রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতার উদ্যোগে পুরানো রেশন কার্ডের স্লিপ বিলি
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১০ই এপ্রিল ২০২০ : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি করোনা দুর্জোগের মোকাবিলার জন্য গোটা রাজ্যের মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই মত ১লা এপ্রিল থেকে রাজ্যের সব রেশন দোকানে ডিজিটাল রেশন কার্ডের বিভিন্ন খাদ্য সুরক্ষা ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিনা পয়সায় চাল, গম অথবা আটা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে যাদের ডিজিটাল রেশন হয় নি তাদের নিয়ে।
সেক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সুব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। যারা পুরানো রেশন কার্ডের পরিবর্তে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন জমা দিয়েছেন তাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী পুরানো রেশন কার্ডের আবেদনে যাদের বারকোড দেওয়া আছে তাদের রেশন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এরজন্য প্রথমে বলা হয়েছিল রেশন দোকানে গিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে একটা কুপোন দেওয়া হবে। কিন্তু কোন রেশন দোকান এই দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায় পরবর্তীতে থানা থেকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তাতেও দেখা দেয় জটিলতা কারণ থানার পুলিশ মানুষকে করোনা থেকে নিরাপদে রাখতে দিনরাত সজাগ রয়েছে। তারাও ঘনঘন বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে, নজরে রাখছে যাতে মানুষ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে। সেখানে এই বাড়তি দায়িত্ব চাপানো একটা সমস্যা হয়ে উঠবে। শেষমেশ এই দায়িত্ব দেওয়া হয় জনপ্রতিনিধিদের। প্রতিটা পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রিতিনিধিরা এবার এই স্লিপ বা কুপোন বিলি করবে।
সেই নির্দেশ মেনে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সব জনপ্রতিনিধিরা রেশনের স্লিপ বা কুপোন বিলি করার কাজ শুরু করেছেন। আগামী রবিবার (১২ই এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল নিজস্ব ওয়ার্ড অফিস থেকে এই স্লিপ বিলি করবেন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে পৌরপিতা তরুণ বলেন, আমি ইন্টারনেট থেকে নতুন কার্ডের আবেদন অনুযায়ী বারকোডের ভিত্তিতে সকলের নামের তালিকা নিয়ে নিয়েছি। আমি সকলকে অনুরোধ করবো পুরানো কার্ডের পরিবর্তে নতুন কার্ডের আবেদনের সাথে বারকোড লাগানো যে স্লিপ আছে তাঁর জেরক্স নিয়ে আসতে হবে এবং পিছনে নিজের মোবাইল নম্বর লিখে দিতে হবে। এই স্লিপের ভিত্তিতে তালিকা যাচাই করে স্লিপ দেওয়া হবে।
কিন্তু এবার একটা নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। যাদের রেশন কার্ড নেই বা যারা পুরানো রেশন কার্ডের পরিবর্তে নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন করেন নি, তাঁরা কি করবেন? তাদের খাদ্য সামগ্রী কি ভাবে দেবে সরকার? এই মুহুর্তে এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন একবার বলেছেন রাজ্যের কোন মানুষ খাদ্যের অভাবে থাকবে না তখন তো কিছু একটা হবেই, এই ভরসা করা যেতেই পারে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিধায়ক থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা এই ধরনের মানুষকে চিহ্নিত করে সাধারণ মানুষের সাথে এই ধরনের মানুষদেরও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।