Warning: mysqli_real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:101106 Library:100236 in /home/u190665168/domains/takmaaa.com/public_html/wp-includes/wp-db.php on line 1653
প্রেম ভালবাসার মধ্যে কোন বাঁধা হতে পারে না ধর্ম তা ফের একবার প্রমাণ করল উমাশঙ্করের “রংহীন রামধনু” – takmaaa.com
You cannot copy content of this page. This is the right with takmaa only

প্রেম ভালবাসার মধ্যে কোন বাঁধা হতে পারে না ধর্ম তা ফের একবার প্রমাণ করল উমাশঙ্করের “রংহীন রামধনু”

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৩রা জুলাই ২০১৯ : বাংলা ছবিতে প্রেমের গল্প অনেক হয়েছে কিন্তু প্রেমের সাথে ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্ব এমনটা আগে সেভাবে হয়নি। সাম্প্রতিক প্রেস ক্লাবে ক্রিয়েশন ইমেজ নিবেদিত, অভিজিৎ রায়-এর উদ্যোগে ও উমাশঙ্কর পরিচালিত ছবি “রংহীন রামধনু”-র সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। গল্প তেমন কিছু না হলেও একটা মিষ্টি ভিন ধর্মীয় প্রেমের গল্প। ভিন ধর্মের মধ্যে কি এখনও বিবাহে বাঁধা আছে? তা এই ছবি দেখলেই বোঝা যাবে। এক ধনী ব্যবসায়ী সূর্যকান্তের একমাত্র আদরের সন্তান রোহন। একদিন রোহনের কলেজের বন্ধবী নিপার সাথে সুমি তাদের কলেজে বেড়াতে আসে। সুমির বাবা একজন রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী জাফর শেখ। ঘটনাক্রমে সুমির সাথে রোহনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। সুমির বাবা জাফর শেখ এই প্রেমের কথা জানার পর সুমিকে জোর করে নিয়ে যায় জলপাইগুড়িতে। সূর্যকান্ত একজন ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ, ছেলের বিষন্নতা দেখে রোহনকে বলে জলপাইগুড়িতে গিয়ে সুমিকে নিয়ে আসতে। জলপাইগুড়িতে যাওয়ার পথে রোহন তার মানিব্যাগ ও মোবাইল হারিয়ে ফেলে। একদিকে প্রচন্ড ঠাণ্ডা আর অন্য দিকে সুমিকে খুঁজে বার করতে হবে রোহনকে। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে রোহন সুমির খোঁজ পায়। সুমিও বাড়ির ছাদের উপর থেকে রোহনকে চায়ের দোকানে দেখতে পায়।কিন্তু সুমির কাছে পৌঁছাতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয় রোহনকে। রোহন জলপাইগুড়িতে এসেছে শুনে বাবা জাফর, কাকা রফিক ও কিছু গুন্ডা রোহনকে প্রচন্ড মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায়। কিন্তু সেই চায়ের দোকানের মালিকের কুদ্দুস আলির দয়ায় জীবন ফিরে পায় রোহন। এরপর কুদ্দুস আলির সহযোগিতায় সুমিকে নিয়ে রোহন পালায়। সুমির বাবা জানতে পেরে সুমি ও রোহনকে ধরতে পুলিশের সাহায্য নেয়। পালাতে গিয়ে রাস্তায় রোহনের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। দিনের পর দিন না খেয়ে রোহন ও সুমি পথ চলতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে একদিন মেন রোডে উঠতে দুজনকে চারিদিক দিয়ে পুলিশ ঘিরে ফেলে। পুলিশ দুজনকে তুলে দেয় জাফরের হাতে। জাফর নিজের মেয়েকে বাড়িতে ঢুকিয়ে রোহনকে মেরে ফেলে। সুমি বাড়ির বারান্দা থেকে রোহনের মৃত্যু দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে আজ তার জায়গা মানসিক হাসপাতালে। তবে কি আজকেও প্রেম ভালবাসাতেও ধর্ম একটা বড় বাঁধা? এটা সত্যি প্রেমের কোন ধর্ম হয় না, জাত হয় না। প্রেম অর্থ দিয়ে বাঁ ধর্ম দিয়ে হয় না, প্রকৃত প্রেম হয় মন দিয়ে।এযেন ঠিক রিজওয়ানুর গল্প শুধু রিজওয়ানুর হিন্দু ছিল না। ছবিতে অভিনয় করেছেন নীলু ভৌমিক, বিশ্বজিত চক্রবর্তী (সূর্যকান্ত), ভরত কল (জাফর), সাগ্নিক চ্যাটার্জি (রোহন), বৃষ্টি আলম (সুমি), সঙ্গীতা ব্যানার্জি, সুরজিত মন্ডল, কাজী ডাকু (কুদ্দুস), দীপ মিত্র (রফিক) সহ অনেকে। কাহিনী ও চিত্রনাট্য হরিদাস দাস, সঙ্গীত পরিচালক বব চক্রবর্তী, কন্ঠে উত্তম মান্না, রিতা, সিদ্ধার্থ, শ্রাবনী, বব। ছবিতে মোট ৫টা গান আছে। ছবির শুটিং হয়েছে জলপাইগুড়ি, বসিরহাট ও কলকাতায়। ছবির মুক্তির তারিখ ১৯শে জুলাই। প্রচারে শুভঙ্কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *