রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার গড়িয়ায় ৭-৭ তৃনমূল, বড় ব্যাবধানে কে?
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ২রা মার্চ ২০২২ : কোভিডের কারণে পৌর নির্বাচন অনেকটা পিছিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু নির্বাচনের পর ফল অতি প্রত্যাশিত। নির্বাচনে বিরোধী ছিল কিন্তু না থাকার মতই। প্রার্থী আছে কিন্তু প্রচার নেই, প্রার্থী আছে কিন্তু কর্মী নেই। বাম আমলেও আমি নির্বাচন দেখেছি, তখনও বিরোধীরা ছিল, এরকম বিরোধী ছিল না। তখন শাসকদের সাথে চোখে চোখ রেখে বিরোধীরা লড়াইটা করতো। জেতা বা হারা সেটা পরের ব্যাপার। আজ যারা বিরোধী তখন তারা শাসক ছিল। তখনও বুথ জ্যাম, রিগিং, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলতো বিরোধীরা, আজও সেই একই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা, ফারাক শুধু একটাই, রঙটা বদলেছে।
আজ সেই সময় এসেছে সবুজ আবির ঝড়ের শুধু সময়ের অপেক্ষা গোটা রাজ্য। গোটা রাজ্যে ১০৮টা পৌরসভার নির্বাচন। নিজের এলাকায় কে নির্বাচিত প্রতিনিধি হবে তার ফল ঘোষণা। উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ উন্নয়ন পেয়েছে। মানুষ জানে আগামীদিনেও উন্নয়নটা পাবে তাই নিজের ভোট বিরোধীকে দিয়ে নষ্ট করতে রাজি নয়। মানুষ জানে বিরোধী প্রতিনিধি হ্লে উন্নয়ন থমকে যাবে তাই তৃণমূলের দিকে পাল্লা ভারি।
রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫টা ওয়ার্ড যার মধ্যে সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় ১৭টা ওয়ার্ড এবং সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভায় ১৮টা ওয়ার্ড। সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা দুটোই তৃণমূলের দখলে। দুই বিধায়কের মধ্যে বেশ ভাল সমন্বয় রয়েছে এবং মানুষ উন্নয়ন উপলব্ধি করেছে। বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম অক্লান্ত পরিশ্রম করে পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ শুরু করতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাম্প হাউসের উদ্বোধন করেছে। আবার নিকাশি ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে এবার নজর দিয়েছে। সেই কাজও এবার শুরু হবে। আগামী পাঁচ বছরে সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় যে মূল সমস্যা তা দুরীকরণ হবেই। বাকি উন্নয়ন পৌর প্রতিনিধিরা দেখে নেবেন।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মোটের উপর ৩৫টা ওয়ার্ড তৃণমূলের ঝুলিতেই থাকবে। প্রশ্ন এখন দুবার সোনারপুর দক্ষিণ থেকে পৌর প্রধান হয়েছে এবার সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মানুষের আশা পৌর প্রধান তাদের হোক। আর সেটার সম্ভাবনা প্রবল। মানুষের আবেগের উপর আঘাত করবে না দল। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার ১৭টা ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলেই থাকবে। দেখার এখন কত বড় ব্যবধানে জয়ী হচ্ছে প্রার্থীরা। গড়িয়ার ৭টা ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টাই তৃণমূলের দখলে থাকছে। এখানে সব থেকে বড় জয় পেতে পারে ৭ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থী রঞ্জিত মন্ডল। দীর্ঘ চার বারের পৌর প্রতিনিধি রঞ্জিত মন্ডল, দুবারের সি আই সি, আশা থাকবেই বড় ব্যবধানে জেতার। এরপর বড় ব্যবধানে জয়ের আশা থাকবে ৪ নং ওয়ার্ডের তিনবারের পৌর প্রতিনিধি ও দুবারের সি আই সি বিভাস মুখার্জি (মনু) এবং তৃতীয় স্থানে কে থাকবে তা নিয়ে লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি। ২নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী পাপিয়া হালদার, ৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী বানী নাগ না ৬ নং ওয়ার্ডের দিপালী নস্কর, কে হবে তৃতীয় তা এখন দেখার।