Warning: mysqli_real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:101106 Library:100236 in /home/u190665168/domains/takmaaa.com/public_html/wp-includes/wp-db.php on line 1653
কোভিড-মুক্ত বিশ্বের জন্য মাস্ককে মাস্কহীন করে লিভিংগার্ড টেকনোলজি – takmaaa.com
You cannot copy content of this page. This is the right with takmaa only

কোভিড-মুক্ত বিশ্বের জন্য মাস্ককে মাস্কহীন করে লিভিংগার্ড টেকনোলজি

বিশেষ প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৭ই জুন ২০২০ : নভেল করোনা ভাইরাসকে সামলাতে মেডিকেশনের প্রচেষ্টা এখনও জারি আছে, বলা বাহুল্য যে এই বিশ্ব অতিমারির এখুনি একটি সমাধান দরকার। 65000-এর বেশি পরীক্ষা এবং 100-র বেশি পেটেন্ট ফাইল করার পর সুইস হাইজিন কোম্পানি লিভিংগার্ড, যাদের ভারত সহ জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, জাপান ও দক্ষিণ আফ্রিকায়ও অপারেশন আছে, নিয়ে এসেছে এদের নিজস্ব বৈপ্লবিক ফেস-মাস্ক, যা সরাসরি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে, এর মধ্যে রয়েছে নভেল করোনা ভাইরাস সার্স-CoV-2-র 99.9%। সব কাউন্টার অথবা খোলা বাজারে যেসব মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে সবই চরিত্রগতভাবে প্রতিরোধমূলক আর লিভিংগার্ডের ফেস-মাস্ক নিরাপত্তামূক এবং এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে ছড়ানো থেকে প্রতিহত করে, নিজেকে এবং এইসঙ্গে কাছাকাছি থাকা সবাইকে উপকৃত করে। বিশ্বব্যাপী পেটেন্টেড টেকনোলজির উদ্ভাবক ভারতীয় বংশোদ্ভূত অন্ত্রেপ্রেনিউয়ার সঞ্জীব স্বামী, যিনি এই কোম্পানির প্রধানও বটে।

ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব বার্লিনের অ্যানিমাল হাইজিন এবং এনভায়রনমেন্টাল হেলথের গবেষকরা প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন যে লিভিংগার্ড টেকনোলজিতে যে বস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে সেটি কয়েক ঘণ্টার ভেতরে সার্স-CoV-2 উপাদানের খুব বেশি পরিমাণ হ্রাস করতে পারে, 99.9% শতাংশেরও বেশি। ‘এসব মাস্কের কাপড় সেজন্য ধারাবাহিকভাবে নিঃসরিত ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে এবং এসব মাস্ক নাড়াচাড়া সামগ্রিকভাবে আরও নিরাপদ করে তোলে। এইসঙ্গে, এরকম কাপড় অন্যান্য সাধারণ ও মেডিক্যাল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা হ্রাসে সাহায্য করে এমনকি কোভিড-19-এর বাইরেও’, বলেছেন প্রফেসর উয়ি রোজলার। এই মাস্ক আজই ভারতে চালু হয়েছে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যদিয়ে যেখানে প্রতিষ্ঠাতা যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের সুইশ হেডকোয়ার্টার থেকে।

