খবরাখবর

২ লাখ টাকা স্টেট রিলিফ ফান্ডে সাহায্য করে ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন মানবিক মন্ত্রী শোভনদেব

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৮শে মার্চ ২০২০ : সারা বিশ্ব যখন করোনা জ্বরে আতঙ্কিত। সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা যেখানে পৌঁছে গেছে ২৫০৬৬ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫.৫ লাখ ছাড়িয়েছে।ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৪, সেরে উঠেছে ৮৪ এবং মৃতের সংখ্যা ১৯।

সেখানে এই রাজ্যের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৫। রাজ্যে এই সংখ্যা হওয়ার প্রধান কারণ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৎপরতা ও দুরদর্শিতা। তিনি ভারতে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি এই পরিস্থিতির আঁচ করতে পেরে লকআউট ঘোষণা করেছিলেন তারপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের লকআউট ঘোষণা করেন। ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রমাণ করে দিলেন “হোয়াট বেঙ্গল থিংকস টুডে, ইন্ডিয়া থিংকস টুমোরো” কটতা বাস্তব ও সত্য।মমতা ব্যানার্জি ২২শে মার্চ আনুমান করতে পেরেছিলেন লকআউট ছাড়া এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এরপর তিনি রাজ্যবাসীকে বারবার অনুরোধ করেন যাতে কেউ গুজব না ছড়ায় এবং সেই গুজবে কেউ যেন কান না দেয়। সকলকে সচেতন করেছেন নিজেকে কিভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে ও কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে।কিন্তু তাতেও মানুষ খুব একটা সচেতন হয়েছন তা বলা যাবে না। মানুষ এখনও এই লকআউটকে খুবই হালকা ভাবে নিচ্ছেন। বোঝার চেষ্টা করছেন না আমাদের দেশ সহ রাজ্য কতটা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় প্রথম দেশ আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ, তারপরই রয়েছে সেই আবিষ্কারক দেশ চীন (চীন) ৮১ হাজার।আপাতত খবর পাওয়া অবধি ভারতবর্ষে করোনায় আক্রান্ত রাজ্যের মধ্যে সবার উপরে কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৬, মহারাষ্ট্রে ১৬২, কর্নাটক ৭৪, তালিমনাডু ৪৫, গুজরাটে ৫৪, দিল্লি ৪৫, হরিয়ানা ৩৩, লাদাখ ১৩, মধ্যপ্রদেশ ৩৩, মনিপুর ১, পাঞ্জাব ৩৮, তেলেঙ্গানা ৫৯, উত্তরাখান্ড ৬, পশ্চিমবঙ্গ ১৫, আন্দামান ৬, অন্ধ্রপ্রদেশ ১৩, বিহার ৯, চন্ডীগড় ৬, গোয়া ৩, হিমাচল ৩। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।এরপর তিনি ধাপে ধাপে চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে শুরু করেন। প্রতিটা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অনুরোধ করেন কোন রোগী এলে যেন তাদের চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজনে কোন পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে সুপারিস করা হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করেছেন সাথে রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসকেও করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করেছেন।কিন্তু চিকিৎসা যে হবে সেই ব্যবস্থা কোথায়? তাই তিনি এবার সকল রাজ্যবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অনুরোধ করেন মুক্ত হস্তে এই করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করতে।

সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নবান্নে উপস্থিত হয়ে নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ টাকা ও সংবাদ অঙ্গীকারের তরফ থেকে ১ লাখ টাকা দান করেন। শোভনদেব সংবাদ অঙ্গীকার সংবাদপত্রের সম্পাদক। ফের একবার মন্ত্রী শোভনদেব প্রমাণ করে দিলেন তিনি শুধু দলের সঙ্কটের দিনে পাশে থাকেন না, তিনি রাজ্যের চরম শঙ্কটের দিনেও একইভাবে মানবিকতা দেখিয়ে রাজ্যের মানুষের পাশে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *