সামাজিক দরত্বের কথা গুরুত্ব দিয়ে সোনারপুর উত্তরের মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে সব বাজার ঘুরে দেখলেন ফিরদৌসী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৩০শে মার্চ ২০২০ : করোনা থেকে যে রাজ্য একেবারে নিরাপদে আছে তা বলা যাচ্ছে না কারণ লাফিয়ে লাফিয়ে এখনও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সাথে মৃত্যুও বাড়ছে, যদিও মৃত্যুর সংখ্যা তেমন একটা উদবেগজনক নয়।সরকারি মতে এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪ আর মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ২।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৎপরতার সাথে করোনার থাবাকে দুরদর্শিতার সাথে মোকাবিলা করেছেন বলেই এই সংখ্যাটা বাড়ে নি, এটা হলফ করে বলা যেতে পারে। তিনি এখনও সকলকে সচেতন হতে বলছে, বাড়িতে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী থেকে সুরক্ষিত থাকতে বলছেন।এরসাথে একটা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথাও বলছেন বারবার। সামাজিক দুরত্ব বলতে কারও গায়ে হাত দিয়ে কথা নয়, কারও কাছে গিয়ে কথা নয়, কারও সাথে বেশি ঘনিষ্টতা নয় তা সে নিজের পরিবারের সদস্য হলেও। সকলকে তিনি বলছেন কম করে ১ মিটার অর্থাৎ ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রেখে চলতে।
এরকম অবস্থায় যদিও সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের কোন খবর নেই কিন্তু সোনারপুর উত্তর বিধানসভার পার্শবর্তী অঞ্চল নয়াবাদ ও পঞ্চসায়ার এলাকায় দুজন করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। একজন চিকিৎসাধীন এবং অন্যজন একজন বৃদ্ধ বেসরকারি হাসপাতালে সংকটময় অবস্থায় জীবনের সাথে ভেন্টিলেশনে লড়াই করছেন।তাই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম সোনারপুর উত্তরের যতগুলো বাজার আছে তা নরেন্দ্রপুর থানার আধিকারিক সুখময় চক্রবর্তী ও স্থানীয় পৌর প্রতিনিধিদের নিয়ে সরজমিনে ঘুরে দেখেন। সামাজিক দুরত্বের কথা মাথায় নিয়ে তিনি বিক্রেতাদের দোকান স্থানান্তরিত করার কথা বলেন। তিনি বলেন দোকানদারেরা যদি খুব কাছাকাছি থাকে সেখানেও এই মারাত্মক করোনা আক্রান্তের সম্ভবনা থেকেই যায়। তাই একজন বিক্রেতা বা দোকানদারের থেকে অন্য দোকানদার যেন একটা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বসে সাথে একই দুরত্ব ক্রেতাদের জন্য বজায় রাখতে হবে। সোনারপুর উত্তরের সব থেকে বড় বাজার গড়িয়া বাজার। এই বাজার নিয়ে বেশি চিন্তিত ফিরদৌসী। আজ গড়িয়া বাজার পরিদর্শন করার পর তাঁকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখা গেল। এখানে প্রচুর বিক্রতা যেমন মাছ, মুদি, ফল, সবজি সবই একই জায়গায়। এদের অন্যত্র বসার ব্যবস্থা না করলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাবে তাই এদের অন্যত্র বসার ব্যবস্থা করার কথা বলে দায়িত্ব দিয়েছেন স্থানীয় পৌরপিতা অভ্র মুখার্জিকে।তিনি বলেন, আমি সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবো আমার বিধানসভার মানুষকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য, তাঁর জন্য যত রকম সচেতনতা ও নিয়ম বিধি আছে তা চিন্তা করে বজায় রাখার কথা বলবো ও প্রচার করবো। প্রয়োজনে তা লাঘু করার চেষ্টা করবো, বাকিটা তো সকলের ভাগ্য। মহামারীতে কারও হাত নেই। আমি শুধু সকলকে বলবো সাবধানতা বজায় রাখতে যাতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।