গড়িয়া শ্রীখন্ডা আগুয়ান সংঘের উদ্যোগে করোনা লকডাউনে তৃতীয় পর্বে ৩০০ জনের খাদ্য সামগ্রী বিলি হল
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৮ই মে ২০২০ : লকডাউন বেড়েই চলেছে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সাথে মৃত্যু। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে গলা উঁচু করে বলেছিলেন সারা দেশে যেভাবে লকডাউন চলছে তাতে ১৬ই মে-র পর করোনায় আর কেউ আক্রান্ত হবে না। মনে হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী যেন কোন অলৌকিক যাদু দিয়ে করোনাকে দেশ থেকে উধাও করে দেবেন। কিন্তু কি দেখা গেল? ১৬ই মে-র পর লকডাউন আরও বাড়ল আর আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ই মে অনুযায়ী ৮৮৫০৬ থেকে বেড়ে হল ৯৬,৪৯২ আর মৃত্যুর সংখ্যা (১৬ই মে) ২৭৬০ থেকে বেড়ে এখনও পর্যন্ত ৩০৪১ হয়েছে।দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন লকডাউন মানতে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লকডাউন শব্দটার যথার্থ মানেটা জানেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ তিনি শব্দটা তাঁর বিদেশ যাত্রার সময় সেখান থেকে শিখে এসেছেন।তিনি বিদেশে লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারের ভুমিকাটা শিখতে পারেন নি।শুধু একটা ছোট্ট উদাহরণ নিলেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারবেন, জার্মানিতে যখন লকডাউন পরিস্থিতি চালু হয়েছিল তখন সরকার সেখানকার নাগরিকদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। সেই আর্থিক প্যাকেজে বলা হয়েছিল দেশে যারা কর্মহীন মানুষদের বেতনের ৬০-৭০% থেকে শুরু করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা অনুদান হিসাবে ঘোষণা করেছিল যা পরবর্তীতে সরকার ফেরত চাইবে না। এছাড়া দেশের মন্দা বাজার ও আর্থিক সঙ্কট পরিস্থিতিকে চাঙ্গা করতে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০-৬০ লাখ টাকা ১০ বছরের বিনা সুদে ঋণ ঘোষণা করেছে সরকার।এটাকে বলে লকডাউন।এরকম আরও অনেক দেশের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। আর এই দেশে প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থিক প্যাকেজে আর্থিক মন্দাকে চাঙ্গা করতে ঘোষণা করলেন দেশের চাষিরা নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী যেখানে ইচ্ছে তাঁর চাষের সামগ্রী বিক্রি করতে পারবে, দেশের ৬টা বিমানবন্দরকে বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হবে, কয়লাখনি বেসরকারিকরণ করা হবে, এফ ডি আই-এর ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ ৪৯% থেকে বেড়ে হল ৭৫%। রাজ্যকে আর্থিক প্যাকেজের কথা বলে বাড়ানো হল ৫% ঋণের বোঝা।এরপর মানুষের কর্মসংস্থানের কোন দিশা দেখালেন না প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে। মানুষ এবার আরও অসহায় হয়ে পড়ল।
কিন্তু এই অসহায় অবস্থার মধ্যেও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে গড়িয়ার শ্রীখন্ডা আগুয়ান সংঘ। তারা এবার নিয়ে তিনবার এই লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রতিবার প্রায় ৩০০ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছে। সাম্প্রতিক ক্লাব প্রাঙ্গন থেকে ক্লাব কতৃপক্ষ ৩০০ জন মানুষকে চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিনের মত সামগ্রী তুলে দিতে উৎসাহিত হয়েছে। এই মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের দুই পৃষ্ঠপোষক সোনারপুর উত্তরের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত ও ওয়ার্ডের পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল সহ ক্লাব সভাপতি প্রতাপ কুমার দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক বিমল রায় ও অরিন্দম দত্ত, সুজিত সিকদার, শতদল মজুমদার, গৌতম গাঙ্গুলি, বিমল ভৌমিক, রাজু পাত্র, রঞ্জিত সরকার, লোকনাথ পারিদা, শঙ্কর সিং, জ্যোতি রায় সহ অনেকে।
Visit us at : www.abptakmaa.com,
Follow us at : www.facebook.com/abptakmaa.newspaper/
www.twitter.com/abptakmaa