দঃ ২৪ পরগণা জয়হিন্দ বাহিনীর উদ্যোগে ছট পুজোয় সাংসদ মিমি আশ্বস্ত করলেন পুকুরের ঘাট বাঁধানো
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৩রা নভেম্বর ২০১৯ : প্রতিবছর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পল্লবকান্তি ঘোষের উদ্যোগে কলকাতা ১০৯ নং ওয়ার্ডে পিয়ারলেস হাসপাতালের পিছনের ঝিলে ছট পুজোর উপলক্ষে ক্যাম্পের আয়োজন করেন। এবছর ছিল সেই আয়োজনের ৫ম বর্ষ।
এবছর এই উৎসবকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা পাপিয়া হালদারের উপস্থিতি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বানী দত্ত, অরিন্দম দত্ত, অরুণ রায়, গনেশ প্রসাদ, পিন্টু দেবনাথ, সুশান্ত মন্ডল, মিঠুন মিত্র, সমরজিত কৃষ্ণ ব্যানার্জি, বিশ্বজিত সাউ, তীর্থ প্রতিম বিশ্বাস, মাধাই সরকার সহ অনেকে। এব্যাপারে রাজ্যসভার সাংসদ মনীষ গুপ্ত জানান, এই অনুষ্ঠান প্রায় সাত আট বছর ধরে হচ্ছে যত দিন যাচ্ছে তত এর আকার বড় হচ্ছে।
শুধু ১০৯ নং ওয়ার্ড নয় এখানে বহু জায়গা থেকে স্মরণার্থীরা উপস্থিত হন কারণ জয়হিন্দ বাহিনী যেভাবে এই আয়োজনটা করে থাকে তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। আমাদের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি সব সময় বলে এসেছেন মানুষের পাশে থাকতে আর এটাও তারই একটা অঙ্গ। বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বলেন, প্রতিবছর যে স্থানে এই উৎসবের আয়োজন করা হয় তা কর্পোরেশন এবং পৌরসভার লাগোয়া। এখানে যেমন যাদবপুর বিধানসভার মানুষ আসে ঠিক একইভাবে সোনারপুর উত্তর বিধানসভা, সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার প্রচুর মানুষ আসে। আমি সময় করে প্রতি বছর আসি, খুব ভাল লাগে এত মানুষের সমাগম।
মিমি চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে বলেন, পল্লবকান্তি ঘোষের এটা একটা খুব ভাল উদ্যোগ। আমরা সকলেই এক নেত্রীর সৈনিক। আমার উপর আস্থা রেখে আমায় জয়ী করেছেন কাজ করার জন্য, আমি শুধুমাত্র আপনাদের কাজ করার জন্য পাটুলিতে অফিস করেছি, নিয়মিত সেখানে বসি, মানুষের কথা শুনি।
আমার কাছে এই জলাশয়ের ঘাট বাঁধানো নিয়ে যে আর্জি পল্লবকান্তি ঘোষ করেছে আমি বলবো এটা একটা আবেদন লিখে আমায় জমা দিলে আমি সেটার উপর অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেব। এছাড়া এদিন তিনি সেখানে উপস্থিত এক অসহায় মাকে তাঁর পথদুর্ঘটনায় মারাত্মক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা সন্তানের চিকিৎসার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
আয়োজক পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, আমরা সারাটা বছর মানুষের পাশে থেকে কাজ করি। এই ছট পুজো আমি এই নিয়ে ৫ বছর ধরে করছি, এখানে যেমন পর্যাপ্ত পুলিশ থাকে তেমনিই পূণ্যার্থীদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প থাকে, মানুষের সুবিধার জন্য পৌরমাতা অনন্যা ব্যানার্জি ২টো বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, আগত সকল পূন্যার্থীদের জন্য কফির ব্যবস্থা করা হয়, এই অনুষ্ঠানের জন্য পুকুরের চারিদিকে আলোর ব্যবস্থা করা হয় যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে।
এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু অন্য দলের কর্মীরা এই উৎসবকে নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল কিন্তু মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় যে অনুষ্ঠান সেখানে কোনভাবেই কাউকে কলুষিত করতে দেব না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয় এবং তাদের হাতে ছট পুজোর মিষ্টান্ন তুলে দেওয়া হয়। এবারের উৎসবে সাংসদ মিমি চক্রবর্তী জাগো বাংলা স্টলের উদ্বোধন করেন।