“দিদিকে বলো” কর্মসূচীর মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাত্র একটা টেলিফোন কলের দুরত্বে আছেন : পার্থ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ : সারা রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সব থেকে জনপ্রিয় কর্মসূচী “দিদিকে বলো” কার্যকরি হয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র এই কর্মসূচীকে সফল করতে বিধায়ক থেকে ব্লক নেতৃত্ব এমনকি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিরাও এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশে। এই কর্মসূচী দলের নির্দেশ ছাড়া কোন নেতৃত্ব কার্যকরি করতে পারবে না বলে বলা হয়েছে। দল প্রশান্ত কিশোরের নির্ধারিত আই প্যাকের মাধ্যমে ঠিক করে দেবে কোন নেতৃত্ব কোন ওয়ার্ড বা কোন গ্রামে গিয়ে এই কর্মসূচী পালন করবে। একইসাথে দল যে পাঁচজন গুনীজন বা প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে দেখা করার কথা উল্লেখ করেছে তাও দল নির্বাচন করবে তার নিজস্ব পদ্ধতির মাধ্যমে। এখানে কারও
কোন হস্তক্ষেপ চলবে না। আজ সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি অনিরূদ্ধ হালদার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গত ২৯শে জুলাই নজরুল মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের সব প্রান্তে মানুষের সাথে দুরত্ব কমিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে এই অভিনব কর্মসূচীর সূচনা করেন। বলতে গর্ব বোধ হচ্ছে মাত্র গত ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত “দিদিকে বলো” কর্মসূচীতে গোটা রাজ্যের মানুষের অভাব, অভিযোগ ও মতামত জমা পড়েছে প্রায় ১০ লাখ। ৩রা সেপ্টেম্বর ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, ইন্দ্রনীল সেন, সুব্রত মুখার্জির সহ অনেকের উপস্থিতিতে রাজ্যের সব ব্লক ও টাউনের যুব সভাপতিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁরা সকলে এই কর্মসূচীকে সফল করতে প্রচারে নেমে পড়েছেন। দলের নির্দেশে এই কর্মসূচীকে সাতটা ধাপে ভাগ করা হয়েছে যা আপনারা সকলেই অবগত হয়েছেন। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে রাস্তায় ফ্লেক্স টানিয়ে কিছু “দিদিকে বলো” কার্ড ও স্টিকার বিলি করাটা প্রধান উদ্দেশ্য নয়। এই কর্মসূচীর প্রধান উদ্দেশ্য হল মানুষের দরজায় গিয়ে অভাব, অভিযোগ ও মতামত নেওয়া ও তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা। দল যে পাঁচজন ব্যক্তির সাথে দেখা করার কথা বলেছে তাঁরা কেউই আমাদের দলের নন, দল তার নিজের পদ্ধতিতে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে নাম নিয়ে আমাদের ফোন নম্বর তুলে দিয়েছে এবং নির্দেশ দিয়েছে তাঁদের
সাথে যোগাযোগ করে এলাকার নেতৃত্ব ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে অভাব অভিযোগ এবং দল ও উন্নয়ন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা শুনে তা লিপিবদ্ধ করে দলকে রিপোর্ট আকারে জানাতে।এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে দলকে একটা নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে।আমার এটা ব্যক্তিগত মতামত এরকম একটা সুযোগ সারা ভারতে কোন নেতৃত্ব সাধারণ মানুষকে আজও অবধি দিতে পারেন নি। সরাসরি প্রশাসনিক স্তরে মানুষকে যুক্ত করে নেওয়া এবং সেই মতামত বা অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যতটা সম্ভব সমস্যার সমাধান করা। আমায় রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের “দিদিকে বলো” কর্মসূচী কার্যকরি করার দায়িত্ব দিয়েছে দল। আমি সেইমত আগামীকাল একই কর্মসূচীর নির্দেশ অনুযায়ী রূপায়ন করতে চলেছি। আমার সাথে আজ এই ওয়ার্ডের পুরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল রয়েছেন, এছাড়া সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত, গড়িয়া টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গড়িয়া টাউন জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি অরিন্দম দত্ত সহ
বহু কর্মীরা উপস্থিত আছে।এভাবে প্রতিটা নেতৃত্বকে তিনটা করে ব্লক বা গ্রামের দায়িত্ব দিচ্ছে দল। এরপর পার্থ হালদারকে প্রশ্ন করা হয় যে “দিদিকে বলো” কর্মসূচীকে নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ক্ষোভ জন্মাচ্ছে কারণ একটা ফোন নম্বরে একটা অভিযোগ জমা হচ্ছে, কেউ চাইলে আরেকটা মতামত বা অভিযোগ জানাতে পারছে না। এর উত্তরে পার্থ জানান, একটা মানুষের ফোন নম্বর রেসিস্টারের পর মাত্র একটা অভিযোগ বা মতামত জানানো যাচ্ছে। যতক্ষন না দল সেই অভিযোগ বা মতামতের কোন সমাধান করছে না ততক্ষন আরেকবার করা যাবে না। সমাধান হলে ফের করা যাবে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় অনেকে স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে ভয় পাচ্ছে বা আতঙ্কে আছে তার কি ব্যবস্থা করছে দল। এর উত্তরে পার্থ জানায়, এরকম পরিস্থিতিতে আমার জেলা নিয়ে বলতে পারি সরাসরি আমায় নির্দিধায় আমায় ফোন করে জানাতে পারে। আমি সরাসরি আমাদের দলের প্রধান কার্যালয়ে তা জানানোর ব্যবস্থা করবো।