স্বাস্থ্য

ঋতু পরিবর্তন এবং সাধারণ সর্দি কাশি সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা ভেঙে দিলেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন

নিজস্ব প্রতিবেদক, তকমা, কলকাতা, ১৭ই এপ্রিল ২০২২ : সর্দি এবং কাশি দুটি এমন সাধারণ অসুখ যাতে বছরের বিভিন্ন সময় নানা কারণে আমাদের ভুগতে হয়। সাধারণত আমরা প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এই রোগের কারণ সম্পর্কে ঋতু পরিবর্তন কে দায়ী করি এবং এটাই মেনে নেই যে পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে আমাদের শরীরের মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। প্রচলিত একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো যে সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা যায় ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এবং স্যুপের মত উষ্ণ পানীয় একে সারিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু বাস্তবে সর্দি-কাশি সৃষ্টি হয় ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। আর এই বাস্তব সমস্যার মোকাবিলায় বিখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের নিজস্ব কিছু পদ্ধতি রয়েছে।

সবার আগে জরুরী-প্রচলিত ধারণা এবং প্রকৃত সত্য গুলি কে আলাদা করা, কেননা শিশু হোক বা  প্রাপ্তবয়স্ক এই উপসর্গগুলি প্রাত্যহিক জীবন যাত্রাকে বিঘ্নিত করে। তবে সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে নির্মূল করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।

নিজের সুস্থতার গোপন মন্ত্র সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে এবং সর্দি কাশি সম্পর্কে প্রচলিত সাধারণ ধারণা গুলিকে নস্যাৎ করে দিয়ে কৃতি বলেন,”ঋতু পরিবর্তন বা যে কোনও পরিস্থিতি ব্যতিরেকে সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র হল নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কে শক্তিশালী করে তোলা। আগে যখনই আমি সর্দি কাশি লক্ষণ গুলি প্রথম দেখতে পেতাম তখনই পরিবর্তিত আবহাওয়ার দোহাই দিয়ে শান্তি পেতাম। কিন্তু এখন আমি সত্যিটা জানি তাই নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য এখন আমি অনেক বেশি প্রস্তুত। নিঃশ্বাসের সঙ্গে ভিক্স ভ্যাপোরাব মিশ্রিত গরম জলের বাষ্প গ্রহণ করে আমার পরিবারের সদস্যরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সর্দি কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং আমিও সর্দি কাশির উপসর্গ টের পাওয়া মাত্র এটাই করি।”

সুতরাং, নিজেদের শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা যেকোনো মরসুমে সকলের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। ভিক্স ভ্যাপোরাব এর মত ঔষধি গুণসম্পন্ন মালিশের পাশাপাশি জলে মিশিয়ে স্টিম গ্রহণ সর্দি কাশির যেকোনও লক্ষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি। কর্পূর, ইউক্যালিপটাস এবং পুদিনার মত প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ ভিক্স ভ্যাপোরাব সর্দি কাশির ছয়টি  লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি ভিক্স ভ্যাপোরাব মিশ্রিত গরম জলের বাষ্প গ্রহণ ছয় বছর এবং তার বেশি বয়স্ক বাচ্চাদের জন্য সমানভাবে নিরাপদ। তবে  যদি তা সত্ত্বেও যদি উপসর্গ রয়ে যায় তবে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।

বিধিবদ্ধ ঘোষণা- সব সময় লেবেল পড়ে নেবেন। উপসর্গ রয়ে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ব্যথাজনিত উপসর্গের জন্য ব্যথার জায়গাতেই ব্যবহার করুন। বাচ্চাদের স্টিম নেওয়ার সময় অবশ্যই বড়দের নজর রাখা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *