শিল্পাঞ্চলে সুসংহত বাস্তুতন্ত্রের ব্যাপারে দ্য বেঙ্গল চেম্বার হলদিয়ায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করল
নিজস্ব সংবাদদাতা, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৩০শে নভেম্বর ২০১৯ : পরিবেশ রক্ষা, দূষণ কমাতে সবসময় উদ্যোগ নেয় দ্য বেঙ্গল চেম্বার। শিল্পাঞ্চলে বাস্তুতন্ত্র রক্ষার ব্যাপারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল তারা। প্রতি বছরই তারা এই উদ্যোগ নেয়। এবার এই কর্মসূচির ষষ্ঠ বছর। হলদিয়ার গোল্ডেন রিট্রিট হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিশিষ্টরা।দুর্গাপুর এবং শিলিগুড়িতেও একই কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে এই বণিক সংগঠন।
সভায় শিল্প এবং পরিবেশের বর্তমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশিষ্টদের থেকে একগুচ্ছ নতুন মতামত , পরামর্শ পাওয়া যায়। সেগুলি পাঠানো হচ্ছে সরকারের কাছে। যাতে সরকার আরও উদ্যোগ নেয়। এই সভা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হল পরিবেশ এবং শিল্প— এই দুই ক্ষেত্রের মানুষদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা। যাতে পরস্পরের মধ্যে আরও সমন্বয় তৈরি হয়। লাভবান হয় দু’পক্ষই।
রাজ্য সরকার হলদিয়ায় শিল্পাঞ্চলের এলাকা আরও বাড়াচ্ছে। এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ৮০৫ স্ক্যোয়ার কিমি এলাকা অন্তর্ভুক্ত হবে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ মাতঙ্গিনী, কোলাঘাট এবং পাঁশকুড়া। তৈরি করা হবে মৌজাভিত্তিক ডিজিটালাইজড জমি ব্যবহার মানচিত্র এবং ডেভলপমেন্ট কন্ট্রোল প্ল্যান। শিল্পাঞ্চলে শিল্প, কৃষি, আবাসন, রাস্তাঘাট, রেল, বনাঞ্চলের জন্য আলাদা জায়গা থাকবে। এর পাশাপাশি কৃত্রিম জলাশয়, নদী, হ্রদ, খাল, পুকুরও থাকবে। বাগানগুলিকে সুন্দর করে সাজানো হবে।
দ্য বেঙ্গল চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবীর চক্রবর্তীl বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলকে আরও উন্নত করে গড়ে তুলতে এগুলি নিঃসন্দেহে ভাল দিক। রাজ্যের শিল্পায়ন পক্ষেও ভালো বার্তা যাবে। বণিকসভার কাজ হল সরকার এবং বণিকদের একসঙ্গে নিয়ে কাজ করা। যাতে সংশ্লিষ্ট এলকা আরও উন্নত হয়ে ওঠে। উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে শিল্প সংস্থার চিন্তা করা দরকার। এর মধ্যে রয়েছে গুণমান নির্ণয়, শক্তি বাঁচানো, কার্বন নিঃসরণ কমানো, জল শোধন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। বণিকসভা সবসময় এলাকায় উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। এবং এলাকায় যাতে বাণিজ্য আরও উন্নত হয়, সেই চেষ্টা করছে। সেইসঙ্গে হলদিয়ার উন্নয়নের জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় পরিবেশ পরিবেশমন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজনকে চিঠিও দিয়েছিল। যার বিষয়বস্তু ছিল হলদিয়ায় লগ্নির ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হোক।’অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ব্রিজ বেহারি। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুব শীঘ্রই আমরা বিএস 4 জ্বালানি থেকে বিএস 6 জ্বালানি ব্যবহার শুরু করতে চলেছি। ২০২০ সাল থেকে দেশের মানুষের সাথে এই জ্বালানির পরিচয় করিয়ে দেব। আমরা পরীক্ষা নীরিক্ষা মধ্যে আছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা এই জ্বালানি দেশের মানুষের কাছে আনতে পারব। বি এস ৬ জ্বালানির ব্যবহার আমাদের দেশের কাছে সত্যিই একটি গর্বের মুহূর্ত হতে চলেছে”।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনঃ-শ্রী হিরক জ্যোতি মজুমদার,ডব্লিউ বি সি এস(এক্সিকিউটিভ), অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার,হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথারিটি,দ্য বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির শক্তি এবং পরিবেশ বিষয়ক কমিটির মেন্টর, প্রেরণা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেডের অধিকর্তা (প্রযুক্তিগত)
শ্রী অরুণকুমার মুখার্জি, হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড এর পরিবেশ বিষয়ক দপ্তরের ম্যানেজার ডঃ সঞ্জয় চক্রবর্তী, হলদিয়া পেট্রোকেমিকাল এর ম্যানেজার (প্রযুক্তিগত)শ্রী শুভাশিস পাল প্রমুখ। প্রচারে : গ্রে ম্যাটার।