লিভিংগার্ড টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতাউদ্ভাবক তথা সিইও সঞ্জীব স্বামী বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, অতিমারি চলাকালীন প্রতি মাসে প্রয়োজন হবে 89 মিলিয়ন মাস্ক। দৈনন্দিন জীবনযাপন উন্নততর করা সর্বদা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের মিশন হল আধুনিক পৃথিবীর জন্য মানানসই স্বাস্থ্যবিধি প্রদান করা, এটাই হল সেই কারণ যার জন্য আমরা আমাদের পরীক্ষা করেছি এফইউ বার্লিনে, যারা তাদের সর্বোচ্চ মানের জন্য সুপরিচিত, এবং ভারতে লিভিংগার্ড মাস্ক প্রবর্তন করতে পেরে আমরা সম্মানিত। এদেশে প্রতিদিন যেভাবে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে, এই সমস্যার একটি উত্তর খোঁজা অত্যন্ত জরুরি। লিভিংগার্ড মাস্কের অনন্য চরিত্র ইউজারকে দেয় নিরাপত্তার অভূতপূর্ব স্তর। মধ্যপ্রাচ্যে ফাইন হাইজিনিং হোল্ডিং আমাদের অন্যতম বৃহত্তম ইউজার, এর পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, জাপান, জার্মানি ও চীনে রয়েছে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী। আমি নিশ্চিত যে ভারতেও আমরা একইরকম সাফল্য পাব।’

এরপর তিনি যোগ করেন, ‘লিভিংগার্ডের বর্তমান নজর হল এই টেকনোলজিকে সমধান হিসেবে প্রয়োগ করা যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং সংকটের আর্থিক প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবে নিজেকে রক্ষা করতে, কাজে ফিরতে এবং তাঁদের জীবন বাঁচাতে। যেহেতু আমাদের প্রডাক্ট ধোয়া যায় এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য, এবং অধিকাংশই তৈরি হয়েছে কটন থেকে, তাই এই মাস্ক হল পরিবেশ-বান্ধব এবং স্থায়ী। আমাদের গবেষণা দেখায় যে যদি এক মিলিয়ন মানুষ পুনর্ব্যবহারযোগ্য একটি লিভিংগার্ড মাস্ক 210 বার ব্যবহার করেন, আমরা 36000 টন বর্জ্য বাঁচাতে পারব। এইসঙ্গে এটি একটি সাধারণ মাস্ক থেকে সস্তা কারণ আমাদের একটি মাস্কের সঙ্গে অন্য 210টি মাস্ক তুলনা করতে হবে।’

ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় সায়েন্স লিডার ড. রঘুনাথ মাশেলকার বলেছেন, ‘সার্স-CoV-2 ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে মাস্কের এই বিজ্ঞানভিত্তিক প্রডাক্টকে বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বীকৃতি দিয়েছে, এটি একটি গ্লোবাল গেম চেঞ্জার। প্রত্যেক ভারতীয় যাতে এই অভূতপূর্ব প্যারাডাইম শিফটে উপকৃত হন তার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত যাতে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সহনশীলতার ব্যবস্থা বর্তমান অতিমারি ছাড়িয়েও থাকে।’

আরেকটি বিষয় এর মধ্যে ঢুকে রয়েছে যে বস্ত্রশিল্পকে ইতিবাচক প্রেরণায় সবল করছে লিভিংগার্ড টেকনোলজি। যখন কোনো জীবাণু ফেব্রিকের সংস্পর্শে আসে, মাইক্রোবায়াল কোশ যা নেতিবাচকভাবে চার্জ হয়েছে, মাইক্রোঅর্গানিজমকে স্থায়ীভাবে ধ্বংস করার দিকে এগোয়। ভারী ধাতুভিত্তিক সলিউশনের মতো নয়, যেমন রুপো, দস্তা ও তামা, এই নভেল প্রযুক্তি ত্বক ও লাংসের জন্য নিরাপদ। এ ছাড়া, লিভিংগার্ড টেকনোলজি ধারাবাহিকভাবে জীবাণু ধ্বংস করে এবং নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার সঙ্গে কোনো আপস না করে ব্যবহারকারী 210 বার এই মাস্ক পুনর্ব্যবহার করতে দেয়। লিভিংগার্ড এজি বিশ্বাস করে যে সহনশীল সমাধানের সঙ্গে জড়িত হবে ভবিষ্যৎ যা আমাদের পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলবে। লিভিংগার্ড ফেস মাস্কে শুধুমাত্র শক্তিশালী করোনা ভাইরাস কিলিং টেকনোলজিই নেই বরং এইসঙ্গে এটি বর্জ্য হ্রাস করে এবং কার্যকরীভাবে সম্পদকে ব্যবহার করতে দেয়, এইসূত্রে সাপ্লাই চেইনের জন্য একটি অনন্য সমধান প্রদান করে।

