জিএমআইটি-র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জেআইএস গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অনলাইন শিক্ষায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ ও ল্যাপটপ প্রদান
বিশেষ প্রতিনিধি, তকমা, দঃ ২৪ পরগণা, ১৮ই আগস্ট ২০২১ : জেআইএস গ্রুপের অন্তর্গত গার্গী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (জিএমআইটি) প্রতিষ্ঠানের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য গোটা বছরের জন্য তাঁদের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ বা রিচার্জের ব্যবস্থা করছেন এবং আর্থিকভাবে অক্ষম ১০ জন শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ বিতরণ করছেন বলে জানিয়েছেন জিএমআইটি-র আধিকারিকরা। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে মোট ১৩৯০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই সুবিধাটি কেবলমাএ শহর নয় রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা শিক্ষার্থীদেরও এই কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষার সুবিধা প্রদান করবে। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও প্রান্তে অবস্থিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ‘দুয়ারে লাইব্রেরি’-র সুবিধাও ঘোষণা করা হয়েছে। দিনটিকে আরও স্মরণীয় করার জন্য ১০,০০০-টি বৃক্ষরোপণ অভিযানও ঘোষণা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, পশ্চিমবঙ্গ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন লিমিটেড, মানস ধর, জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরণজিৎ সিং, জিএমআইটি-র ভাইস চেয়ারম্যান বোধিসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিএমআইটি -র চেয়ারম্যান ড: জিএল দত্ত এবং আরও অনেকে।
জিএমআইটি বর্তমানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইই), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) নামক পাঁচটি বিষয়ে কোর্স প্রদান করে। জিএমআইটি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন অনুমোদিত এবং মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, যা পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিল।
জিএমআইটি-র ভাইস চেয়ারম্যান বোধিসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “এই অতিমারি শিক্ষার্থীদের উপর বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে। যেখানে অন্যান্য শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীরাও বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়ে চলেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় সবরকমের সাহায্য করতে বিশ্বাসী, এজন্যই আজ এই বিশেষ দিনে আমরা এই অভিনব উদ্যোগগুলো নিয়েছি। যার ফলে এবার থেকে শহর ছাড়াও শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও নির্ভাবনায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে।” প্রচারে : ক্যানডিড কমিউনিকেশন।