স্বাস্থ্য

মানুষের শ্রবনশক্তি হারালে নিজেই বিব্রত বোধ করেন, মুক্তি দিতে কলকাতায় প্রাক্তন ক্রিকেটার কিরমানির হাত দিয়ে ৬টা ক্লিনিকের সূচনা করল “হিয়ারিং সলিউশন”

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৯শে আগস্ট ২০১৯ : একজন সুস্থ ও সবল মানুষের শরীরে ৫টি ইন্দ্রিয় সজাগ ও সক্রিয় থাকা খুবই প্রয়োজন। এর মধ্যে কোন একটা ইন্দ্রিয় যদি কার্যকরি না হয় তখন মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে ও বিব্রত বোধ করে। আর সেই কথা মাথায় রেখে দক্ষিনী সংস্থা হিয়ারিং সলিউশন প্রথমবার এই রাজ্যে তাদের ব্যবসার কথা মাথায় এনে কলকাতা শহরে ৬টি ক্লিনিকের উদ্বোধন করে।এই ৬টি ক্লিনিকগুলো রয়েছে শ্যামবাজার, সল্টলেক, পার্কসার্কাস, কসবা ও টালিগঞ্জে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার সৈয়াদ কিরমানি (যিনি নিজেই এই সমস্যায় ভুগছেন এবং দীর্ঘদিন শ্রবণশক্তি বৃদ্ধির যন্ত্র ব্যবহার করছেন), রাজাপান্দিয়ান এস (ডিরেক্টর, হিয়ারিং সলিউশন), অবিনাশ পাওয়ার (সি ই ও, সিভান্টোস ইন্ডিয়া), শুভায়ু দাস (বিজনেস হেড, নিউ

ভেঞ্চারস, হিয়ারিং সলিউশনস), পিয়ুস কুমার জৈন (সি ই ও হিয়ার ডট কম) এবং সকলের অভিভাবক আলভারাজ। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এক সমাজসেবী সংস্থার ৫জন শ্রবনশক্তিহীন শিশুকে ১০টি শ্রবনশক্তি বৃদ্ধির যন্ত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রাজাপান্দিয়ান জানান, সারা বিশ্বে ২৫০ মিলিয়ন মানুষ এই শ্রবনশক্তিহীনতায় ভোগে যার মধ্যে ভারত দ্বিতীয় যেখানে ৬০ মিলিয়ন (৬%) মানুষ এই সমস্যায় ভুগছে। মানুষ প্রথমে বুঝতে পারে না যে তার শ্রবনশক্তির সমস্যা আছে, প্রায় ৭-৮ বছর যাওয়ার পর সে বুঝতে পারে। ভারতবর্ষে শ্রবনশক্তিহীনতা রোগ তিন নম্বর স্থানে আছে।তাই এই সমস্যা দূর করতে আমরা এটাকে প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছি। আমাদের সেইমত অভিজ্ঞ অডিওলজিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট ও টেকনিকাল সাপোর্ট স্টাফ আছে যারা রোগীদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর। অবিনাশ পাওয়ার বলেন, প্রথম অবস্থায় এই সমস্যা নির্নয় হলে তা খুব দ্রুত নিরাময় হতে পারে। অনুষ্ঠানে জানানো হয় শ্রবনশক্তিহীনতা থেকে মুক্তি দিতে হিয়ারিং সলিউশনস যে যন্ত্রটি এনেছে তার মূল্য ৮০০০ টাকা থেকে শুরু ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আছে। এই সমস্যা দূরীকরণের কাজ শুধু ভারতে নয় ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশেও গিয়ে হিয়ারিং সলিউশনস মানুষকে শ্রবণ শক্তি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করবে।তিনি আরও বলেন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল এই সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য এই ক্লিনিকগুলো যাতে কাছে হয়, যন্ত্র ব্যবহার করার সময় কোন সমস্যা হলে যাতে আমাদের কাস্টোমার কেয়ার থেকে চটজলদি সমাধান হয়, সচেতনতা বৃদ্ধি ও আশ্বাস থাকে। কারণ অনেকে এই সমস্যা লোকসমাজে প্রকাশ করতে লজ্জ্বা বোধ করেন। সেটা না করে আমাদের কাছে এলে সুরাহার রাস্তা দেখাতে পারবো, এই কারণে আমরা বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা শিবির করবো।প্রচারে : আইটিডাবলু প্লেওয়ার্কস। ছবি মৃত্যুঞ্জয় রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *