প্রথম পাতা

রাত্রিকারদের পুনর্বাসন দিয়ে রাসবিহারিতে “আলোর ফোয়ারা” বসালেন মন্ত্রী শোভনদেব

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৫ই মার্চ ২০২০ : রাসবিহারী এভিনিউ রাস্তাটা বেশ লম্বা। তবে রাসবিহারী পাঞ্জাবি গুরুদ্বারার সামনে দীর্ঘদিন ধরে রাত্রিকারেরা ফুটপাথ দখল করে বসবাস করেছেন।সাম্প্রতিক সেই রাত্রিকারদের পুনর্বাসন দিয়ে পার্কের সামনে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আলোর ঝর্ণা বসিয়ে সৌন্দর্য্যায়ন করেছেন। এই আলোর ঝর্ণা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বোরো চেয়ারম্যান সন্দীপ রঞ্জন বকসী, কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার, যুব নেতা সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাস্তার নামটা রাসবিহারী কিন্তু কোথাও সেই বিপ্লবীর মুর্তি নেই। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে তিনি যে লড়াই করেছেন তা আজকের প্রজন্ম জানে না। একসময় খিদিরপুর বন্দর থেকে ছদ্মবেশে ইংরেজদের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি জাপান চলে যান এবং সেখান থেকে নেতাজিকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই-এর সবরকম সাহায্য করেন। আমি এই জায়গাটা নিয়ে বর্তমান মেয়র ফিরাদ হাকিমকে জানিয়েছিলাম, তিনি আমার আবেদনে সম্মতি দিতেই আমি এই উদ্যোগ নিতে সক্ষম হয়েছি। সমস্যা ছিল রাত্রিকাররা, মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন তাদের কালিঘাটে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কখনও কাউকে বে-ঘর করতে চান না এটা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। তবে এরপর আর কেউ যেন ফুটপাথ না দখল করে সেটা আমি দেখবো। কাউকে ফুটপাথ দখল করতে দেবো না। কলকাতায় এমনিতে জায়গা নেই যে সৌন্দর্য্যায়ন করবো। সামান্য যে টুকু জায়গা পাওয়া যায় তার মধ্যেই করতে হয়। এটা মাথায় রাখতে হবে এটা সকলের সম্পদ, তাই সকলকে তা রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে। এই আলোর ফোয়ারা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে, একটা জার্মানি সংস্থা বিশ্বে এধরণের বহু ফোয়ারা দিয়েছেন। এর বিদ্যুৎ খরচ কম হলেও আমি এই ফয়ারার বিদ্যুতের জন্য কর্পোরেশনের উপর চাপাই নি, এখানে সৌর শক্তি দিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি।

বোরো চেয়ারম্যান সন্দীপ রঞ্জন বকসী বলেন, এটা খুবই ভাল উদ্যোগ তবে শুধু উদ্যোগ নিলেই হয় না। মমতা ব্যানার্জির সরকার এধরণের বহু উদ্যোগ নিয়েছেন শহর কলকাতাকে সাজিয়ে তোলার জন্য। এতে আমাদের একদিন বলতে গর্ব হবে “আমার শহর কলকাতা” একবার দেখে আসুন, বিদেশের থেকে কোন অংশে কম নয়। তবে এই উদ্যোগকে রক্ষা করতে হবে আমাদের। আমাদের নজর দিতে হবে যাতে তা নষ্ট না হয়।

মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, শহর কলকাতার জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের জন্য আমাদের ১ কোটি টাকা খরচ হয়। শোভনদা তাঁর সৌর শক্তির প্রয়োগ করে বিদ্যুতের খরচ কমিয়েছে একদম ঠিক, আমি মন্ত্রীকে অনুরোধ করবো গোটা পার্কের জন্য যদি এই বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *