দুর্গত মানুষের পাশে ফিরদৌসী বেগমের “নগরলক্ষ্মী” দেখে উদ্ভুদ্ধ হয়ে কামরাবাদের মানুষের জন্য দ্বিতীয় পর্ব শুরু করবো : রঞ্জন বৈদ্য
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৩রা মে ২০২০ : আজ সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের মস্তিষ্কপ্রসূত “নগরলক্ষ্মী” প্রকল্পের পঞ্চদশ দিন। দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে নিরলস ভাবে সোনারপুর উৎসব কমিটির সদস্যরা করোনার কারণে লকডাউনে থাকা বিপদ্গ্রস্থ ও অসহায় মানুষকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। ২০শে এপ্রিল ছিল এই প্রকল্পের শুভারম্ভ, সেদিন প্রায় ২০০০ মানুষকে রান্না করা খাবার দিয়ে শুরু হয় এই প্রকল্পের যাত্রা আর আজ যখন ১৫ দিন সেই অঙ্কটা বেড়ে হয়েছে ২৫০০। কাল এই প্রকল্পের শেষ দিন। এব্যাপারে এই প্রকল্প নিয়ে সোনারপুরের জেলা পরিষদ সদস্য রঞ্জন বৈদ্য বলেন, আমাদের সবার প্রিয় ফিরদৌসী বেগম মানুষের সেবার জন্য এক নতুন দিশা দেখালেন। এর আগেও তিনি আমাদের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দিশা দেখিয়েছেন কিন্তু এবারের এই নগরলক্ষ্মী এক নিতুন দিশারী। আগামীকাল বিধায়কের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৬দিনের প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন গোটা সোনারপুর বিধানসভার প্রবীণ নাগরিক, ভবঘুরে, অসহায় মানুষ, কর্মহীন মানুষ, প্রতিবন্দী মানুষ। কিন্তু আগামীকাল বিধায়কের পূর্ব ঘোষণা মত শেষ হয়ে গেলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রকল্পকে শেষ হতে দেবো না।আমি এলাকার কিছু উৎসাহী মানুষকে নিয়ে এই নগরলক্ষ্মী প্রকল্পকে চালিয়ে যাবো যার নাম দেবো “নগরলক্ষ্মী দ্বিতীয় পর্ব”।
বিধায়ক এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেভাবে আমাদের উৎসাহ জুগিয়েছেন আমি তাঁর প্রকল্পকে মানুষের কাছে উদাহরণ করে রেখতে চাই। আমার কামরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৫টা বুথে ৩০ জন এধরণের মানুষকে লকডাউন সময়সীমা পর্যন্ত রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, যার জন্য আমি বিধায়কের থেকে অনুমতি চাইবো যান তিনি আমায় মানুষের পাশে থাকার সেই অনুমতি দেন। এব্যাপারে সোনারপুর উত্তর বিধাসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মন্ডল বলেন, এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। বিপদের সময় মানুষের পাশে যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের জীবনকে বাজি রেখে পরিষেবা দিচ্ছেন তা আমাদের সকলকে উৎসাহিত করেছে এবং উদ্ভুদ্ধ করেছে। আশা করবো বিধায়ক রঞ্জনের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে অনুমতি দিয়ে সহযোগিতা করবেন।এদিন কামরাবাদ পঞ্চায়েতের তরফে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের হাতে করোনা মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর স্টেট এমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডে দেড় লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়।