করোনা আবহের মধ্যে এবার বদলে গেল শারদীয়ার ভাবনা ও খুঁটি পুজো, এবার পুজোয় কোভিড যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানাবে ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতি
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২০ : যেভাবে করোনা অতিমারি থাবা বসাচ্ছে গোটা রাজ্যে তাতে এবার দূর্গা পুজো নিয়ে সব পুজো কমিটি বেশ চিন্তায় রয়েছে। কিন্তু বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দূর্গা পুজো, কিছু তো হবেই। সরকারি নিয়মবিধি এখনও সেভাবে তৈরি হয় নি কিন্তু খুঁটি পুজো শুরু হয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির ৫৫ তম বছরের খুঁটি পুজো আয়োজন করল করোনা নিয়মবিধি মেনে। খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস কুমার, সন্দীপ রঞ্জন বক্সী, বৈশান্বর চট্টোপাধ্যায় ও নন্দিনী ভট্টাচার্য সহ অনেকে। খুঁটি পুজো অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেবাশিস কুমার বলেন, করোনার কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছেতাতে পুজোয় কতটা মানুষ মন খুলে আনন্দ করতে পারবে বলা যাচ্ছে না। তবে পুজো তো হবেই। বাঙালির এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকে বহু ব্যবাসায়ী পরিবার কিন্তু এই করোনার কারণে বাজার মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমি আজ এই খুঁটি পুজোর মাধ্যমে মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করবো যাতে সব মিটিয়ে মানুষের আশা পূর্ণ হয়।এবারের পুজো সরকারের কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে কখনও এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় নি সরকার।নন্দিনী ভট্টাচার্য বলেন, ভয় পেয়ে বাড়িতে বসে থাকলে করোনা মোকাবিলা করা যাবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে না বসে থেকে রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। সকলের উচিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাস্তায় নামা উচিত। ভয় পেয়ে বাড়িতে থাকলে এই অতিমারি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির সম্পাদক শুভঙ্কর রায় চৌধুরী বলেন, এবার পুজো নিয়ম রক্ষার কারণে করা হচ্ছে। তবে তার মধ্যেও চেষ্টা করছি কিছু নতুনত্ব রাখার।আমাদের এবারের থীম “কুর্নিশ”, মানে সেলাম। সাম্প্রতিক করোনা নিয়ে এক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি থেকে এই নামকরণ করা হয়েছে যা বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে। আমরা এবার সেই মানুষগুলোকে “কুর্নিশ” জানাবো যারা এই অতিমারির সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তাঁরা যদি মুখ ফিরিয়ে নিতেন তবে সামাজিক চিত্রটা আরও মারাত্বক হয়ে যেত। এছাড়া আরও চমক থাকছে এবারের পুজোয়।