শত্রুতার জেরে শিকার হল বৈশালী ডালমিয়ার পুত্র আদিত্য ডালমিয়া
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, কলকাতা, ১লা জুন ২০২১ : বালি বিধানসভার একসময়ের তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন বৈশালী ডালমিয়া। পরবর্তীতে তৃনমূল দল থেকে বিনা কারণে সাসপেন্ড করায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং এবারের বিধানসভায় তিনি বিজেপি-র প্রার্থী হলে বালি বিধানসভায় পরাজিত হতে হয়। এই পর্যন্ত সবটাই ঠিক ছিল।
কিন্তু ৩১শে মে সকাল ১০.৩০ মিঃ বৈশালী ডালমিয়ার নিজের পাড়ায় বেহালা চৌরাস্তায় তার একমাত্র পুত্র আদিত্য ডালমিয়া (রিক) গাড়ি নিয়ে দোকানে কিছু কেনাকাটি করতে গেলে আচমকা তার উপর কিছু অজ্ঞাত পরিচয়ের মানুষ তাকে ঘিরে মারধোর করতে শুরু করে। তার গাড়ির চালক ও সাথে থাকা এক কর্মচারি আদিত্যকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও মারধোর করা হয়। কেন হঠাৎ এই পরিকল্পিত আক্রমণ কিছুই পরিস্কার নয় বৈশালী-র কাছে। ছেলের উপর আক্রমণের কথা শুনে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে বৈশালী দেখেন তার গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ছেলের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় সেই ভাঙা কাঁচে আঘাত লাগে। সামনে পুলিশ থাকলেও সকলে এগিয়ে আসেন নি। তবে কয়েকজন পুলিশের হস্তক্ষেপে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এরপর বৈশালী বেহালা থানায় গেলে সেই অভিযুক্তদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন এবং ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেডিকেল করান। তিনি আজও বুঝে উঠতে পারলেন না কেন তার ছেলেকে এভাবে আক্রমণ করা হল এবং কারা পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করলো? তিনি এমনও অভিযোগ করেন আক্রমণকারীরা গাড়ির মধ্যে তাকেও খুঁজেছে, পেলে হয়তো তাকেও মারতো।
তিনি বলেন বাম জামানা দেখেছি কিন্তু এইরকম ঘটনা কোনদিনও দেখার সুযোগ হয় নি। এই আমরা কোন জামানায় বাস করছি যেখানে একজন মায়ের উপর ক্ষোভের কারণে তার নাবালক ছেলেকে রাস্তায় মার খেতে হচ্ছে। এর কোন বিচার নেই। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে অভিজুক্তদের ছেড়ে দিল। আমি রাজ্যের প্রশাসকদের কাছে একটা কথা বলতে চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার করে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। এরপর বৈশালী ও তার ছেলের সাথে বাড়িতে এসে দেখা করে কথা বলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রূদ্রনীল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন।
বৈশালী ডালমিয়া কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত নন, তৃনমূল তাঁকে রাজনীতিতে নামিয়েছে। আজ যখন তিনি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন তাই তার উপর এরকম অমানবিক আত্যাচার হবে কেন? তিনি যে পরিবারের সদস্যা সেই পরিবারের শুধু রাজ্যে নয়, দেশে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মান আছে। সেই সম্মানের দিকে তাকিয়ে কি রাজ্য প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল না। তিনি একজন সমাজসেবী, মানুষের পাশে থাকতে ভালবাসেন। রাজনীতিতে থাকলেও তিনি মানুষের সেবা করবেন, মানুষের উপকারে লাগবেন আর রাজনীতিতে না থাকলেও তিনি মানুষের পাশে থাকবেন, উপকারে লাগবেন। তিনি একজন সমাজ দরদী কর্মী হিসাবে পরিচিত কারণ ছোট্ট বয়সে তিনি তার বাবাকেও দেখেছেন মানুষের উপকার করতে। রক্ত কথা বলে, শিক্ষা কথা বলে।