প্রথম পাতা

অবহেলিত ও অপমানিত ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারের উদ্যোগে বিধায়ক ফান্ড থেকে ১০০ টা সৌর্য্যশক্তি বাতিস্তম্ভ

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, ডায়মন্ড হারবার, ৪ঠা অক্টোবর ২০২০ : ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার বিধায়ক দীপক হালদারের ক্ষোভ ফেটে পড়ছে প্রশাসনিক অবহেলার প্রতি। তাঁর অভিযোগ কোন সরকারি উন্নয়নে বা বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। তিনি সাফ জানান, এতে তাঁর ভাবমুর্তি খুন্ন হওয়ার থেকে দলের ভাবমুর্তি বেশি খারাপ হচ্ছে।মানুষ তাঁকে ভোটে নির্বাচিত হচ্ছে আর কারো প্ররোচনায় প্রশাসনিক কর্তারা তাঁকে বাদ দিয়ে যদি উন্নয়ন বা বৈঠক করেন তা মানুষ ভালোভাবে মেনে নেবে না।মানূষের কাছে দলের একাংশ পরিষ্কার করে দিচ্ছে যে দল এখানে নিজেদের মধ্যে সু সম্পর্ক রাখতে ব্যর্থ। অকারণে কোন্দলকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে সাহায্য করছে কিছু প্রশাসনিক কর্তা। বহুবার এবিষয়ে দলের উচ্চনেতৃত্বকে জানানো হয়েছে কিন্তু তাঁকে কোন ফল হয় নি। তাই এবার নিজেই উন্নয়ন নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন স্বয়ং বিধায়ক দীপক কুমার হালদার। তিনি জানান, মানুষকে আমায় জবাব দিতে হবে, প্রশাসক কর্তাদের নয়।

সাম্প্রতিক পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও বোল সিদ্ধি কালিনহর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ১৩টা সৌর্য্যশক্তি বাতিস্তম্ভ লাগানো হল। এই এলাকায় এতদিন স্ট্রীটলাইট ছিল ঠিকই কিন্তু তাঁর আলো পর্যাপ্ত ছিল না। তাই এবার বিধায়ক তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তায় ১৩টা বাতিস্তম্ভ লাগালেন। বিধায়ক দীপক হালদার জানান, এই ১৩টা ছাড়াও বাকি বাসুলডাঙা , দিয়ারাক, হরিণডাঙা, কানপুর ধানবেড়িয়া, মসট সহ আরও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৮৫টা এরকম সৌর্য্যশক্তি বাতিস্তম্ভ বসানো হবে যাতে রাতে মানুষ নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারে। তিনি জানান, সরকারের বিদ্যুৎ খরচ বাঁচানোর লক্ষে এই সৌর্য্যশক্তি বাতিস্তম্ভ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *