খবরাখবর

মানবিক সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকার এক অভিনব প্রয়াস

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৮ই এপ্রিল ২০২০ : করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সদ্য লন্ডন থেকে শুটিং-এর কাজ শেষ না করেই ফিরে এসেছেন ভারতে। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী দেশে ফিরে নিয়ম অনুযায়ী নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাড়িতে আইসোলেশনে বিশ্রামে রয়েছেন। তাতে কিন্তু তাঁর জনসেবা থমকে যায় নি। তিনি বাড়িতে বসেই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও আমাদের চ্যানেলে মানুষের জন্য করোনার সচেতন বার্তা দিয়েছেন আবার কখনও রাস্তার সারমেয়দের জন্য আবেদন জানিয়েছেন মানুষের কাছে যাতে তাদের দুবেলা একটু করে সকলে খাবারের ব্যবস্থা করে দেয়।

এছাড়া লকডাউন পরিস্থিতিতে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থাও করেছেন। তাঁর আপ্ত সহায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য তাঁর এই পুরো কাজ দেখভালের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। গোটা লোকসভা কেন্দ্রের দুঃস্থ মানুষের কাছে প্রয়োজন অনুযায়ী পৌঁছে দিয়েছেন জীবনদায়ী ওষুধ, খাদ্য সামগ্রী, রাজ্যের বাইরে আঁটকে থাকা মানুষদের জন্য সুব্যবস্থা এমনকি রাজ্যের বাইরে আঁটকে থাকা মানুষজনদের আর্থিক সহায়তা। যদিও অনির্বানের সাথে সাংসদ প্রতিনিধিরাও হাত মিলিয়েছেন এই কাজকে স্বার্থক করার জন্য যার মধ্যে রয়েছেন মিঠুন মিত্র, রাজদীপ রায়, পীতাম্বর হালদার, দেবব্রত হালদার, শৌভিক সেন ও মধুমিতা মন্ডল।

সাম্প্রতিক রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত বোসপুকুর লোকনাথ মন্দিরে প্রতিদিন ৭০ জন মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই খাদ্য বিতরণ চলবে ১০ দিন ধরে। মিমি জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মানুষ ও রাজ্যের বাইরে থাকা এই রাজ্যের মানুষ কেউ যেন একদিনও অভুক্ত না থাকে তাই সেই নির্দেশকে সফল করতে আমি আমার লোকসভা কেন্দ্রে পালন করবো। এতে দলের ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমুর্তির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যাবে।আজ আমরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জন্য মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। এছাড়া সোনারপুর গঙ্গাজোয়ারা রিকসা ইউনিয়ন ও প্রয়াস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে ১০ নং ও ১১ নং ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় প্রায় ১৫০ জন মানুষকে। উপস্থিত ছিলেন রিকসা ইউনিয়নের সম্পাদক নবকুমার সাফুই, লোচন বারিক সহ অনেকে। সকাল থেকে সংসদ মিমি চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য সম্পূর্ণ নিজের দক্ষতায় এই ত্রাণ সামগ্রী সঠিক জায়গায় নিজে উপস্থিত থেকে বিতরণ করে চলেছেন। তিনি মিমি চক্রবর্তীর অনুপস্থিতি একবারের জন্য অনুভব করতে দেন নি। যদিও খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ নিজে সরজমিনে উপস্থিত না থাকতে পারলেও সময় সময় খোঁজ খবর ও উপদেশ দিয়ে সাহায্য করছেন এই পুরো “মিমি টিমকে”।

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৩ নং ওয়ার্ডেও মিমি চক্রবর্তীর সাংসদ প্রতিনিধির দল গিয়ে ঋষি রাজানারায়ণ পল্লীতে গিয়ে দুঃস্থ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *