গড়িয়া স্টেশনে রিকশাচালকদের জুলুমবাজি, চরম ভগান্তিতে যাত্রীরা, দেখে নিন কোথায় কত ন্যায্য ভাড়া
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৯ই অক্টোবর ২০২০ : গড়িয়া স্টেশনে রিকশাচালকদের ভাড়ার কোন মাত্রা নেই। যখন যেমন ইচ্ছে তাই ভাড়া নিয়ে চলেছে। সময়ের কোন ব্যাপার নেই। রাত ১০টা বাজলে তো জুলুমের পরিমান চরম হয়ে যায়। জুলুমবাজিতে মানুষের কপালে জোটে গালিগালাজও। যে যাত্রী প্রতিবাদ করতে যায় তাঁর সাথেই দাদাগিরি করে এই রিকশাচালকেরা।
সান্ধ্যবাজার থেকে যদি কেউ রিকশায় ওঠে আর বলে গিরি কালী বাড়ি যাবো রিকশাচালক কিছুই বলে না, গন্থব্যস্থলে এসে ১২টাকা হাঁকায় কিন্তু ইউনিয়েনের ভাড়ার বোর্ডে লেখা আছে ১০টাকা। বেমালুম ২টাকা বেশি। যদি সেই যাত্রী প্রতিবাদ করে তাঁকে চড়া গলায় বলা হয় ভাড়া ১২টাকা, আর যদি সঠিক ভাড়া দিতে পারবেন না তবে ওঠেন কেন। আপনাকে দেখিয়ে সব রিকশাচালকদের চিনিয়ে দেবো যেন আপনাকে কেউ না নেয় রিকশায়। কি স্পর্ধা ভেবে দেখুন? বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত ভাড়া চাইবে তাঁর উপর দুর্ব্যাবহার।বোর্ডে থাকা জায়গার নাম থেকে গলির ভিতরে ঢুকলেই অতিরিক্ত ৫ টাকা-১০টাকা যমন মর্জি তাই দিতে হবে যাত্রীকে। এই বিজ্ঞপ্তি বোর্ডের কোথাও উল্লেখ করা নেই। লক্ষ্মীবাড়ি পর্যন্ত বোর্ডে ভাড়া আছে ১১টাকা কিন্তু নেওয়া হয় ১৪টাকা, গৌতমের দোকান পর্যন্ত বোর্ডে ভাড়া আছে ১২টা সেখানে ভাড়া নেওয়া হয় ১৫টাকা। কোন নিয়ন্ত্রণ নেই আই এন টি টি ইউ সি পরিচালিত ইউনিয়নের।এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ইউনিয়ন থেকে বলা হয় তা একটু নাহয় বেশি দিয়ে দেবেন, কি বা করবে ওরা, গরীব মানুষ তাই আপনাদের থেকে চেয়ে নেয়। যাত্রীদের বলা হয় রাস্তা যা খারাপ তাতে চাকা থেকে রিকশার ক্ষতি হয়, বারেবারে তা মেরামত করতে হয়, কোথা থেকে মেরামত করবো। যাত্রী যদি সেখানেও প্রতিবাদ করে বলে রাস্তা ঠিক করবে পৌরসভা, সেখানে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তার সমস্যার কথা বললে হয়। তার উত্তরে রিকশাচালকেরা সাফ জানায় পৌরসভা করে কি করবে তা কে দেখতে যাবে। আমাদের এত সময় নেই। পৌরপিতা রাস্তার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ না নিলে যাত্রীদের তা মেটাতে হবে। ভাবুন কি ধরনের জুলুম। এটাও ঠিক নবগ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তা এতটাই বেহাল যে বছরে একবার (পুজোর সময়) কিছু ঝামা ইট দিয়ে রাস্তা নামমাত্র মেরামত করে দেওয়া হয় আর তার ভোগান্তি যাত্রীদের।ভেবে দেখুন পৌরসভা রাস্তা মেরামত করবে না আর তার ভোগান্তি ভুগতে হবে যাত্রীদের।
আমি নিজে এই রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে বিধায়কের কানেও তুলেছি বেশ কয়েকবার।বিধায়কের তরফে বলা হয় পৌরপিতাকে বলুন একবার কথা বলতে। পৌরপিতা তরুণ কান্তি মণ্ডলকে জানালে তিনি তো এক গাল হেঁসে জানিয়ে দেন, করবো, পুরো রাস্তার কাজ হবে, এখন ফান্ড নেই। ফান্ডের কথা বলা হয়েছে, ফান্ড এলেই রাস্তা একেবারে ঝকঝকে করে দেবো। ব্যাস এখানেই শেষ। রাত গিয়া তো বাত গিয়া। এরপর আর পৌরপিতার কোন ভূমিকা দেখা যায় না। ফের পুজো এসেছে, কয়েক গাড়ি ঝামা ফেলে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।
কিন্তু রিকশাচালকদের এই দুর্ব্যাবহার নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগই নেই। প্রতিবার মহালয়ার পর থেকে আগে ১টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হত আর এখন ২টাকা হয়েছে। কিন্তু এই যে একবার ভাড়া বাড়ানো হল তা চলবে সারা বছর। ভাড়া কমানোর আর কোন উদ্যোগ নেই কারো। সব জেনে রিকশা ইউনিয়ন মুখ বুজে চালাচ্ছে।উপরে দেওয়া ইউনিয়নের বোর্ডে নির্ধারিত দেখে নিন একবার কোথায় গেলে নির্ধারিত ভাড়া কত। রিকশাচলকদের এই দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।করোনার কারণে যেখানে মানুষের রোজগার নেই সেখানে সেই সুযোগে রিকশাচালকদের এই জুলুমবাজি চলছে, চলবে।