অনলাইন কেনাকাটিতে ভরসা না থাকলেও তার বিকল্প হয়ে উঠেছে সেনরিসার “নেক্সট ডোর হাব”
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৩শে আগস্ট ২০১৯ : বর্তমানে সব ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ নিজের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে। কিন্তু তাতে অনেকের এই অনলাইন কেনাকাটার উপর ভরসা রাখতে পারছে না। এর একটাই কারণ যেমনটা পছন্দ সেরকমটা হাতে পায় না। পছন্দ করে অর্ডার দেওয়া হয় একটা আর যখন হাতে আসে তখন তা পরিবর্তন হয়ে যায়। এছাড়া ডেলিভারির সময় আগে পছন্দের সামগ্রী দেখার উপায় নেই।আগে টাকা দিয়ে হোক আর ডেলিভারির সময় টাকা দেওয়া হোক প্যাকেট খুলে দেখার উপায় নেই কি আছে প্যাকেটে। পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়ার উপায় নেই। এছাড়া তো সব থেকে বড় সমস্যা হল কোন রাজ্যের সব জায়গায় ডেলিভারি হয় না। যেখানে হয় না সেখানে বাড়ি থেকে বেশ দূরে কুরিয়ারের কালেকশন পয়েন্ট আছে, সেখানে গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে তার পছন্দের সামগ্রী।এরপর পছন্দ না হলে বা কোন সমস্যা থাকলে ফের কুরিয়ার করে পাঠাতে হবে সেই অনলাইন সংস্থার কাছে। বর্তমানে অনেকেই এইসব সমস্যা থাকার কারণে অনলাইন কেনাকাটিতে ভরসা করতে পারেন না। আর তাই তার বিকল্প হিসেবে বাজারে সেনরিসা টেকনোলগির উদ্যোগে বাজারে এসেছে “নেক্সট ডোর হাব”। এই নতুন ই-কমার্স শপিং-এর মাধ্যমে ক্রেতারা অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটি করতে পারবেন রাজ্যের যে কোন কোনায় বসে।
এব্যাপারে সাম্প্রতিক এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার সি ই ও এবং ফাউন্ডার কুমার পি সাহা জানান, পশ্চিমবাংলা দিয়ে আমরা প্রথম কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের গ্রাহক প্রায় ১০ কোটি এবং প্রায় ৫০০০ এধরনের রিটেল ই-শপ খোলা হয়েছে। কি এই “নেক্সট ডোর হাব”? এর উত্তরে কুমার পি সাহা বলেন, “নেক্সট ডোর হাব” একটি আধুনিক প্রযুক্তির অনলাইন দোকান। এই দোকানে আপনি গিয়ে নিজে দেখে পছন্দ করে অনলাইন অর্ডার দিতে পারবেন এবং বাড়িতে বসেই তা পেয়ে যাবেন। এটা আপনি নিজের মোবাইল ফোন থেকেও করতে পারেন। এখানে পুরুষ ও মহিলাদের পোশাক, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, ঘরের ও রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শিশু বিভাগের সব কিছু পাওয়া যায়। এর সব থেকে বড় সুবিধা হল নিরাপত্তা এবং বিক্রির পরের পরিষেবা যাকে বলা হয় আফটার সেলস সার্ভিস। এই দুটো হল সব থেকে জরুরী। আপনি কিছু একটা সামগ্রী কেনাকাটি করলেন, ডেলিভারির পরে প্যাকেট খুলে
দেখলেন যেটা আপনি অর্ডার দিয়েছেন তা নেই সেটা এখানে হবে না কারণ আপনি সাথেসাথে তা ফেরত দিতে পারছেন। এছাড়া আপনি পছন্দের সামগ্রী ব্যবহার করার পর কখনও যদি বিকল হয়ে পরে তা আপনি এই হাবের মাধ্যমে সংস্থার সার্ভিস সেন্টারে মেরামতির জন্য পাঠাতে পারছেন। সবথেকে বড় সুবিধা হল আপনার এলাকায় থাকা এই হাবে গিয়ে আপনি পছন্দ করে সামগ্রী নিতে পারছেন যার জন্য আপনাকে আগে সামগ্রীর সম্পূর্ণ দাম দিতে হচ্ছে না। সামগ্রী নেওয়ার সময় আপনি সেই সামগ্রীর দাম দিয়ে ঘরে নিয়ে যেতে পারছেন। সব থেকে বড় সুবিধা হল যেখান থেকে আপনি সামগ্রীর অর্ডার করছেন বা নিচ্ছেন সেই মানুষটিকে আপনি চেনেন ও জানেন, মানে আপনার একটা ভরসার জায়গা আছে সাথে থাকছে নিরাপত্তা। বর্তমানে ৯০৬ লাখ মানুষ গ্রামে বা জেলায় থাকে যারা অনলাইন কেনাকাটার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তারা এই “নেক্সট ডোর হাব”-এর মাধ্যমে কেনাকাটি করতে পারবেন। ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০০০ এধরনের হাব তৈরি হবে সারা রাজ্যে। শহরের থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রেতা থাকে গ্রামে বা জেলায়। এই পরিষবার মাধ্যমে থাকছে বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা, ডেলিভারি সুবিধা ও বিক্রির পরে পরিষেবা। আমরা শুধুমাত্র ই-কমার্স ও সেলস-এর মধ্যে একটা ভরসা যুক্ত সেতুবন্ধন মাত্র।বর্তমানে মেদিনীপুর, মালদা, ২৪ পরগণা, উত্তরবঙ্গে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপদেষ্ঠা মন্ডলীর প্রধান সদস্য এই ই-কমার্স ব্যবসার অতি পরিচিত মুখ বিরেশ ওবেরয়। যাকে বলা যেতে পারে ভারতে এই ই-কমার্স ব্যবসার মূল প্রবর্তক। প্রচারে : ইস্টম্যান কমিউনিকেশন।