লিভিংগার্ড মাস্ক তৈরি হয়েছে 3টি স্তরে যা প্রতিরক্ষার 5টি স্তর প্রদান করে। অনন্য পেটেন্টেড ট্রিপিলেন্ট টেকনোলজি আছে আউটার লেয়ারে যা প্রতিক্ষার 3টি স্তর প্রদান করে – লিভিংগার্ড অ্যান্টিভাইরাল এবং ফেব্রিকের বাইরে রিপেলেন্ট কোটিং, ফেব্রিকে আছে লিভিংগার্ড অ্যান্টিভাইরাল এবং রিপেলেন্ট কোটিং আছে ফেব্রিকের ভেতরের দিকে। অ-বুনন শিল্প-মান ফিল্টার আছে মাঝখানের স্তরে, যা বাইরের বা ভেতরের স্তর ধ্বংস থেকে ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। অসংক্রমিত ফেব্রিকের মাঝে স্যান্ডউইচ হওয়া এটি জৈবিক দূষণ থেকে রক্ষা করে, মাস্ককে নিরাপদে ধুতে এবং পুনর্ব্যবহার করতে দেয়। বাইরের স্তরের চেয়ে বেশি গভীর, এবং লিভিংগার্ড অ্যান্টিভাইরাল টেকনোলজি সংবলিত, ভেতরের স্তরের ফেব্রিক প্রদান করে করোনা ভাইরাসের অসক্রিয়তা। গন্ধহীন এবং কম আর্দ্রতায় দ্রুত শুকনো করা যায়, নরম এবং সম্প্রসারণশীল ফেব্রিক প্রদান করে নাক ও মুখের জন্য আরামদায়ক ফিটিংস। এই বিশেষভাবে প্রস্তুত ফ্রেবিকের প্রতি cm2-এ আছে 36 বিলিয়ন পজিটিভ চার্জ।

লিভিংগার্ড মাস্ক 30 বার ধোয়া সম্ভব এর প্রতিরক্ষামূলক উপাদানের কার্যকারিতার কোনো ক্ষতি না করে। যদি প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় এবং সপ্তাহে একবার ধোয়া হয় সাধারণ ব্যবহারের পরিস্থিতিতে, তাহলে এই মাস্ক 6 মাস ব্যবহার করা যেতে পারে, সিঙ্গল-ইউজ মাস্কের প্রয়োজনীয়তা কার্যকরীভাবে রিপ্লেস করে এটি। মাস্কটি অনেকক্ষণ ব্যবহার করা যায় এবং ধোয়ার আগে পুনর্ব্যবহার করা যায় কারণ ফেব্রিকটি ধারাবাহিকভাবে সংস্পর্শে এলেই মাইক্রোঅর্গানিজমকে ধ্বংস করতে থাকে। এভাবে এটি ইউজার এবং অন্যান্য পৃষ্ঠে এদের ট্রান্সফারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। মাস্কটি নন-টক্সিক এবং ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। এই মাস্কটি গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধারা ব্যবহার করছেন। কী ধরনের মাস্ক প্রয়োজন তার ওপর নির্ভর করছে এর দাম, যা হল মাত্র 1490-1990 টাকা।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’স ইনভেটর্স কমিউনিটির সদস্য লিভিংগার্ড। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের হেলথ ও হেলথকেয়ারের প্রধান আর্নদ বার্নেয়ার্ট বলেছেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম খুশি যে লিভিংগার্ড আমাদের গ্লোবাল ইনভেস্টর কমিউনিটিতে যোগ দিয়েছে। আমরা লিভিংগার্ডের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত, কেননা  কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে অনেক এগিয়ে দেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে তাদের উদ্ভাবনের।’ প্রচারে : পারফেক্ট রিলেশনস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *