মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আবেদনে সাড়া দিয়ে তিন মাসের বেতন দান করে নজির করলেন বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৭শে মার্চ ২০২০ : সারা বিশ্ব যখন করোনা জ্বরে আতঙ্কিত। সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা যেখানে পৌঁছে গেছে ২৫০০০ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫.৫ লাখ।ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮০ আর সেখানে এই রাজ্যের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৮। রাজ্যে এই সংখ্যা হওয়ার প্রধান কারণ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৎপরতা ও দুরদর্শিতা। তিনি ভারতে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি এই পরিস্থিতির আঁচ করতে পেরে লকআউট ঘোষণা করেছিলেন। মমতা ব্যানার্জি ২২শে মার্চ আনুমান করতে পেরেছিলেন লকআউট ছাড়া এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এরপর তিনি রাজ্যবাসীকে বারবার অনুরোধ করেন যাতে কেউ গুজব না ছড়ায় এবং সেই গুজবে কেউ যেন কান না দেয়। সকলকে সচেতন করেছেন নিজেকে কিভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে ও কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে।কিন্তু তাতেও মানুষ খুব একটা সচেতন হয়েছন তা বলা যাবে না।
রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।এরপর তিনি ধাপে ধাপে চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে শুরু করেন। প্রতিটা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অনুরোধ করেন কোন রোগী এলে যেন তাদের চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজনে কোন পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে সুপারিস করা হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করেছেন সাথে রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসকেও করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করেছেন।কিন্তু চিকিৎসা যে হবে সেই ব্যবস্থা কোথায়? তাই তিনি এবার সকল রাজ্যবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অনুরোধ করেন মুক্ত হস্তে এই করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করতে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির করোনা প্রতিরোধে মোকাবিলার আবেদনে সাড়া দিয়ে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম নিজের বিধায়ক ভাতার তিন মাসের ভাতা দান করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে।করোনা আক্রান্তদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের চিকিৎসা ও রক্ষার্থে বিভিন্ন হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, আইসোলেশন ওয়ার্ড নির্মান, পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করার যে ভাবনা নিয়েছেন তাকে আরও মজবুত করতে সাহায্যের হাত বাড়ালেন বিধায়ক ফিরদৌসী।