প্রথম পাতা

মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে কোথাও কোন নার্স বা চিকিৎসকের উপর আক্রমণ করলে কঠিন শাস্তি

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৩রা মে ২০২০ : বাংলায় বহু নার্স বা চিকিৎসকদের নিজের এলাকায় আসার জন্য সমলচনা থেকে আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। কোথাও তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কোথাও তাদের সামাজিক আক্রমণ করা হচ্ছে আবার কোথাও তাদের সামাজিক বয়কট করা হচ্ছে। আজ এই পেশার সাথে যুক্ত যারা নিজেদের অসহায় মনে করছেন। তাঁরা নিরুপায় হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিয়েছেন। এই দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোথাও কোন নার্স বা চিকিৎসকের উপর কোনরকম হামলা, সমালোচনা, মানসিক যন্ত্রণা বা সামাজিক সুস্থ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কেউ অসুবিধা করলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য দপ্তর। এব্যাপারে সাম্প্রতিক নরেন্দ্রপুর থানার আই সি জানান, কোন নার্স বা চিকিৎসকের উপর কোন সামাজিক আক্রমণ করা চলবে না, তা সে ভাড়াটে হোক আর স্থায়ী বাসিন্দা হোক। তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করছে। এই দুর্জোগে তাঁরা আসুস্থ মানুষকে সুস্থ করার কাজ করছেন।

তাদের প্রতি সম্মান রেখে তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় মানুষের। কেউ বা কারা যদি তাদের সামাজিক সুস্থ জীবনযাপনে বাধা দেন তবে অভিযোগ পাওয়া মাত্র গ্রেপ্তার করে ছয় মাসের জেলের মত কঠিন শাস্তির কথা ঘোষণা বা নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তর। সুতরাং নার্স বা চিকিৎসকের সাথে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে, প্রয়োজনে তাদের কোন সমস্যা হলে সাহায্য করতে হবে।আমার থানা চত্ত্বরে এমন কোন খবর এলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আজ করোনার এই কঠিন সময় নার্স বা চিকিৎসকেরা যদি হাত তুলে নেয় তবে মানুষ আরও বিপদে পড়বে। এটা মাথায় রাখতে হবে তাঁরা হাসপাতালে কাজ করছে মানে তাদের করোনা আক্রমণ করেছে তা কিন্তু নয়। প্রতিটা হাসপাতালে তাদের সুরক্ষার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।হাসপাতালে ঢোকার সময় তাদের পরীক্ষা করেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত সব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হয় না। করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষ কিছু হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নার্স, চিকিৎসক, পুলিশ, সেনাবাহিনী নিজের জীবনকে বাজি রেখে, নিজের জবনের ঝুঁকি নিয়ে, নিজের সংসারের সদস্যদের কথা মাথায় না রেখে এই করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, কেন? মানুষকে সুস্থ রাখতে, মানুষকে নিরাপদে রাখতে। আর তাদের জন্য সমাজ এইটুকু সহযোগিতা করতে পারবে না? আজ যদি এই মানুষগুলো নিজেদের কথা, নিজের সংসারের কথা চিন্তা করে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে তাতে মানুষ কি বেঁচে যাবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *