শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটাতে অভিভাবকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে
অংশু সেনগুপ্ত, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৯ই মার্চ ২০২০ : শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটাতে সমাজের একটা বড় ভূমিকা আছে। শিশু জন্মানোর পর কেউ কেউ মানিসিক অসুস্থ বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে সুস্থ্য শিশুদের থেকে পিছিয়ে থাকে বলে অনেকের ধারণা থাকে, কিন্তু সেই ধারণা একেবারেই ভুল। প্রতিটা মানুষ কোন না কোন দিক থেকে অসুস্থ্য। কেউ বলতে পারে না সম্পূর্ণ সুস্থ্য। তবে কেন শুধু মানসিক বা শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য শিশুদের বিশেষ একটা পরিভাষায় ব্যক্ত করা হবে। বর্তমানে এই ধরনের শিশুদের বলা নয় “মেন্টালি চ্যালেঞ্জ বা ফিসিকালি চ্যালেঞ্জ” যা খুবই আপত্তিকর। এই দুটি ভাষাই সম্পূর্ণ ভাবে ভুল।
শিশুদের মানসিক বা শারীরিক বিকাশ ঘটাতে অভিভাবকদের একটা বড় ভূমিকা আছে। আমরা সকলেই মোবাইল বা টেলিভিশন দেখে থাকি। এই দুটো ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সকলের সতর্ক হওয়া উচিত। আমাদের এই দুটো ব্যবহারের সময় কমিয়ে শিশুদের জন্য সময় ব্যয় করা খুবই প্রয়োজন। মোবাইল, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট আজকের প্রজন্মের কাছে খুবই প্রয়োজনীয় হলেও তা ব্যবহারের পদ্ধতি জানা প্রয়োজন। অভিভাবকেরা এই পদ্ধতি না জেনে সারাদিন এমনকি রাতে বিছানায় যাওয়ার সময়ও তা ব্যবহার করে থাকেন যা খুবই ক্ষতিকারক বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে যার কারণে আজকের শিশুরা অনেক বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।প্রথম পদক্ষেপ শারীরিক ও মানসিক কমজোরি শিশুদের বিকাশের জন্য কাজ করে থাকে।
তারা তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে। সাম্প্রতিক পার্ক স্ট্রীটে অক্সফোর্ড বুক স্টোরে এই বিষয়ে সচেতনতা জন্য বসেছিল এক আলোচনা চক্র। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ প্রবীণ কুমার, সাংবাদিক দেবোপম সরকার, লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি দীলিপ ঝাঝারিয়া, অভিনেত্রী ও বাচিকশিল্পী প্রিয়া দেবনাথ, মডেল লোপামুদ্রা মন্ডল, লিপিকা ভট্টাচার্য, লায়েন্স ক্লাবের পাওয়ান পরষুরাম্পুরিয়া, অঞ্জু ঝাঝারিয়া, বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী, রূমা নাগ, অনির্বান সিনহা, সাংবাদিক অম্বর ভট্টাচার্য সহ অনেকে। শিশু বিকাশের পক্ষে সুন্দর বক্তব্য রাখেন ডাঃ প্রবীণ কুমার, দেবোপম সরকার, লোপামুদ্রা মন্ডল, অম্বর ভটতাচার্য সহ অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্থার পক্ষ থেকে দেবার্চনা ব্যানার্জি, শ্রয়সী নাগ, শিল্পী চ্যাটার্জি সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্যারা।