তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে গেলে এবার লাগবে নো অবজেকশন লেটার, রাজনৈতিক মহল হাসছে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৪ঠা জুলাই ২০১৯ : মমতা ব্যানার্জির এক মাস্টার স্ট্রোকে বিজেপিতে যোগদানের হার কমে গেছে। লোকসভা ভোটার পর মমতা ব্যানার্জি ফল খারাপের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দলীয় নেতা ও কর্মীদের নামে বহু অভিযোগ পেয়েছেন। সেই অভিযোগের প্রধান ছিল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কাটমানি নেওয়া। এবার তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দেন যে সব নেতারা কাটমানি নিয়েছে তাদের সব কাটমানি ফেরত দিতে হবে। আর এই ঘোষণার পর মানুষের প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কিছু জায়গায় নেতাদের কাটমানি ফেরত দিতে হয়েছে। এরসাথে মমতা ব্যানার্জি এটাও ঘোষণা করেন যাদের বিজেপিতে যেতে ইচ্ছে হয়েছে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিজেপিতে যেতে পারে। কিন্তু মুকুলের দল পরিবর্তনের চালকে বিজেপি এক ধাপ ওপরে উঠে বলেছে তৃণমূল থেকে কেউ আস্তেই পারে কিন্তু তাকে কাটমানির টাকা ফেরত দিয়ে আসতে হবে।এর প্রমাণ কি করে দেবে? এখানেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি। টাকা ফেরত দিলে তবে কি প্রতিটা মানুষের থেকে লিখিয়ে নিয়ে প্রমাণ করবে কাটমানি ফেরত দিয়েছে? এযেন সেই কর্পোরেটের ঢঙে পুরাতন সংস্থা ছেড়ে নতুন সংস্থায় যোগ দিতে গেলে যেমন “নো অবজেকশন লেটার” দিতে হয় প্রায় সেরকমই হয়ে দাঁড়িয়েছে। কে দেবে এই শংসাপত্র? এই শংসাপত্র দিতে গেলে তো একমাত্র হাইকমান্ডই দিতে পারে। রাজনৈতিক মহল বিজেপির এই সিদ্ধান্তে হাসছে। এই প্রথম দেশ দেখলো কোন দল ছেড়ে আসতে গেলে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগছে। একদিকে তৃণমূলের যেমন সুবিধা হল তেমন অন্যদিকে তৃণমূল নেতাদের অসুবিধাও হল। অনেক তৃণমূল নেতা ভেবেছিল কাটমানির টাকা আত্মস্বাদ করে দল বদল করে নেবে আর কেউ টিকিটাও ছুঁতে পারবে না। কিন্তু তার তো এখন উপায় নেই। এখন বিজেপি দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে মুকুল রায় নিজে যে কাটমানি নিয়েছে তা কি ফেরত দিয়ে দলে যোগ দিয়েছে? তবে তো মুকুল রায়কেও সারদা, নারদা আর নির্বাচনের টিকিট করে দিতে যে টাকা তুলেছিলেন তা ফেরত দিয়ে আসতে হবে দলে? কি হাস্যস্কর দল বদলের পদ্ধতি।