প্রথম পাতা

গড়িয়ায় পৌরমাতা পাপিয়া ও বিধায়ক ফিরদৌসীর উদ্যোগে ৫টি ক্লাব নিয়ে তৈরি হল কোভিড টাস্ক ফোর্স

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ১৬ই মে ২০২১ : যত দিন এগোচ্ছে তত পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন সংক্রমণের হার বাড়ার সাথে সাথে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। কেন্দ্র সরকারের তরফে এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এখনও ভ্যাকসিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষ দিশাহারা। এই অবস্থায় সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক বিধানসভার মানুষের জন্য ইতিমধ্যে সেফ হোমের ব্যবস্থা করেছেন সাথে অক্সিজেন পার্লার করেছেন যেখানে ১৬জন একসাথে অক্সিজেন নিতে পারবেন। এবার রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা পাপিয়া হালদার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সোনারপুর উত্তর বিধানসভার প্রধান সংগঠক নজরুল আলি মন্ডলের সহযোগিতায় ওয়ার্ডের ৫টা ক্লাব ও দুর্গাপুজো কমিটিদের নিয়ে তৈরি করলেন “করোনা টাস্ক ফোর্স”।

এই ৫টি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে বৈশাখী সংঘ, বালিয়া বালক সংঘ, উত্তর বালিয়া দুর্গাপুজো কমিটি, পূর্ব বালিয়া দুর্গাপুজো কমিটি ও পশ্চিমপাড়া প্রভাতি সংঘ। সাম্প্রতিক ওয়ার্ডের ক্লাব সংগঠনগুলোকে নিয়ে এক বইঠকে পৌরমাতা ক্লাব সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ক্লাব সংগঠন ও পুজো কমিটিগুলোকে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সাহায্য করেছেন এবার সময় এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে করোনা মোকাবিলা করতে তাঁর লড়াইকে সফল করতে।এই প্রথ্ম গড়িয়ার ৬টা ওয়ার্ডের মধ্যে কোন পৌর প্রতিনিধি বা ক্লাব সংগঠনের এক শুভ উদ্যোগ।এখনও পর্যন্ত এভাবে কেউ ভাবে নি। পৌরমাতা পাপিয়া হালদারের অনুরোধে উপরের উল্লেখিত ৫টা ক্লাব ও পুজোকমিটি এগিয়ে আসে ওয়ার্ডের করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে নিজেদের উদ্যোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখতে। এছাড়া পৌরমাতা পাপিয়া হালদার ও বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের উদ্যোগে গড়াগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেফ হোম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোট ৮টা মেডের সেফ হোমে ডাক্তার, নার্স, অক্সিজেন ও ওষুধের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের করোনা রোগীদের প্রাথমিক স্তরে চিকিৎসা করা হবে কিন্তু রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা থাকবে বলেও চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে। পাপিয়া হালদারের উদ্যোগে যে করোনা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে তাতে ৫টা ক্লাব সংগঠন ও পুজো কমিটির সদস্যদের ছাড়াও ওয়ার্ডের ৫টি এলাকার তৃনমূল কর্মীদের রাখা হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের ফোন নম্বর এলাকার মানুষের মধ্যে প্রচার করা হবে যাতে কেউ করোনা রোগী শ্বাস্কষ্টের জন্য বিপদে পড়লে তাদের ফোন করে সাহায্য পেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *