রাজনীতি

গড়িয়ায় বিধায়কের অবজারভারকে অমান্য করে সভা বাতিল করছে বহু পৌর প্রতিনিধিরা

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৮ই মার্চ ২০২০ : সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম পৌরসভা নির্বাচনের জন্য উদ্যোগী হয়ে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার গড়িয়ার ৬টা ওয়ার্ডের অবজারভার করেছেন তুর্কী নেতা সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকারকে। কিন্তু গড়িয়ার ৩ নং ও ৬ নং ওয়ার্ড বাদ দিয়ে বাকি কোন ওয়ার্ডে স্থানীয় মানুষ ও কর্মীদের নিয়ে সভা করতে সহযোগিতা করা হয় নি বলে খবর। ১নং ওয়ার্ড থেকে জানা যায় তাদের সভার দিন জানতে চাওয়া হয় নি, ২ নং ওয়ার্ডে বলা হয়েছে সভা করে কোন লাভ হবে না, ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হিসাবে যে নাম নির্বাচন করে দেওয়া হবে সেই নামকেই মনোনীত করতে হবে, ৪ নং ওয়ার্ডে বলা হয় ওয়ার্ডের বাকিদের সাথে আলোচনা করে দিন ঠিক করে জানানো হবে এবং সেই দিন তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে অবজারভারকে বলে জানা যায় এবং ৫ নং এখনও কিছুই ঠিক করা হয় নি।

শুধুমাত্র ৩ নং ও ৬ নং ওয়ার্ডে অবজারভার তাঁর সভা করতে পেরেছে। ৩ নং ওয়ার্ডে বহু মানুষের উপস্থিতিতে প্রবীর সরকার সভা করেছেন এবং উপস্থিত সকলেই গতবারের পৌরমাতা অশোকা মির্ধার পক্ষেই পুনরায় প্রার্থী হিসাবে রায় দিয়েছেন।৬ নং ওয়ার্ডে গতবারের পৌরমাতা ও তাঁর অনুগামীদের অনুপস্থিততে সভা হয়। পৌরমাতা দীপালি নস্কর ও তাঁর স্বামী শান্তনু নস্কর কোন সভাতেই সেভাবে উপস্থিত থাকেন না এবং বিধায়ক বা বিধানসভা নেতৃত্বের সাথেও কোন যোগাযোগ রাখেন না বলে অভিযোগ ওঠে।এবার এই ওয়ার্ড থেকে বুবুন দাসের নাম উঠে আসে। অনুকুল চন্দ্র স্কুলের জমিদাতা শুধু নয় আরও এরকম স্কুলের জমিদাতা পরিবারের সদস্যা হলেন এই বুবুন দাস। আসলে এক কথায় বলতে গেলে বিদায়ী পৌর প্রতিনিধিরা কি এবার নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন আর তাই এই সভা থেকে পিছু হটছেন? প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে। বিশেষ করে ২ নং ওয়ার্ড নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছে সোনারপুর উত্তর বিধানসভা নেতৃত্ব। সংগঠকদের মধ্যে একজন তো জানিয়ে দিলেন আমরা এবার ২ নং ও ৫ নং ওয়ার্ড বাদ দিয়েই ভাবছি। জানি ২ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের জেতা খুবই কঠিন হবে। এই ওয়ার্ড নিয়ে বহু অভিযোগ এসেছে। এখন মানুষ ও বিভিন্ন কর্মীদের বক্তব্য কেন আমাদের মত প্রকাশ থেকে বঞ্চিত করা হল? কেন নেতৃত্বকে আমাদের মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া হল না? কেন আমাদের অভিযোগ আমরা জানানোর সুযোগ পাবো না? জন প্রতিনিধি বা তাঁর পারিষদ দ্বারা আমরা অত্যাচারিত হব আর তা নেতৃত্ব জানবে না এটা চলতে পারে না।

২ নং ওয়ার্ডে এবার একেবারে নতুন মুখ নিতে চাইছে দল। দীর্ঘদিন তৃণমূল করা কোন এক পরিবার থেকে দল এবারের প্রার্থী করার কথা ভাবছে।৬ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরমাতার মানুষের সাথে কোন জনসংযোগ না থাকার কারণে পরিবর্তন করতে চাইছে দল। শুধু মানুষ নয়, দলীয় কর্মীদের সাথেও তাঁর কোন জনসংযোগ নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর তো মাত্র ১০ দিন, তার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কে কোন ওয়ার্ডের প্রার্থী হচ্ছে। মূল কথা হল প্রবীর সরকার সোনারপুরের অন্যতম লড়াকু নেতা। রাজনীতির গোড়া থেকেই তিনি লড়াই করে উঠেছেন। প্রথম লড়াইটা শুরু হয়েছিল তাঁর নিজের এলাকায়।দল ও বিরোধীদের সাথে বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে আজ এই জায়গায় তিনি এসেছেন। তিনি কোন তোষামোদি রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন বলেই অনেকের ভয় যে তিনি থাকলেই ওয়ার্ডের আসল চিত্রটা উঠে আসবে আর সেটা তাদের পক্ষে খারাপ হবে।সোজা কথাটা সোজা বলতেই তিনি বিশ্বাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *