর্ম, সাইকেল এবং ডিজিটাল ট্যাবলেট সরবরাহ করা হবে—বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য `২০,০০০ কোটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তহবিল স্থাপন করা হবে—`১০,০০০ কোটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তহবিলের মাধ্যমে ১০০ টি নতুন সরকারি কলেজ এবং ৫০ টি নতুন পলিটেকনিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে—প্রতিটি ব্লকে কমিউনিটি স্পোর্টস সেন্টার, প্রতিটি মহকুমায় মাল্টি স্পোর্টস স্টেডিয়াম এবং প্রতিটি জেলায় ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে—শৈলেন মান্না রাজ্য ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে
বিশ্বের প্রতিভাকে সম্মান জানানোর জন্য নোবেল প্রাইজের আদলে টেগোর প্রাইজ এবং অস্কারের আদলে সত্যজিৎ রায় অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার—বাংলাকে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলতে `১১,০০০ কোটি সোনার বাংলা তহবিল স্থাপন—বাঙালি সংস্কৃতি প্রচারের জন্য সমস্ত রাজ্যের রাজধানী এবং বিদেশের নির্ধারিত কিছু জায়গায় সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য গুরুদেব সেন্টার ফর কালচারাল এক্সিলেন্স বানানো হবে—বাংলার উৎকর্ষতা প্রদর্শনের জন্য কলকাতায় একটি বিশ্বমানের সোনার বাংলা মিউজিয়াম তৈরি করা হবে—মহা ধুমধামে নেতাজির জন্ম বার্ষিকী হিসাবে পরাক্রম দিবস (২৩ শে জানুয়ারি) পালন হবে—রাজ্য জুড়ে নির্ভয়ে ও বিনা বাধায় সরস্বতী ও দুর্গা পুজা উদযাপন—গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে `২,৫০০ কোটি তহবিল—পুরোহিত কল্যাণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা এবং পুরোহিতদের প্রতি মাসে `৩,০০০ সাম্মানিক প্রদান—চৈতন্য মহাপ্রভু স্পিরিচুয়াল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে চৈতন্য মহাপ্রভুর মতাদর্শ প্রচার—৬০ বছরেরও বেশি বয়সের কীর্তনীয়াদের মাসিক `৩,০০০ পেনশন দেওয়া হবে—রাজ্যজুড়ে মন্দির গুলির মেরামত ও সংস্কারের জন্য `১০০ কোটির তহবিল—বিশ্বজুড়ে নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজ এর ঐতিহাসিক যাত্রা প্রদর্শনের জন্য `১,০০০ কোটি তহবিল—তমলুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা—বাংলাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্যতম সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সহযোগিতা—সরকারের সকল দলিল, আদেশ এবং চিঠিপত্রগুলিতে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে—ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার একটি মিউজিয়াম, একটি স্মৃতিসৌধ এবং একটি বিগ্রহ প্রতিমা নির্মাণের জন্য `২৫০ কোটি তহবিল স্থাপন—সোনারপুরে মহানায়ক উত্তম কুমার ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠা
যোগ্য পিডিএস সুিবধােভাগীেদর জন্য ভর্তুকিযুক্ত রেশনে চাল বা গম প্রতি কেজি ১টাকা, ডাল প্রতি কেজি ৩০টাকা
, লবণ প্রতি কেজি ৩টাকা এবং চিনি প্রতি কেজি ৫টাকা হিসাবে বরাদ্দ হবে। মতুয়া দলপতিদের মাসিক ৩০০০ টাকা পেনশন, অসংগঠিত শ্রমিকদের প্রতি মাসে পেনশন ৩০০০ টাকা, প্রবীন নাগরিকদের ভাতা ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা, রক্ষনাবেক্ষনের জন্য অটো ও ট্যাক্সিচালকদের প্রতি বছর ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা করা হবে।
আমরা বালিকা আলো যোজনা প্রকল্প চালু করব, যার অধীনে কন্যা সন্তানের জন্মানোর সময়, প্রতিটা আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবার, তপশীলি জাতি, উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া শ্রেনির কন্যাসন্তানদের ৫০ হাজার টাকার বন্ড দেওয়া হবে। এছাড়াও পর্জায়ক্রমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, যেমন
• ষষ্ঠ শ্রেনী – ₹৩০০০
• নবম শ্রেনী – ₹৫০০০
• একাদশ শ্রেনী – ₹৭০০০
• দ্বাদশ শ্রেনী – ₹৭০০০
• ১৮ বছর বয়েসর পর, দ্বাদশ শ্রেনী উত্তীর্ণ প্রতি অবিবাহিত মেয়েদর ₹২ লাখ টাকা কের প্রদান করা হবে।
আমরা ঘরে লক্ষ্মী যোজনার মাধ্যমে আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবার, তপশীলি জাতি, উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া শ্রেনির পরিবারের মেয়েদের ১৮ বছরের বেশি মেয়েদের বিয়ের সময় ১লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট প্রদান করা হবে।আমরা রাজ্যের গনপরিবহণে সমস্ত মহিলাদের বিনামূল্যে যাতায়াত করার সুযোগ দেওয়া হবে।