ব্রিগেড থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুললেন না, ক্ষুব্ধ বাংলার ভোটাররা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৮ই মার্চ ২০২১ : গতকাল নির্বাচনের আগে বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল কিন্তু বেলা ২টো-র পর থেকে উত্তেজনার সেই পারদ নামতে থাকে। কিছুদিন আগে এই একই জায়গায় বাম-কংগ্রেস জোট যে সমাবেশ করেছিল তাতে এদিনের থেকে বেশি মানুষ দেখা গিয়েছিল। নিন্দুকেরা অবশ্যই বলবেন যে সেখানে একটা বড় অংশ ছিল ইন্ডিয়ান সেকিউলার ফ্রন্ট (ISF)। অর্থাৎ সবটাই আব্বাস সিদ্ধিকি-র জন্য হয়েছে। সে নিন্দুকেরা যাই বলুক, মানুষের সংখ্যাটা কথা বলবে।এমনও হয়েছে বিজেপির ব্রিগেড সভায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখতেও গিয়েছেন অনেকে। সব বিতর্ককে বাদ দিলাম।
বাংলার মানুষ যারা টিভি খুলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনেছেন (যার মধ্যে অনেক তৃনমূল সমর্থক ছিল) তারা ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হয়তো এই সভা থেকে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মাত্রা ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কিছু সমাধানের সূত্র ঘোষণা করবেন। তা না বলে তিনি শুধু “সোনার বাংলা” নিয়ে ভাষণ দিলেন। কিভাবে সোনার বাংলা হবে তার কোন সমাধানের রাস্তা প্রকাশ্যে এলো না। মানুষ গ্যাস ছাড়া একদিনও চলতে পারবেন না। জ্বালানি তেল ছাড়া এক মুহুর্ত চলতে পারবে না। এই জ্বালানি তেলের মূল্যব্রিদ্ধির সাথে জড়িয়ে আছে বাজারদর। দিনদিন বাজারদর বেড়েই চলেছে।তার কোন সমাধান নিয়ে আলোচনা করলেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি শুধু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্কুটি চালানো নিয়ে কটাক্ষ করলেন। তবে কি প্রধানমন্ত্রী সোনার বাংলা তৈরির নামে রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলাকে নিয়ে মজা করতেই হাজির হয়েছিলেন? তাঁর ভাষণ শুনে একটা কথা পরিস্কার হয়ে গেছে যে তিনি শুধুমাত্র বাংলার মানুষকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে এসেছিলেন আর মঞ্চে শুধু তারকা ও বিদায়ী তৃনমূলীদের নিয়ে ভিড় করতেই এসেছিলেন। কোন সুরাহা করতে নয়। তিনি একটাই কথা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন “এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত” ও “এক বিধান, এক নিশান, এক প্রধান” কে মজবুত করতেই হাজির হয়েছিলেন। এক কথায় তিনি তাঁর নিজের চেয়ার শক্ত করতে এসেছিলেন।কোথায় একই দিনে তো শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সব মহিলাদের নিয়ে গ্যাসের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে পদযাত্রা করেছেন। সেটাকে কটাক্ষ করে তো কিছু বললেন না? সেটাকে কটাক্ষ করে তো তিনি বলতেই পারতেন যে দিদি কেন পদযাত্রা করছেন, সব কিছুর দাম তো কমে গেছে। ছবি : অসীম পাল।