মাগদর্শক এন্টারটেনমেন্ট-এর উদ্যোগে কলকাতা টেলস-এর গোটা টিম তিন জেলায় সেরা পুজোর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে
নিজস্ব প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৪ঠা অক্টোবর ২০১৯ : মার্গদর্শক এন্টারটেনমেন্ট-এর প্রযোজনায় বাংলা ছবি “কলকাতা টেলস” এক নতুন স্বাদের বেশ কয়কটা গল্প সম্বলিত ছবি প্রকাশিত করতে চলেছে। এবারের পুজোয় “কলকাতা টেলস” ছবির গোটা টিম রাজ্যের তিনটে জেলায় ঘুরে সেরা পুজো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করল। মার্গদর্শক এন্টারটেনমেন্ট-এর বিচারে বারুইপুরের সেরা পুজো নির্বাচিত হয় সপ্তপল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, সোনারপুরে সেরা পুজো নির্বাচিত হয় নরেন্দ্রপুর গ্রীনপার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, কলকাতায় সেরা পুজো নির্বাচিত হয় পরিবেশ
সচেতনতা নিয়ে থিম ভবানীপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের হাতে কলকাতা কর্পোরেশনের পুরকর্মীদের উদ্যোগে দুর্গা পুজো উদ্বোধন হওয়া ৭৭ বছরের হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব আর হাওড়া জেলায় সেরা নির্বাচিত হয় সালকিয়ার সুভাষ শক্তি সংঘ। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্দেশক আকাশ সরকার, প্রযোজক অভিক সরকার, অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, ঋতিষা গাঙ্গুলী,
অভিনেতা অভিনন্দন দত্ত, নীল ব্যানার্জি, অভিরূপ চৌধুরী, অনির্বান চক্রবর্তী, অভিজিৎ সরকার, দেবার্ঘ্য মজুমদার, সাংবাদিক ও এবিপিতকমা-র সম্পাদক অম্বর ভট্টাচার্য, স্টাইলিস্ট ও অভিনেত্রী রাশনী সিং সহ অনেকে। নির্দেশক আকাশ বলেন, গোটা রাজ্যে বাঙালির এই উৎসব মহা ধুমধামে পালিত হয়।
কোন পুজো ছোট নয় বা বড় নয়, কিন্তু সু চিন্তা বা সু ভাবনার মধ্যে দিয়ে সেরা বিচার করা হয়। তাঁর মানে এটা নয় যে বাকি পুজোগুলোর ভাবনা বা উদ্যোগ খারাপ। সকলে ভাল আর তার মধ্যে থেকে একজনকে সেরা নির্বাচিত করতেই হয়।অভিনেত্রী ঋতিষা গাঙ্গুলী কোন পুজোই কম নয়, সবাই
আন্তরিকতা দিয়ে পুজো করে। আজকের এই পরিক্রমায় আমার সব থেকে ভাল লেগেছে হাওড়ার সুভাষ শক্তি সংঘ। এত মানুষ অপেক্ষা করে ছিল এবং তাদের আন্তরিকতায় মন ছুঁয়ে গেছে। এখানে না এলে সত্যিই খুব মিস করতাম। প্রযোজক অভিক সরকার জানান, ভবানীপুর সার্বজনীনের পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দিয়ে সকলের হাতে গাছ তুলে দেওয়ার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার। অভিনেত্রী সুদীপ্তা বলেন,
কলকাতা থেকে এত দূরে বারুইপুরে এত সুন্দর থীম হতে পারে ভাবতে পারি নি। সপ্তপল্লীর পুজো মন ছুঁয়ে গেছে। দুর্গা পুজো নিয়ে শুধু কলকাতা ভাবে না কলকাতার বাইরেও মানসিকতা ও ভাবনার কত উন্নতি ঘটেছে না এলে বুঝতে পারতাম না।সায়নদেব চ্যাটার্জি বলেন কোন পুরস্কারই ছোট নয়। সব পুরস্কার আমাদের আরও উন্নত ভাবনার জন্য এগিয়ে দেয়। আজ এই পুরস্কার পেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে দিল। শুভঙ্কর রায় চৌধুরী বলেন, আমরা সমাজ চেতনা বাড়াতে কাজ করি। এই পুরস্কার আমাদের সেই কাজকে মর্যাদা দিল। তারক মন্ডল বলেন, আমরা এই পুরস্কার পেয়ে অভিভূত কারণ এই প্যান্ডেলের ভাবনা আমাদের নিজের, বড় পুজোর মত ভাবনার পিছনে কোন শিল্পী নেই। ছবি : রাজেন বিশ্বাস। প্রচারে : Qvise।