কলকাতা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের নিয়ে মহা ধুমধামের মধ্যে দিয়ে শুরু হল “ময়দান মারভেরিক্স ছোটবেলার ক্রিকেট”
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ : ছোটবেলায় অনেকের স্বপ্ন থাকে খেলার মাঠে বেশ নাম করবে বিশেষ করে বালকদের। কেউ সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারে আবার কেউ সেই স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে হারিয়ে যায় ভিড়ের মাঝে।আজ সকলেই তার নিজের বৃত্তে ব্যাটিং করছে। এক কথায় কারও সাথে কারও সেরকম ভাবে যোগাযোগ নেই। কখনো রাস্তায় চলার পথে দেখা হল তখন কিছুটা স্মৃতিচারণ। কেউ নিজের চাকরি সামলাচ্ছে, কেউ বা ব্যবসা। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা ক্রিকেট মাঠের প্রাক্তনীদের নিয়ে সূর্য সারথী রায়-এর সাথে আরও কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের উদ্যোগে তৈরি হল “ময়দান মারভেরিক্স ছোটবেলার ক্রিকেট”। এই ময়দান মারভেরিক্স-এর উদ্যোগে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের এক ছাতার তলায় এনে বাংলার ক্রিকেটারদের উন্নতি, দুঃস্থ ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানো, বাংলা ক্রিকেটে নতুন প্রতিভার খোঁজ, ময়দানে বিভিন্ন ক্লাবের ক্রিকেটারদের প্রতি বৈশম্যতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং বাংলার অন্যান্য ক্রীড়া জগতের মানুষদের উন্নতির জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভেবেছে। একটা ভাল উদ্যোগ। সাম্প্রতিক কাস্টমস টেন্টে ময়দান
মারভেরিক্স-এর উদ্যোগে এক মিনল সভা আয়োজন করা হয়েছিল।উদ্যোক্তা সূর্য জানায়, অনেকদিন ধরেই ভেবেছি আমাদের সময় যারা একসাথে মাঠে খেলেছি তাদের একটা সংগঠনের মাধ্যমে একত্রীত করবো।যারা আন্ডার ১৫, আন্ডার ১৬, আন্ডার ১৯, সিএবি, রঞ্জি ট্রফি, ক্লাব ক্রিকেট খেলেছে তাঁরা সকলে এই ছাতার তলায় সদস্য হতে পারে, তবে হ্যাঁ ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল হতে হবে।সালটা এতটা বেশি গুরুত্ব দিয়ে না দেখা হলেও একটা বেঞ্চ মার্ক হিসাবে রাখা হয়েছে কারণ আমাদের থেকে বেশি সিনিয়র খেলোয়াড় সদস্য হলে আমরা নিজেদের ফ্রি করতে পারবো না কারণ তাদের সম্মান আমাদের কাছে অনেক বেশি তবুও তাঁরা যদি সদস্য হতে চায় সেটা আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা।
এদিন মোট ৬০ জন সদস্যকে নিয়ে প্রথমে ইডেন গার্ডেন্সে যাওয়া হয়। তাদের সকলকে একটা করে ময়দান মারভেরিক্স-এর জার্সি, টুপি দেওয়া হয় যা গায়ে দিয়ে সেই পুরানো ঢঙে ইডেনের মাঠে বসে ছবি তোলা হয়। এরপর ফিরে আসা হয় কাস্টমস টেন্টে এবং মহাভোজের সাথে ছিল গানের আসর। এদিন উপস্থিতদের মধ্যে উল্লেখ্য ছিলেন নিতিন্দ্র মোহন মুখার্জি (হাই কর্টের ক্রিমিনাল আইনজীবি), অভিনেতা সম্রাট ঘোষাল (কাহিনীকার প্রয়াত শ্যামল ঘোষালের পুত্র), টাটা গ্রুপের সৌভিক ব্যানার্জি, এইচ এস বি সি-র কৃষ্ণেন্দু আইচ, এইচ পি সংস্থার অপারেশন ম্যানেজার সূর্য সারথী রায়, সি ই এস সি-র সৌনক দাস সহ অলকেন্দু লাহাড়ি, অরিন্দম সরকার, জর্জ পাল, নীলাম্বর সাহা এবং আমি নিজে (কারণ আমিও একসময় গোপাল বসু-র কাছে ট্রেনিং-এ ছিলাম, দুখীরামে অনুশীলন করেছি এবং ওয়াড়ি ক্লাবের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি সেই সুবাদে আমিও এই সংগঠনে সামিল হতে পেরেছি। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এতবছর পর সকলের সাথে দেখা হওয়াতে সকলেই ছিল খুশির মেজাজে এবং চলেছে স্মৃতির খোঁজ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামিদিনে এই একইভাবে আবার সকলে মিলিত হবে এবং সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা হবে। মনে পরে যায় সেই গানের এক কলি “পুরানো সেই দিনের কথা”……, সত্যিই মাঠে যারা কাটিয়েছে তাঁরা বোধহয় সদাই প্রাণবন্ত, রাজনীতির বাইরে, বিষন্নতা তাদের ছুঁতেও পারে না। তবে ব্যতিক্রম তো থাকবেই।