প্রয়াত তৃণমূল নেতা গোবিন্দ নস্করের স্মরণে দুঃস্থদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১১ই মে ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার গড়িয়া স্টেশন এলাকার বহু পুরানো দিনের তৃণমূল কর্মী গোবিন্দ নস্কর সাম্প্রতিক এই করোনা লকডাউনের সময় হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এছাড়া গোবিন্দ নস্কর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। তাঁর প্রয়াণে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা পাপিয়া হালদার নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে তাঁর স্মরণে শহীদ বেদি করেছিলেন। এবার তাঁর স্মরণে গোবিন্দ নস্করের নিজস্ব ৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা তাঁর স্মরণে এই করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে স্থানীয় দুঃস্থ মানুষদের চাল, আলু ও পেঁয়াজ বিতরণ করে।
সাম্প্রতিক শান্তিনগর এলাকায় তাঁর স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয় এরপর তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করেন সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকার, সোনারপুর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত, গড়িয়া আই এন টি টি ইউ সি সংগঠনের আহ্বায়ক পিন্টু দেবনাথ, জয়ন্ত সেনগুপ্ত, বাপ্পা দাস, শ্যামল সরদার ও স্থানীয় বেশ কিছু নেতা, কর্মী ও বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের মানুষ।
এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শ্যামল সরদার জানান, গোবিন্দ দা আমাদের দলের বহুদিনের কর্মী, বহু ক্ষেত্রে আমরা তাঁকে আমাদের পাশে পেয়েছি। তাই আজ তাঁর স্মরণে আমরা এই করোনার কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতে এলাকার প্রায় ১২০০ দুঃস্থ মানুষকে শুধুমাত্র প্রবীর দা, পাপাই দা ও পিন্টু দা সহযোগিতায় খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি।অনুষ্ঠানে প্রবীর সরকার জানান, গোবিন্দ নস্কর আমাদের দলের বহু পুরাতন নেতা তো বটেই এছাড়া গোবিন্দ নস্কর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতো। আজ তাঁর এই মৃত্যুকে আমরা কেউ মেনে নিতে পারি নি। তাই তাঁকে মানুষের মাঝে সজীব রাখতে এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।এই কর্মসূচীর মাধ্যমে আজও গোবিন্দ নস্কর আমাদের সকলের মধ্যে জীবিত রয়েছেন।এই স্মরণসভা অনুষ্ঠানে প্রয়াত গোবিন্দ নস্করের পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে আসেন জয়ন্ত সেনগুপ্ত।
এই অনুষ্ঠান নিয়ে ওয়ার্ডের স্থানীয় পৌরমাতা অশোকা মির্ধা জানান, আমার ওয়ার্ডে এরকম একটা স্মরণ সভার আয়োজন করে মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হল কিন্তু আমায় বা ওয়ার্ড সভাপতিকে জানানো হল না। অনেকের কাছে শুনলাম কিছু ওয়ার্ডের এক গোষ্ঠী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যদিও এধরণের অনুষ্ঠান করার সকলের অধিকারের মধ্যে পড়ে কিন্তু জানানোর ব্যাপারে একটা সৌজন্যবোধ থাকা উচিত ছিল যেখানে দলের নেতৃত্বরা যেমন প্রবীর দা বা পিন্টু দা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।