রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে বিধায়কের হাত ধরে উদ্বোধন হল শিশুদের জন্য “হট্টমেলা”
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১২ই মার্চ ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে আজ সন্ধ্যায় উদ্বোধন হল শিশুদের জন্য “হট্টমেলা” শিশু উদ্যান।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার পৌর প্রধান ডাঃ পল্লব দাস, সি আই সি তথা সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মন্ডল, সি আই সি তথা গড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেস টাউন সভাপতি বিভাস মুখার্জি (মনু), পৌরপিতা অমরেশ সরদার, পৌরমাতা অশোকা মির্ধা, পৌরসভা ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস বসু, তুফান, জগদীশ নস্কর, গোবিন্দ আচার্যি, দেবাশিস চৌধুরী (বুয়া), চিত্তরঞ্জন শাস্ত্রী, শ্রীমন্ত নস্কর সহ অনেকে।
রাজ্য সরকার যে আম্রুত প্রকল্পের টাকা অনুমোদন করেছে সেই টাকায় যেমন ওয়ার্ডে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে তেমনিই পাশাপাশি শিশু উদ্যানও তৈরি হচ্ছে। এই নিয়ে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভায় ১২টা শিশু উদ্যান তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন সি আই সি নজরুল আলি মন্ডল।তিনি বলেন রাজ্য সরকার মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে প্রতিটা মানুষের জন্য প্রকল্প করেছে।
এই প্রকল্প শিশুদের জন্য করা হয়েছে। বাকি সব প্রকল্প বড়দের জন্য। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি যতটা উন্নয়ন করা যায়। বিভাস মুখার্জি বলেন, কাজ করাটা কঠিন তো বটেই কিন্তু কাজ করার পর তা রক্ষা করাটা আরও বেশি কঠিন। অমরেশ সরদার বলেন, আমার ওয়ার্ডে একটাও এধরণের শিশু উদ্যান নেই, তবুও আমার এটা ভেবে ভাল লাগছে আমার ওয়ার্ডের ঠিক লাগোয়া এই শিশু উদ্যানটা হয়েছে। আমার ওয়ার্ডের বহু শিশু এখানে খেলতে পারবে। এছাড়া বয়স্ক নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে হবে এই উদ্যানটাকে অসামাজিক কাজকর্মের বাইরে রাখতে। অশোকা মির্ধা বলেন, এই পার্ক হয়েছে ঠিকই, এটা অনেকদিনের একটা স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এবার আমাদের সকলকে নিয়ে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তা রক্ষা করা। আমি অনেক কিছু দেখি কিন্তু বলি না। তবে এটা বলবো পার্কে যদি কেউ অসামাজিক কাজ করে তবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলবো তাঁকে বা তাদেরকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন।
পার্কের শিলান্যাস করেন পৌরপ্রধান এবং পার্কের দ্বারোদ্ঘাটন করেন বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। এরপর সব শিশুদের হাতে চকলেট তুলে দেন বিধায়ক নিজে। এই পার্কের জন্য মোট খরচ হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। এই পার্কে যমন শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের শিশুদের খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তার পাশাপাশি শিশুদের মায়েদের বা বাবাদের শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য জিম ধরনের কিছু যন্ত্র রাখা হয়েছে। জিম বা মার্নিং ওয়াকের জন্য এই পার্ক খোলা থাকবে সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এবং বিকেলে ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে পার্কে উপস্থিত সকল শিশুদের চকলেট তুলে দেন এবং সকলকে অনুরোধ করে বলেন, পার্কটাকে বাঁচাতে হবে।