বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের আন্তরিক সহযোগিতায় গড়িয়ায় প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অধিকাংশ ওয়ার্ডে সভা করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৭শে আগস্ট ২০২০ : ২৮ শে আগষ্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। পরাধীন ভারতের মাত্র ১৪% মানুষের অক্ষর পরিচয় ছিল। বেশিরভাগ ইংরেজ রাজপুরুষই এদেশীয় মানুষের স্বাক্ষরতার জন্য বিশেষ মাথা ঘামাননি। তবে এরই মাঝে দেশীয় শিক্ষার একটি ক্ষীণ ধারা টোল, মাদ্রাসা,চতুষ্পাঠী প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চলে আসছিল। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর সঙ্গত ভাবেই শিক্ষার হার ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে ভারতে স্বাক্ষরতার হার ৭০% এর বেশি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট বলে ভাবলে চলবে না। শুধুমাত্র নাম স্বাক্ষর করতে পারে অথবা অক্ষর পরিচয় আছে এমন লোকের সংখ্যাই এই শতাংশে সর্বাধিক। প্রকৃত শিক্ষিত লোকের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম।এর কারণ হলো স্বাক্ষরতা অভিযানে আমরা সর্বোতভাবে সরকার ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান গুলোর উপর নির্ভরশীল। ছাত্র সমাজকে সেভাবে আমরা এই আন্দোলনে শামিল করতে পারিনি।
আর তাই প্রতিবছর ২৮শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দিবস পালিত হয়। কিন্তু এবছর করোনা সব কেড়ে নিয়েছে। তাই এবছর ভার্চুয়াল সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই দিনকে উদযাপিত করতে সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সহযোগিতায় গড়িয়ার সবকটা ওয়ার্ডে সভা করলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সমরজিত ব্যানার্জি, গড়িয়া টাউন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি বিশ্বজিত সাউ সহ সুপ্রিয় দে । অধিকাংশ সভায় উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত ও পিন্টু দেবনাথ। ৪নং ওয়ার্ডের সভায় বিদায়ী পৌরপিতা তথা সিআইসি এবং বর্তমানে প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য বিভাস মুখার্জি এবং ৩ নং ওয়ার্ডে বিদায়ী পৌরমাতা অশোকা মৃধার উপস্থিতিতে সভা হয়। ৫নং ও ৬ নং ওয়ার্ডেও সভা হয়। কিন্তু ২ নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডের স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে কোন সভার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আগামীকাল ১ নং ওয়ার্ডে সভা করা হবে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিটি সৈনিক যদি একজন নিরক্ষরকে স্বাক্ষর করার দায়িত্ব গ্ৰহন করে তাহলে সমাজের প্রকৃত স্বাক্ষরতার হার বেড়ে যেতে বাধ্য। নিরক্ষরকে স্বাক্ষর করার দায়িত্ব তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে বাধ্যতামূলক ভাবে গ্ৰহন করতে হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে বুঝতে হবে কেন স্বাক্ষরতা অভিযান জরুরি? এই ব্যাপারে শুধু রাজনৈতিক দায়িত্ব নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নৈতিক দায়িত্বও আছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আন্তরিক হলে বাংলা একদিন নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে বাধ্য হবে। এসো, নিজেদের শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচির বেড়াজালে আবদ্ধ না রেখে সামাজিক কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করি। গড়ে তুলি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক অনন্য সংস্কৃতি।